সিরিজজয়ী ভারত
দর্শক-দর্শক করে চেঁচাচ্ছেন ইডেন গার্ডেনের কর্মকর্তারা; কিন্তু দর্শক গেল কোথায়? ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) কর্মকর্তাদের অবাক করে দিয়ে সব দর্শক জড়ো হয়েছে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি কমপ্লেক্স মাঠে। সেখানে যে খেলছেন সৌরভ গাঙ্গুলি! রনজি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষে পশ্চিমবঙ্গের চার দিনের ম্যাচ শুরু হয়েছে গতকাল। সৌরভ অপরাজিত রয়েছেন ৩৭ রানে; কিন্তু সেখানে খেলা দেখতে যাওয়া দর্শকরা ইডেন গার্ডেনে দারুণ একটি
সেঞ্চুরি দেখা থেকে বঞ্চিত হলো। ইনিংস পরাজয়ের মুখে থেকেও ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভো খেললেন ১৩৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। তবুও ইনিংস হার এড়াতে পারেনি সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংস ও ১৫ রানে হারতে হয়েছে তাদের। সঙ্গে সিরিজও। অথচ মুম্বাইয়ে বাকি রয়েছে সিরিজের আরও একটি ম্যাচ।
ড্যারেন ব্রাভোকে মনে করা হয় বর্তমান সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা। কাকতালীয়ভাবে লারার সঙ্গে মিল রেখেই যেন এগিয়ে যাচ্ছেন ত্রিনিদাদের ২২ বছর বয়সী এই যুবক। ১২ টেস্ট শেষে ২ সেঞ্চুরি আর ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে ব্রাভোর রান ৪৭.০৫ গড়ে ৯৪১ রান। ১২ টেস্ট শেষে ব্রায়ান লারারও রান ছিল ৪৭.০৫ গড়ে ৯৪১। সেঞ্চুরি ছিল ২টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ছিল ৬টি। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্রায়ান লারা নিজের প্রথম ভারত সফরে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। আর ব্রাভোও ভারত সফরে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন। ইডেন টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ফলোঅনে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৯৫। তৃতীয় দিনের শিশির ভেজা সকালের মতোও চতুর্থ দিনের সকাল হতে পারে ভেবেছিল সবাই। কারণ ইডেনের শিশির ভেজা উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর। ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংস তো শেষ হয়েছিল তৃতীয় দিন সকালেই। তবে ভয় ছিল ব্রাভো-চন্দরপল জুটি। ৩৮ রানে ব্রাভো আর ২১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেন চন্দরপল। ভারতীয়দের সামনে সবচেয়ে বড় ভয়ের নাম চন্দরপল। ১৩৬ টেস্ট খেলা এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের লম্বা ইনিংস খেলার অনেক বড় ধৈর্য রয়েছে। যদি তিনি দাঁড়িয়ে যান তাহলে ভারতীয় বোলারদের বেশ ঘাম ঝরাতে হবে। বোলারদের সঙ্গে চতুর্থ দিন সকালের শিশিরের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ব্রাভো-চন্দরপল জুটি কিছুক্ষণ দৃঢ়তাও দেখায়; কিন্তু উমেশ যাদবের বলে ৪৭ রান করে যখন চন্দরপল বোল্ড হয়ে গেলেন তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ধোনিরা। তবে তাদের দীর্ঘশ্বাস বাড়ান ব্রাভো আর স্যামুয়েলস। দু'জন মিলে ১৩২ রানের জুটি গড়েন। ১৩৬ রান করে ব্রাভো আউট হওয়ার পর এ জুটি ভাঙে। স্যামুয়েলসও ৮৪ রান করে ফিরে যান। এ জুটির বিদায়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস হার এড়ানোর স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। উমেশ যাদব, অশ্বিন আর প্রজ্ঞান ওঝারা মিলে ৪৬৩ রানেই ক্যারিবীয়দের অল আউট করে দেন। আর ১৫টি রান বেশি করতে পারলে ধোনিদের আবারও ব্যাটিংয়ে নামাতে পারতেন স্যামিরা; কিন্তু সেই ১৫ রান দূরে থাকতেই ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় বরণ করার সঙ্গে সিরিজ হারও বরণ করে নিতে হলো তাদের। উমেশ যাদব পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট। ইডেন টেস্টের জয়সহ নিজেদের মটিতে ভারত ৭৫তম টেস্ট জিতল। মুম্বাইতে শেষ টেস্টের জন্য দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে যুবরাজকে। তার পরিবর্তে জায়গা পেয়েছেন রোহিত শর্মা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ভারত ৬৩১/৭, ডিক্লে,। ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৫৩ ও ৪৬৩/১০, ১২৬.৩ ওভার (ব্রাভো ১৩৬, স্যামুয়েলস ৮৪, বারাথ ৬২, ব্রাথওয়েট ৬০, চন্দরপল ৪৭, স্যামি ৩২; যাদব ৪/৮০, শর্মা ২/৯৫, ওঝা ২/১০৪, অশ্বিন ২/১৩৭।)। ফল : ভারত ইনিংস ও ১৫ রানে জয়ী।
