ঈদে নিরাপত্তা : ২৩৭ ময়দানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা-অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ছক র্যাব-পুলিশের by রেজোয়ান বিশ্বাস
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ এবার রাজধানীর ২৩৭টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদগাহ ময়দানসহ বাসা-বাড়ি, মার্কেট, গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবসাকেন্দ্রিক বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র্যাব বিশেষ নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছে।র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগে ও পরে যেকোনো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নগরীতে ১২ হাজার 'বিশেষ ফোর্স' মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব সদস্য বাসা-বাড়িতে চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবেন।
ইতিমধ্যে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন থানা, টহল পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা। ডিএমপির প্রতিটি অঞ্চলের ডিসিরা এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করছেন। ছুটিতে মহানগরীর প্রতিটি এলাকায় সংশ্লিষ্ট থানার একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে পুলিশ পালা করে টহল দেবে। তাদের সহযোগিতা করবে র্যাবসহ সাদা পোশাকের পুলিশ।
এদিকে গতকাল শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ। এ সময় ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ঈদে রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এ কারণে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর বেশির ভাগ মানুষ ঈদ উপলক্ষে বাড়ি চলে যাওয়ায় আবাসিক এলাকাগুলো অনেকটা নীরব থাকে। এ সুযোগে চুরি-ডাকাতি বেড়ে যায়। সে দিকে লক্ষ্য রেখেও বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় বাসা পরিবর্তন করলে পুলিশকে আগে অবহিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
চামড়া ব্যবসাকেন্দ্রীক নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে পুলিশ কমিশনার বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েও বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চামড়া সংগ্রহের সময় প্রতি বছরই এ কেন্দ্রীক নানা ধরনের ঝামেলা দেখা দেয়। তাই এবার যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রেখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাবে রাজধানী। এ অবস্থায় নিরাপত্তায় করণীয় ঠিক করতে এরই মধ্যে ডিএমপির মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান, উত্তরা, রমনা, লালবাগ ও কূটনৈতিক এলাকা নিয়ে গঠিত চ্যান্সারি জোনকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার এক জরুরি বৈঠকে নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তাদের।
বিভিন্ন অঞ্চলের উপকমিশনাররা (ডিসি) জানান, ঈদুল ফিতরের চেয়ে কোরবানির ঈদে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে রাতে বাড়ানো হবে পুলিশি টহল। ছুটি শেষে রাজধানীমুখী মানুষের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে বিভিন্ন বাস ও রেল স্টেশনে। ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল কালের কণ্ঠকে বলেন, কোরবানির ঈদ ঘিরে রাজধানীতে র্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা নগরীতে যারা থাকে তাদের যাতে কোনো সমস্য না হয়, সে জন্য র্যাবের টহল টিমের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও কাজ করবেন।
এদিকে গতকাল শনিবার দুপুর পৌনে ১২টায় জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ। এ সময় ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ঈদে রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এ কারণে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর বেশির ভাগ মানুষ ঈদ উপলক্ষে বাড়ি চলে যাওয়ায় আবাসিক এলাকাগুলো অনেকটা নীরব থাকে। এ সুযোগে চুরি-ডাকাতি বেড়ে যায়। সে দিকে লক্ষ্য রেখেও বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় বাসা পরিবর্তন করলে পুলিশকে আগে অবহিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
চামড়া ব্যবসাকেন্দ্রীক নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে পুলিশ কমিশনার বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েও বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চামড়া সংগ্রহের সময় প্রতি বছরই এ কেন্দ্রীক নানা ধরনের ঝামেলা দেখা দেয়। তাই এবার যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রেখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাবে রাজধানী। এ অবস্থায় নিরাপত্তায় করণীয় ঠিক করতে এরই মধ্যে ডিএমপির মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান, উত্তরা, রমনা, লালবাগ ও কূটনৈতিক এলাকা নিয়ে গঠিত চ্যান্সারি জোনকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার এক জরুরি বৈঠকে নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তাদের।
বিভিন্ন অঞ্চলের উপকমিশনাররা (ডিসি) জানান, ঈদুল ফিতরের চেয়ে কোরবানির ঈদে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে রাতে বাড়ানো হবে পুলিশি টহল। ছুটি শেষে রাজধানীমুখী মানুষের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে বিভিন্ন বাস ও রেল স্টেশনে। ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল কালের কণ্ঠকে বলেন, কোরবানির ঈদ ঘিরে রাজধানীতে র্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা নগরীতে যারা থাকে তাদের যাতে কোনো সমস্য না হয়, সে জন্য র্যাবের টহল টিমের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও কাজ করবেন।
No comments