পর্তুগালের গোল-উৎসব
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাশে এমির স্পাহিচ। একজন মহাতারকা তো অন্যজন একেবারেই অচেনা! দুই অধিনায়কের মতোই ব্যবধান দুই দলের মধ্যেও। পর্তুগাল ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করল বসনিয়া-হার্জেগোভিনাকে। অথচ পরশু রাতে ইউরো বাছাইপর্বের সবচেয়ে ‘আকর্ষণীয়’ লড়াই নাকি ছিল এই দুই দলেরই!
কারণটা প্লে-অফের সমীকরণ। ইউরো ২০১২-এর ষোলো দলের ১২টিই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল আগে। প্লে-অফে নির্ধারিত হয়েছে বাকি চার দলের ভাগ্য। প্লে-অফের প্রথম লেগ জিতেই চূড়ান্ত পর্বে এক পা দিয়ে রেখেছিল চার দলের তিনটি। পুঁচকে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় ঝুলে ছিল পর্তুগালের ভাগ্য।
ম্যাচের আগে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা কোচ সাফেত সুসিচ তাই এমনটা বলারও দুঃসাহস পেয়েছিলেন, ‘আমরা আক্রণাত্মকই খেলব।’ লিসবনের ম্যাচটিতে পরশু ৭০ মিনিট পর্যন্ত কিন্তু অস্বস্তিতেই ছিল পর্তুগাল। তারা এগিয়ে গিয়েছিল ৩-২ ব্যবধানে, কিন্তু একটি গোল পাল্টে দিতে পারত সবকিছু। তবে ৭২ থেকে ৮২—এই ১০ মিনিটে আরও তিন গোল করে পর্তুগাল উড়িয়ে দিয়েছে সব দুশ্চিন্তা।
শেষ পর্যন্ত অস্বস্তির জায়গায় হয়েছে গোল-উৎসব, আর বড় এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোনালদোই। ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই ৩৫ গজি ফ্রি-কিকে করেছেন প্রথম গোল। ৫৩ মিনিটে করেছেন আরেকটি। এর মধ্যে ২৪ মিনিটে গোল করেছেন নানি। ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জুভিজেজদান মিসিমোভিচ আর ৬৬ মিনিটে অধিনায়ক স্পাহিচের গোলে আশা বাঁচিয়ে রাখে সফরকারীরা। কিন্তু ৫৪ মিনিটে সেনাদ লুলিচ লাল কার্ড দেখতেই মাঠ এলোমেলো হয়ে যায় সব। এর পরই সেই ১০ মিনিটে তিন গোলের ঝড়।
লিসবনের চেয়েও পরশু বড় উৎসব হয়েছে ডাবলিনে। ২৪ বছর পর ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে গেছে আয়ারল্যান্ড। ২০০২ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টের টিকিট পেল আইরিশরা। ঘোচাল একটা দুঃখও। ২০১০ বিশ্বকাপে থিয়েরি অঁরির সেই ‘হ্যান্ডবল কাণ্ডে’ই তো গতবার বিশ্বকাপে খেলা হয়নি। এস্তোনিয়ার সঙ্গে ম্যাচটা ১-১ ড্র হলেও প্রথম লেগের ৪-০ জয় শুরু থেকেই অ্যাভাইভা স্টেডিয়ামকে দিয়েছিল উৎসবের আমেজ। আবেগাপ্লুত আয়ারল্যান্ডের ইতালিয়ান কোচ জিওভানি ত্রাপাত্তোনি এই জয়টিকে তুলনা করেছেন তাঁর জীবনের অন্যসব বড় অর্জনের সঙ্গে, যেখানে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ও আছে!
ওদিকে তুরস্কের বিপক্ষে প্রতিশোধ-পর্ব সমাপ্ত হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার। ২০০৮ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে বিদায় করে দিয়েছিল তুর্কিরা। সেটিও অতিরিক্ত সময়ে সমতা ফেরানোর পর টাইব্রেকারে জিতে!
