ব্যবস্থাপনা কমিটিও দায় এড়াতে পারে না by সনৎ বাবলা
হঠাৎ করে অণুবীক্ষণের নিচে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পারফরম্যান্সে বিরক্ত বাফুফে সভাপতি শঙ্কিত আসন্ন সাফ ফুটবল নিয়েও। তাঁর বিরক্তি ও শঙ্কা একীভূত হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে জাতীয় দল এবং বয়সভিত্তিক দলের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কমিটিকে।ফুটবলের চিরায়ত নিয়মে দলের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতার দায় চাপে কোচের ঘাড়ে। বিশ্বের সব জায়গায় সব আমলে এ নিয়মকে একরকম শিরোধার্য করেই চলে ফুটবল। আমাদের বাস্তবতা একটু ভিন্ন। সাফল্যে যথারীতি কোচের জয়ধ্বনি হয়, ব্যর্থ হলে কোচের অবশ্য নানা অজুহাত দাঁড় করানোর সুযোগ থাকে। প্র্যাকটিসের পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া, চাহিদা অনুযায়ী প্র্যাকটিস ম্যাচ আয়োজন করতে না পারা ইত্যাদি।
এসব নিশ্চিত করার জন্যই বোধহয় জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি গড়া। এ কমিটির গোড়ার দিকে অবশ্য দল নির্বাচনেও তাদের ভূমিকা থাকত, সে নিয়ে বিতর্কের পর ভূমিকাটা এখন ক্রমহ্রাসমান। তাই জাতীয় দলের সাফল্য-ব্যর্থতা শুধুই কোচকেন্দ্রিক নয়, জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটিরও তাতে যথেষ্ট দায় বা দায়িত্ব থাকে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির চার বছরের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এ অবস্থায় জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির গত সাড়ে তিন বছরের কাজের একটা মূল্যায়ন করাই যায়। ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১২টি টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছে ৩৭টি, যার মধ্যে জয় পেয়েছে ১৩টিতে, ড্র করেছে ৭টি আর হেরেছে বাকি ১৭ ম্যাচে। এ সময়ে সবচেয়ে বড় সাফল্য গত বছর ঢাকায় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের এসএ গেমস জয়। আরেকটা সাফল্য হলো ২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাই পর্ব উতরানো। বাকি ১০টি টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশ দল চরমভাবে ব্যর্থ। এর মধ্যে দুটো সাফ ফুটবলের আসর গেছে। ২০০৮ সালে কলম্বোতে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ পরের বছর নিজের মাটিতে খেলেও ফাইনালে পেঁৗছাতে পারেনি। আর এ বছরের বড় হোঁচটটা হলো, মিয়ানমারে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাই পর্বে আটকে যাওয়া। অথচ তারাই আগেরবার খেলেছিল মূল পর্বে! জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়ও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না এ ফলাফলে, 'যেসব কার্যক্রম হয়েছে তাতে সন্তুষ্টির কিছু নেই। তবে দল চালানোর জন্য যে আর্থিক সমর্থন পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।'
অথচ তুলনায় গেলে দেখা যাবে, আগের চেয়ে গত সাড়ে তিন বছরেই প্র্যাকটিস এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বেশি পেয়েছে দলগুলো। তার পরও অবশ্য সব চাহিদা ঠিকঠাকভাবে মেটানো যায়নি। তবে যেটুকু মেটানো গেছে তা সিটিসেল ও গ্রামীণফোনের স্পনসরশিপের সুবাদে। কিন্তু জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যানের দাবি, 'গ্রামীণফোন টাইটেল স্পনসর বলে জাতীয় দলের স্পনসর হিসেবে কাউকে নেওয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া স্পনসর জোগাড় করা তো ব্যবস্থাপনা কমিটির কাজ নয়। এটা বাফুফের দায়িত্ব।' বাফুফের দায়িত্ব বলে কি তিনি শুধু সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকেই বোঝানোর চেষ্টা করছেন? বাফুফের সহসভাপতি হিসেবে বাদল রায়েরও কি স্পনসর জোগাড় করা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? শুধু খরচ করে যাওয়াই কাজ! জানা মতে, এখন পর্যন্ত সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সদস্য গোলাম রাব্বানী হেলাল ছাড়া বাফুফের আর কেউ তো স্পনসর জোগাড় করেননি।
