টাঙ্গাইলে ৬৫ কি.মি. যানজট : চরম জনদুর্ভোগ

ঢাকা—বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে টাঙ্গাইল অংশের ৬৫ কিলোমিটার সড়ক থেমে থেমে তীব্র টানা যানজটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি বিকল হওয়া এবং হাইওয়েতে বিভিন্ন স্থানে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ ও বেহাল সড়কের কারণেই যানজটে লাখ লাখ যাত্রীদের এই দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। মহাসড়কের চারটি স্থান এলেঙ্গা, পাকুল্লা, মির্জাপুর ও গোড়াই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব স্থানে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত গাড়ি থেমে থাকছে। এ অবস্থায় থেমে থেমে গাড়ি চলাচল করছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে যাত্রীদের দুর্ভোগ চোখে না দেখলে অনুভব করা যায় না।


মহাসড়কে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রোজার ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে কোনো রকমে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ মেরামত করলেও তা কয়েকদিনেই পুরনো চেহারায় ফিরে আসে। গত কয়েকদিন আগে সড়ক বিভাগ এই ১০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে বেলে মাটির সঙ্গে পাথর মিশিয়ে নামমাত্র মেরামত কাজ করার পর অবস্থা আরও
খারাপ হয়। কখনও কখনও মাত্র ২০ মিনিটের এ সড়কে যানজট টানা ৪-৫ ঘণ্টা স্থায়ী হয়ে থাকে।
এদিকে এলেঙ্গা থেকে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটারে যত্রতত্র গতিরোধক নির্মাণ করায় দূরপাল্লার যানবাহনগুলো কম গতিতে চলতে হয়। এ ধীরগতি যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ বলে জানায় চালকরা। যমুনা সেতু-ঢাকা মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের গোড়াই, মির্জাপুর, এলেঙ্গা ও যমুনা সেতু এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও পণ্যবাহী ও গরু বোঝাই ট্রাকগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। দীর্ঘ যানজটে ক্ষুধার্ত যাত্রীদের শুকনো খাবার খেয়েই কাটাতে হয় সারাদিন।
ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে জেলার পুলিশ বিভাগ টাঙ্গাইল অংশের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সব থানার ওসি, হাইওয়ের সব পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা চেষ্টা চালালেও দুর্ভোগ থেকে রেহাই মিলছে না।
উল্লেখ্য, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলাসহ প্রায় ২৬টি জেলার ছোট-বড় হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করছে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের ওপর দিয়ে।

No comments

Powered by Blogger.