পরশু ঠিক হয়ে গেল ২০১২ ইউরোর ১৬ দল। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি টিকিট পেয়েছে ইউক্রেন ও পোল্যান্ড, বাছাইপর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে গেছে জার্মানি, রাশিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, হল্যান্ড, গ্রিস, ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্পেন ও সুইডেন। প্লে-অফে টিকিট পেল পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র।
কারণটা প্লে-অফের সমীকরণ। ইউরো ২০১২-এর ষোলো দলের ১২টিই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল আগে। প্লে-অফে নির্ধারিত হয়েছে বাকি চার দলের ভাগ্য। প্লে-অফের প্রথম লেগ জিতেই চূড়ান্ত পর্বে এক পা দিয়ে রেখেছিল চার দলের তিনটি। পুঁচকে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় ঝুলে ছিল পর্তুগালের ভাগ্য।
ম্যাচের আগে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা কোচ সাফেত সুসিচ তাই এমনটা বলারও দুঃসাহস পেয়েছিলেন, ‘আমরা আক্রণাত্মকই খেলব।’ লিসবনের ম্যাচটিতে পরশু ৭০ মিনিট পর্যন্ত কিন্তু অস্বস্তিতেই ছিল পর্তুগাল। তারা এগিয়ে গিয়েছিল ৩-২ ব্যবধানে, কিন্তু একটি গোল পাল্টে দিতে পারত সবকিছু। তবে ৭২ থেকে ৮২—এই ১০ মিনিটে আরও তিন গোল করে পর্তুগাল উড়িয়ে দিয়েছে সব দুশ্চিন্তা।
শেষ পর্যন্ত অস্বস্তির জায়গায় হয়েছে গোল-উৎসব, আর বড় এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোনালদোই। ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই ৩৫ গজি ফ্রি-কিকে করেছেন প্রথম গোল। ৫৩ মিনিটে করেছেন আরেকটি। এর মধ্যে ২৪ মিনিটে গোল করেছেন নানি। ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জুভিজেজদান মিসিমোভিচ আর ৬৬ মিনিটে অধিনায়ক স্পাহিচের গোলে আশা বাঁচিয়ে রাখে সফরকারীরা। কিন্তু ৫৪ মিনিটে সেনাদ লুলিচ লাল কার্ড দেখতেই মাঠ এলোমেলো হয়ে যায় সব। এর পরই সেই ১০ মিনিটে তিন গোলের ঝড়।
লিসবনের চেয়েও পরশু বড় উৎসব হয়েছে ডাবলিনে। ২৪ বছর পর ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে গেছে আয়ারল্যান্ড। ২০০২ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টের টিকিট পেল আইরিশরা। ঘোচাল একটা দুঃখও। ২০১০ বিশ্বকাপে থিয়েরি অঁরির সেই ‘হ্যান্ডবল কাণ্ডে’ই তো গতবার বিশ্বকাপে খেলা হয়নি। এস্তোনিয়ার সঙ্গে ম্যাচটা ১-১ ড্র হলেও প্রথম লেগের ৪-০ জয় শুরু থেকেই অ্যাভাইভা স্টেডিয়ামকে দিয়েছিল উৎসবের আমেজ। আবেগাপ্লুত আয়ারল্যান্ডের ইতালিয়ান কোচ জিওভানি ত্রাপাত্তোনি এই জয়টিকে তুলনা করেছেন তাঁর জীবনের অন্যসব বড় অর্জনের সঙ্গে, যেখানে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ও আছে!
ওদিকে তুরস্কের বিপক্ষে প্রতিশোধ-পর্ব সমাপ্ত হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার। ২০০৮ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে বিদায় করে দিয়েছিল তুর্কিরা। সেটিও অতিরিক্ত সময়ে সমতা ফেরানোর পর টাইব্রেকারে জিতে!
পরশু ঠিক হয়ে গেল ২০১২ ইউরোর ১৬ দল। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি টিকিট পেয়েছে ইউক্রেন ও পোল্যান্ড, বাছাইপর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে গেছে জার্মানি, রাশিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, হল্যান্ড, গ্রিস, ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্পেন ও সুইডেন। প্লে-অফে টিকিট পেল পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র।
No comments