শুধু অর্থাভাবের অজুহাত নয়, বাদল রায়ের মনে ফুটবল অবকাঠামো নিয়েও অনেক অনুযোগ, 'আমাদের লিগ দুর্বল। যেসব খেলোয়াড় আসে তাদের বেসিকে সমস্যা, তাই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে গেলে এগুলো সামনে চলে আসে। সব মিলিয়ে আমাদের ফুটবল অবকাঠামো অনেক দুর্বল।' বাফুফের জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃত্বও কি খুব একটা শক্তিশালী? সে রকম হলে এই সাড়ে তিন বছরে আটজন কোচের হাতে ঘুরবে কেন জাতীয় দল? সময়ের বিচারে কোচ পরিবর্তন হয়েছে অবিশ্বাস্য দ্রুততায়! তাতে জাতীয় দলের খেলার কোনো নির্দিষ্ট চরিত্র দাঁড়ায়নি। নতুন যিনি আসেন তিনি নিজস্ব স্টাইলে খেলান এবং গিনিপিগের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকেন। দুর্ভাগ্য হলো, এই বাস্তবতাটা উপলব্ধি করতে পারেন না সাবেক ফুটবলারদের নিয়ে গড়া আমাদের ব্যবস্থাপনা কমিটি।
তাই দ্রুত কোচ পরিবর্তনের দায়টাও এসে পড়ছে এই কমিটির কাঁধে। আটজনের মধ্যে আছেন চারজন বিদেশি কোচ, তাঁর মধ্যে এডসন ডিডো ও রবার্ট রুবচিচ বিদায় নিয়েছেন অপমানের জ্বালা নিয়ে। ডিডো শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আট ফুটবলারকে বাদ দিতে চেয়েছিলেন আর সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল ব্যবস্থাপনা কমিটি। তাতেই ব্রাজিলিয়ান কোচ ক্ষুব্ধ হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। আর অনেক দিনের বেতন আটকে থাকায় রবার্ট রুবচিচ কাউকে না জানিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। এই সত্য গোপন করতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি ব্যবস্থাপনা কমিটি। এখন কোচ হিসেবে কাজ করছেন নিকোলা ইলিয়েভস্কি। মেসিডোনিয়ান এ কোচ হরহামেশাই বিদেশি শক্তিশালী দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস ম্যাচের দাবি জানিয়ে আসছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বেলায় তাঁর সেই দাবি পূরণ করতে পারেনি কমিটি। ডিসেম্বরে দিলি্লতে অনুষ্ঠেয় সাফের আগেও তাঁর একই দাবি। বাদল রায় বলছেন, 'প্র্যাকটিস ম্যাচের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। ঠিক হলে জানাব।'
ঠিক করা না গেলে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রোফাইলে যোগ হবে আরেকটা ব্যর্থতা।
সাড়ে তিন বছরের পারফরম্যান্স
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাই '০৮
গ্রুপ পর্বে শেষ
কলম্বো সাফ ফুটবল '০৮
গ্রুপ পর্বে শেষ
মারদেকা কাপ '০৮
গ্রুপ পর্বে শেষ
গ্র্যান্ড রয়েল চ্যালেঞ্জ কাপ '০৮
গ্রুপ পর্বে শেষ
বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল '০৯
সেমিফাইনালে শেষ
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাই '০৯
উত্তীর্ণ
এসএ গেমস (অনূর্ধ্ব-২৩) '১০
চ্যাম্পিয়ন
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ মূল পর্ব '১০
গ্রুপ পর্বে শেষ
এশিয়ান গেমস '১০
গ্রুপ পর্বে শেষ
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাই পর্ব '১১
অনুত্তীর্ণ
অলিম্পিক বাছাই '১১
প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়
বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই '১১
দ্বিতীয় রাউন্ড
সাফ ফুটবল '১১ (দিল্লি)
??
