চট্টগ্রামে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন উদ্বোধন-'তিন বছরে জনশক্তি রপ্তানি ১৪ লাখ'
চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার বিদেশগামীদের জন্য বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন। চট্টগ্রাম জনশক্তি, রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে স্থাপিত মেশিনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেছেন, মহাজোট সরকারের বিগত প্রায় তিন বছরে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ১৪ লাখ।
বর্তমানে ঢাকার কেন্দ্রীয় অফিসে স্থাপিত একটি মেশিন দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি লোকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিতে হচ্ছে। একটি মেশিন দিয়ে এত লোকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ায় হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে বিদেশগামীদের। পাশাপাশি একে ঘিরে একটি দালাল চক্র গড়ে উঠেছে। চট্টগ্রামে এই মেশিন চালু হওয়ায় বিদেশগামীদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ উপলক্ষে গতকাল সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম জনশক্তি, রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, বিগত তিন বছরে দেশে তিন-চার লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ একই সময়ে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ১৪ লাখ। মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও এই বিপুলসংখ্যক লোক বিদেশ পাঠানো সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের নেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ বছরে আর ১০ থেকে ১২ লাখ জনশক্তি বিদেশে পাঠানো সম্ভব হবে। এ জন্য প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
হাটহাজারী থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির এই নেতা বিদেশগামীদের জন্য চট্টগ্রামে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জনশক্তি, রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, জনশক্তি রপ্তানিতে প্রতারণা বন্ধ করতে 'ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড' চালু করা হয়েছে আমার আমলেই। এই কার্ড ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশে বাধ্যতামূলক করায় প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। কাজের উদ্দেশ্যে কোনো কর্মী 'স্মার্ট কার্ড' ছাড়া বিদেশ গেলে তাকে অবশ্যই ফেরত আসতে হবে এবং জেল-জরিমানাও গুনতে হবে। কঙ্বাজারের বাসিন্দা সরকারের অতিরিক্ত সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, কোরিয়ান সহায়তায় দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার চালু হচ্ছে। এখান থেকে পাস করা লোকের বিদেশে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরকারি হিসেিব ৭০ থেকে ৭৫ লাখ লোক বিদেশে কর্মরত আছে; কিন্তু বেসরকারি হিসেবে এক কোটি লোক বিদেশে কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে বছরে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা আয় হচ্ছে।
২০১০ সালে চট্টগ্রাম থেকে জনশক্তি রপ্তানি হয় ২৯ হাজার ২২৬ জন। ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাড়ে ১০ মাসে এই সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এ উপলক্ষে গতকাল সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম জনশক্তি, রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, বিগত তিন বছরে দেশে তিন-চার লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ একই সময়ে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ১৪ লাখ। মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও এই বিপুলসংখ্যক লোক বিদেশ পাঠানো সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের নেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ বছরে আর ১০ থেকে ১২ লাখ জনশক্তি বিদেশে পাঠানো সম্ভব হবে। এ জন্য প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
হাটহাজারী থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির এই নেতা বিদেশগামীদের জন্য চট্টগ্রামে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জনশক্তি, রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, জনশক্তি রপ্তানিতে প্রতারণা বন্ধ করতে 'ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড' চালু করা হয়েছে আমার আমলেই। এই কার্ড ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশে বাধ্যতামূলক করায় প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। কাজের উদ্দেশ্যে কোনো কর্মী 'স্মার্ট কার্ড' ছাড়া বিদেশ গেলে তাকে অবশ্যই ফেরত আসতে হবে এবং জেল-জরিমানাও গুনতে হবে। কঙ্বাজারের বাসিন্দা সরকারের অতিরিক্ত সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, কোরিয়ান সহায়তায় দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার চালু হচ্ছে। এখান থেকে পাস করা লোকের বিদেশে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরকারি হিসেিব ৭০ থেকে ৭৫ লাখ লোক বিদেশে কর্মরত আছে; কিন্তু বেসরকারি হিসেবে এক কোটি লোক বিদেশে কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে বছরে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা আয় হচ্ছে।
২০১০ সালে চট্টগ্রাম থেকে জনশক্তি রপ্তানি হয় ২৯ হাজার ২২৬ জন। ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাড়ে ১০ মাসে এই সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
No comments