গুঞ্জন আর গুজবে ঘুরপাক খাচ্ছে আওয়ামী লীগ by পাভেল হায়দার চৌধুরী
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী, এমপি ও নেতা-কর্মীর মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে দূরত্ব তৈরি হয়েছে অনেক দিন ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ঘটনার সঙ্গে এ দূরত্বের যোগফলে অস্থিরতারও আভাস মিলছে সরকারের মধ্যে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছ থেকে মন্ত্রিসভার রদবদলের দাবি উঠেছে।দলের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ ও মন্ত্রিপরিষদ রদবদলের গুজব ছড়িয়েছে। এসব গুজবের পেছনে 'মতলব' খুঁজে পাচ্ছেন কোনো কোনো নেতা।
আবার কেউ বলছেন, কিছু একটার আলামতও হতে পারে এটা। তবে এতে যে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ক্ষতি হচ্ছে, তা স্বীকার করছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ডজনখানেক নেতা। সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে_কী হচ্ছে আওয়ামী লীগে?
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, এমপিওভুক্তি, সর্বশেষ নরসিংদীতে পৌর মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ধীরগতি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকজন নেতা স্বীকার করেছেন এ অবস্থার কথা।
সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়ে এখন গুজবের অন্ত নেই। আজ অমুক মন্ত্রী, কাল তমুক মন্ত্রীর পদত্যাগের গুজব চলছে চলতি সপ্তাহজুড়ে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পদত্যাগের গুঞ্জন খোলাশা হওয়ার আগেই গত মঙ্গলবার আরো কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের 'গুজবের ডালপালা' আরো বিস্তার লাভ করেছে। এ ধরনের গুঞ্জনকে দলের ভেতরের কেউ সত্য আবার কেউবা বলছেন অসত্য, স্রেফ গুজব। গত কয়েকদিনের গুঞ্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, এ ধরনের রটনা এক ধরনের অসভ্যতা। এ অসভ্যতা নিয়ে কথা বলতে চাই না। আবার কয়েকজন বলছেন, ওয়ান ইলেভেনের ক্রীড়নকরা সে সময়ে ব্যর্থ হলেও এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এ ধরনের কর্মকাণ্ড তাদের ইঙ্গিতেও হতে পারে।
দলের ও সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের ডাকসাইটে নেতারা। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ চলতি সংসদ অধিবেশনে সরকারের উপদেষ্টা ও কয়েকজন মন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সম্প্রতি মন্ত্রিসভার পুনর্মূল্যায়নের দাবি করেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতা তুলে ধরে সমালোচনা করেন। সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু চলতি সংসদ অধিবেশন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সংসদে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, 'সংসদ খেলাঘর নয়। এখানে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি দুঃখজনক।'
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনকে ঘিরে। এরপর নরসিংদীর মেয়র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মন্ত্রী ও তাঁর ভাইসহ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের নাম উঠে এলেও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী একটি মহল। গুজব তারই বহিঃপ্রকাশ।
অর্থ, বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে ঘিরে দীর্ঘদিন বিতর্ক চলছে। মন্ত্রিসভার পুনর্মূল্যায়নের দাবি তা থেকেই। উপদেষ্টাদের খবরদারিও পছন্দ করছেন না অনেকে। কিন্তু এসব নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব নীরব থাকার কারণে ক্ষোভের পাশাপাশি গুজবও পয়দা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ ধরনের গুজব দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতেই করা হচ্ছে। কে কোন মতলবে করছে, তা বোধগম্য নয়। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় কর্মকাণ্ডসহ সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে করছেন।' আশরাফুল ইসলামের কাছে কৌশলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি মন্তব্য করে ইউসুফ হোসেন বলেন, 'জবাবে সে হেসেছে।'
চলতি সপ্তাহে প্রায় ১০ জন মন্ত্রী, দুজন উপদেষ্টা আর একজন প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে আরো একটি গুজব চলছিল। এমন 'উড়ো খবর' ঘুরে বেড়িয়েছে সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। যাঁদের নিয়ে গুজব তাঁদের কেউ কেউ সংবাদকর্মীদের কাছে বলেছেন, 'আমরা তো এর কিছুই জানি না।' কেউ কেউ আবার জানতে চেয়েছেন, 'সত্যিই এমন ঘটছে না কি?'
