ডিএসইতে টানা পঞ্চম সপ্তাহেও দরপতন
পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহেও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর অধিকাংশ শেয়ারের দর ও সব সূচক কমেছে। এ নিয়ে টানা পঞ্চম সপ্তাহে বেশির ভাগ শেয়ারদর ও সূচক কমল। অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে গত সপ্তাহে বেশির ভাগ শেয়ারদর ও সূচক বেড়েছে।সপ্তাহের লেনদেন শেষে দেখা গেছে, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬৪টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে মাত্র ৪২টির দর বেড়েছে, কমেছে ২১৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দর।
সাধারণ সূচক ৯৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ক্লোজ হয় ৫২০৮ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে। দৈনিক গড় লেনদেন ৩৪ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে নেমে এসেছে প্রায় ২৭০ কোটি ৪১ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে এক হাজার ৩৫২ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ কেনাবেচা হয়। অপরদিকে, সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে ১০৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২টির দর। নির্বাচিত খাত সূচক ১৩৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ কেনাবেচা হয়।
ডিএসইর সার্বিক লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কেবল জ্বালানি খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর আগের সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। এক্ষেত্রে কিছুটা মিশ্র অবস্থায় ছিল ব্যাংকিং ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত। অন্য সব খাতের প্রায় সব শেয়ারের দরই কমেছে। ব্যাংকিং খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১৭টির দর কমলেও বেড়েছে ১৩টির দর।
মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩৭টির মধ্যে ১৭টির দর বেড়েছে। জ্বালানি খাতের ১৩টির মধ্যে ৮টির দর বেড়েছে। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের ২১টি কোম্পানির সবগুলো, বীমা খাতের ৪৪টির মধ্যে ৪৩টির, প্রকৌশল খাতের ২৩টির মধ্যে ২০টির, বস্ত্র খাতের ২৪টির মধ্যে ২১টির, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০টির মধ্যে ১৮টির, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ১৫টির সবগুলোর দর কমেছে। এছাড়া সিমেন্ট, সিরামিক্স, তথ্য ও প্রযুক্তি, সেবা ও নির্মাণ খাতের সবগুলোর দর কমেছে।
শেয়ারদর কমার পাশাপাশি সব খাতের লেনদেনও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তারপরও খাতওয়ারি লেনদেনের দিক থেকে গত সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতে সর্বাধিক ৪৫২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৩৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে জ্বালানি ও শক্তি খাতে ১৩৬ কোটি, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১০৬ কোটি, বিবিধ খাতে ৯১ কোটি, বস্ত্র খাতে ৮৮ কোটি, প্রকৌশল খাতে ৮৮ কোটি, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতে ৭৪ কোটি, বীমা খাতে ৬৫ কোটি টাকা, সিমেন্ট খাতে ৫৭ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
একক কোম্পানির দিক থেকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেক্সিমকো লিমিটেডের সর্বাধিক ৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর পরের অবস্থানে ছিল গ্রামীণফোন, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউসিবিএল, সামিট পাওয়ার, এমআই সিমেন্ট।
ডিএসইর সার্বিক লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কেবল জ্বালানি খাতের বেশির ভাগ শেয়ারের দর আগের সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। এক্ষেত্রে কিছুটা মিশ্র অবস্থায় ছিল ব্যাংকিং ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত। অন্য সব খাতের প্রায় সব শেয়ারের দরই কমেছে। ব্যাংকিং খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১৭টির দর কমলেও বেড়েছে ১৩টির দর।
মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩৭টির মধ্যে ১৭টির দর বেড়েছে। জ্বালানি খাতের ১৩টির মধ্যে ৮টির দর বেড়েছে। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের ২১টি কোম্পানির সবগুলো, বীমা খাতের ৪৪টির মধ্যে ৪৩টির, প্রকৌশল খাতের ২৩টির মধ্যে ২০টির, বস্ত্র খাতের ২৪টির মধ্যে ২১টির, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০টির মধ্যে ১৮টির, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ১৫টির সবগুলোর দর কমেছে। এছাড়া সিমেন্ট, সিরামিক্স, তথ্য ও প্রযুক্তি, সেবা ও নির্মাণ খাতের সবগুলোর দর কমেছে।
শেয়ারদর কমার পাশাপাশি সব খাতের লেনদেনও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তারপরও খাতওয়ারি লেনদেনের দিক থেকে গত সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতে সর্বাধিক ৪৫২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৩৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে জ্বালানি ও শক্তি খাতে ১৩৬ কোটি, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১০৬ কোটি, বিবিধ খাতে ৯১ কোটি, বস্ত্র খাতে ৮৮ কোটি, প্রকৌশল খাতে ৮৮ কোটি, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতে ৭৪ কোটি, বীমা খাতে ৬৫ কোটি টাকা, সিমেন্ট খাতে ৫৭ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
একক কোম্পানির দিক থেকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেক্সিমকো লিমিটেডের সর্বাধিক ৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর পরের অবস্থানে ছিল গ্রামীণফোন, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউসিবিএল, সামিট পাওয়ার, এমআই সিমেন্ট।
No comments