ড্যারেন ব্রাভোকে মনে করা হয় বর্তমান সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা। কাকতালীয়ভাবে লারার সঙ্গে মিল রেখেই যেন এগিয়ে যাচ্ছেন ত্রিনিদাদের ২২ বছর বয়সী এই যুবক। ১২ টেস্ট শেষে ২ সেঞ্চুরি আর ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে ব্রাভোর রান ৪৭.০৫ গড়ে ৯৪১ রান। ১২ টেস্ট শেষে ব্রায়ান লারারও রান ছিল ৪৭.০৫ গড়ে ৯৪১। সেঞ্চুরি ছিল ২টি এবং হাফ সেঞ্চুরি ছিল ৬টি। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্রায়ান লারা নিজের প্রথম ভারত সফরে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। আর ব্রাভোও ভারত সফরে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন। ইডেন টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ফলোঅনে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৯৫। তৃতীয় দিনের শিশির ভেজা সকালের মতোও চতুর্থ দিনের সকাল হতে পারে ভেবেছিল সবাই। কারণ ইডেনের শিশির ভেজা উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর। ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংস তো শেষ হয়েছিল তৃতীয় দিন সকালেই। তবে ভয় ছিল ব্রাভো-চন্দরপল জুটি। ৩৮ রানে ব্রাভো আর ২১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেন চন্দরপল। ভারতীয়দের সামনে সবচেয়ে বড় ভয়ের নাম চন্দরপল। ১৩৬ টেস্ট খেলা এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের লম্বা ইনিংস খেলার অনেক বড় ধৈর্য রয়েছে। যদি তিনি দাঁড়িয়ে যান তাহলে ভারতীয় বোলারদের বেশ ঘাম ঝরাতে হবে। বোলারদের সঙ্গে চতুর্থ দিন সকালের শিশিরের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ব্রাভো-চন্দরপল জুটি কিছুক্ষণ দৃঢ়তাও দেখায়; কিন্তু উমেশ যাদবের বলে ৪৭ রান করে যখন চন্দরপল বোল্ড হয়ে গেলেন তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ধোনিরা। তবে তাদের দীর্ঘশ্বাস বাড়ান ব্রাভো আর স্যামুয়েলস। দু'জন মিলে ১৩২ রানের জুটি গড়েন। ১৩৬ রান করে ব্রাভো আউট হওয়ার পর এ জুটি ভাঙে। স্যামুয়েলসও ৮৪ রান করে ফিরে যান। এ জুটির বিদায়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস হার এড়ানোর স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। উমেশ যাদব, অশ্বিন আর প্রজ্ঞান ওঝারা মিলে ৪৬৩ রানেই ক্যারিবীয়দের অল আউট করে দেন। আর ১৫টি রান বেশি করতে পারলে ধোনিদের আবারও ব্যাটিংয়ে নামাতে পারতেন স্যামিরা; কিন্তু সেই ১৫ রান দূরে থাকতেই ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় বরণ করার সঙ্গে সিরিজ হারও বরণ করে নিতে হলো তাদের। উমেশ যাদব পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট। ইডেন টেস্টের জয়সহ নিজেদের মটিতে ভারত ৭৫তম টেস্ট জিতল। মুম্বাইতে শেষ টেস্টের জন্য দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে যুবরাজকে। তার পরিবর্তে জায়গা পেয়েছেন রোহিত শর্মা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ভারত ৬৩১/৭, ডিক্লে,। ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১৫৩ ও ৪৬৩/১০, ১২৬.৩ ওভার (ব্রাভো ১৩৬, স্যামুয়েলস ৮৪, বারাথ ৬২, ব্রাথওয়েট ৬০, চন্দরপল ৪৭, স্যামি ৩২; যাদব ৪/৮০, শর্মা ২/৯৫, ওঝা ২/১০৪, অশ্বিন ২/১৩৭।)। ফল : ভারত ইনিংস ও ১৫ রানে জয়ী।
No comments