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মন্ত্রিপরিষদে একটি রদবদলের কানাঘুষা তাঁরাও শুনছেন। তবে এটা বলতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। কারণ, মন্ত্রিপরিষদে রদবদলের এখতিয়ার একমাত্র তাঁরই। সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের গুঞ্জনকে সবাই উড়িয়ে দিলেও কেউ কেউ একেবারেই গুজব বলতে নারাজ। বরং তাঁরা সোহেল তাজের উদাহরণ টেনে বলেন, গুঞ্জন শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়ে গেল তাঁর ক্ষেত্রে।
যাঁদের পদত্যাগের গুজব
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা ড. হোসেন তৌফিক ইমাম ও অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান; স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। এঁরা নাকি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে রেখেছেন! যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান পদত্যাগের নির্দেশ পেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন_এমন খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল।
এ গুজব সরকারের জন্য বিব্রতকর উল্লেখ করে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ ধরনের কোনো ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফসহ আমরা কেউ জানি না। এটা মিডিয়ার আবিষ্কার। এটা মোটিভেটেড।' কোন মহল এসব রটাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি বলতে পারব না।'
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, এমপিওভুক্তি, সর্বশেষ নরসিংদীতে পৌর মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ধীরগতি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকজন নেতা স্বীকার করেছেন এ অবস্থার কথা।
সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়ে এখন গুজবের অন্ত নেই। আজ অমুক মন্ত্রী, কাল তমুক মন্ত্রীর পদত্যাগের গুজব চলছে চলতি সপ্তাহজুড়ে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পদত্যাগের গুঞ্জন খোলাশা হওয়ার আগেই গত মঙ্গলবার আরো কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের 'গুজবের ডালপালা' আরো বিস্তার লাভ করেছে। এ ধরনের গুঞ্জনকে দলের ভেতরের কেউ সত্য আবার কেউবা বলছেন অসত্য, স্রেফ গুজব। গত কয়েকদিনের গুঞ্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, এ ধরনের রটনা এক ধরনের অসভ্যতা। এ অসভ্যতা নিয়ে কথা বলতে চাই না। আবার কয়েকজন বলছেন, ওয়ান ইলেভেনের ক্রীড়নকরা সে সময়ে ব্যর্থ হলেও এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এ ধরনের কর্মকাণ্ড তাদের ইঙ্গিতেও হতে পারে।
দলের ও সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের ডাকসাইটে নেতারা। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ চলতি সংসদ অধিবেশনে সরকারের উপদেষ্টা ও কয়েকজন মন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সম্প্রতি মন্ত্রিসভার পুনর্মূল্যায়নের দাবি করেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতা তুলে ধরে সমালোচনা করেন। সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু চলতি সংসদ অধিবেশন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সংসদে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, 'সংসদ খেলাঘর নয়। এখানে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি দুঃখজনক।'
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনকে ঘিরে। এরপর নরসিংদীর মেয়র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মন্ত্রী ও তাঁর ভাইসহ সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের নাম উঠে এলেও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী একটি মহল। গুজব তারই বহিঃপ্রকাশ।
অর্থ, বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে ঘিরে দীর্ঘদিন বিতর্ক চলছে। মন্ত্রিসভার পুনর্মূল্যায়নের দাবি তা থেকেই। উপদেষ্টাদের খবরদারিও পছন্দ করছেন না অনেকে। কিন্তু এসব নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব নীরব থাকার কারণে ক্ষোভের পাশাপাশি গুজবও পয়দা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ ধরনের গুজব দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতেই করা হচ্ছে। কে কোন মতলবে করছে, তা বোধগম্য নয়। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় কর্মকাণ্ডসহ সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে করছেন।' আশরাফুল ইসলামের কাছে কৌশলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি মন্তব্য করে ইউসুফ হোসেন বলেন, 'জবাবে সে হেসেছে।'
চলতি সপ্তাহে প্রায় ১০ জন মন্ত্রী, দুজন উপদেষ্টা আর একজন প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে আরো একটি গুজব চলছিল। এমন 'উড়ো খবর' ঘুরে বেড়িয়েছে সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। যাঁদের নিয়ে গুজব তাঁদের কেউ কেউ সংবাদকর্মীদের কাছে বলেছেন, 'আমরা তো এর কিছুই জানি না।' কেউ কেউ আবার জানতে চেয়েছেন, 'সত্যিই এমন ঘটছে না কি?'
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মন্ত্রিপরিষদে একটি রদবদলের কানাঘুষা তাঁরাও শুনছেন। তবে এটা বলতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। কারণ, মন্ত্রিপরিষদে রদবদলের এখতিয়ার একমাত্র তাঁরই। সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের গুঞ্জনকে সবাই উড়িয়ে দিলেও কেউ কেউ একেবারেই গুজব বলতে নারাজ। বরং তাঁরা সোহেল তাজের উদাহরণ টেনে বলেন, গুঞ্জন শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়ে গেল তাঁর ক্ষেত্রে।
যাঁদের পদত্যাগের গুজব
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা ড. হোসেন তৌফিক ইমাম ও অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান; স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। এঁরা নাকি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে রেখেছেন! যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান পদত্যাগের নির্দেশ পেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন_এমন খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল।
এ গুজব সরকারের জন্য বিব্রতকর উল্লেখ করে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এ ধরনের কোনো ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফসহ আমরা কেউ জানি না। এটা মিডিয়ার আবিষ্কার। এটা মোটিভেটেড।' কোন মহল এসব রটাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি বলতে পারব না।'
No comments