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির চার বছরের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এ অবস্থায় জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির গত সাড়ে তিন বছরের কাজের একটা মূল্যায়ন করাই যায়। ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১২টি টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছে ৩৭টি, যার মধ্যে জয় পেয়েছে ১৩টিতে, ড্র করেছে ৭টি আর হেরেছে বাকি ১৭ ম্যাচে। এ সময়ে সবচেয়ে বড় সাফল্য গত বছর ঢাকায় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের এসএ গেমস জয়। আরেকটা সাফল্য হলো ২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাই পর্ব উতরানো। বাকি ১০টি টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশ দল চরমভাবে ব্যর্থ। এর মধ্যে দুটো সাফ ফুটবলের আসর গেছে। ২০০৮ সালে কলম্বোতে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ পরের বছর নিজের মাটিতে খেলেও ফাইনালে পেঁৗছাতে পারেনি। আর এ বছরের বড় হোঁচটটা হলো, মিয়ানমারে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাই পর্বে আটকে যাওয়া। অথচ তারাই আগেরবার খেলেছিল মূল পর্বে! জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়ও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না এ ফলাফলে, 'যেসব কার্যক্রম হয়েছে তাতে সন্তুষ্টির কিছু নেই। তবে দল চালানোর জন্য যে আর্থিক সমর্থন পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।'
অথচ তুলনায় গেলে দেখা যাবে, আগের চেয়ে গত সাড়ে তিন বছরেই প্র্যাকটিস এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বেশি পেয়েছে দলগুলো। তার পরও অবশ্য সব চাহিদা ঠিকঠাকভাবে মেটানো যায়নি। তবে যেটুকু মেটানো গেছে তা সিটিসেল ও গ্রামীণফোনের স্পনসরশিপের সুবাদে। কিন্তু জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যানের দাবি, 'গ্রামীণফোন টাইটেল স্পনসর বলে জাতীয় দলের স্পনসর হিসেবে কাউকে নেওয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া স্পনসর জোগাড় করা তো ব্যবস্থাপনা কমিটির কাজ নয়। এটা বাফুফের দায়িত্ব।' বাফুফের দায়িত্ব বলে কি তিনি শুধু সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকেই বোঝানোর চেষ্টা করছেন? বাফুফের সহসভাপতি হিসেবে বাদল রায়েরও কি স্পনসর জোগাড় করা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? শুধু খরচ করে যাওয়াই কাজ! জানা মতে, এখন পর্যন্ত সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সদস্য গোলাম রাব্বানী হেলাল ছাড়া বাফুফের আর কেউ তো স্পনসর জোগাড় করেননি।
শুধু অর্থাভাবের অজুহাত নয়, বাদল রায়ের মনে ফুটবল অবকাঠামো নিয়েও অনেক অনুযোগ, 'আমাদের লিগ দুর্বল। যেসব খেলোয়াড় আসে তাদের বেসিকে সমস্যা, তাই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে গেলে এগুলো সামনে চলে আসে। সব মিলিয়ে আমাদের ফুটবল অবকাঠামো অনেক দুর্বল।' বাফুফের জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃত্বও কি খুব একটা শক্তিশালী? সে রকম হলে এই সাড়ে তিন বছরে আটজন কোচের হাতে ঘুরবে কেন জাতীয় দল? সময়ের বিচারে কোচ পরিবর্তন হয়েছে অবিশ্বাস্য দ্রুততায়! তাতে জাতীয় দলের খেলার কোনো নির্দিষ্ট চরিত্র দাঁড়ায়নি। নতুন যিনি আসেন তিনি নিজস্ব স্টাইলে খেলান এবং গিনিপিগের মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকেন। দুর্ভাগ্য হলো, এই বাস্তবতাটা উপলব্ধি করতে পারেন না সাবেক ফুটবলারদের নিয়ে গড়া আমাদের ব্যবস্থাপনা কমিটি।
তাই দ্রুত কোচ পরিবর্তনের দায়টাও এসে পড়ছে এই কমিটির কাঁধে। আটজনের মধ্যে আছেন চারজন বিদেশি কোচ, তাঁর মধ্যে এডসন ডিডো ও রবার্ট রুবচিচ বিদায় নিয়েছেন অপমানের জ্বালা নিয়ে। ডিডো শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আট ফুটবলারকে বাদ দিতে চেয়েছিলেন আর সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল ব্যবস্থাপনা কমিটি। তাতেই ব্রাজিলিয়ান কোচ ক্ষুব্ধ হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। আর অনেক দিনের বেতন আটকে থাকায় রবার্ট রুবচিচ কাউকে না জানিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। এই সত্য গোপন করতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি ব্যবস্থাপনা কমিটি। এখন কোচ হিসেবে কাজ করছেন নিকোলা ইলিয়েভস্কি। মেসিডোনিয়ান এ কোচ হরহামেশাই বিদেশি শক্তিশালী দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস ম্যাচের দাবি জানিয়ে আসছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বেলায় তাঁর সেই দাবি পূরণ করতে পারেনি কমিটি। ডিসেম্বরে দিলি্লতে অনুষ্ঠেয় সাফের আগেও তাঁর একই দাবি। বাদল রায় বলছেন, 'প্র্যাকটিস ম্যাচের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। ঠিক হলে জানাব।'
ঠিক করা না গেলে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রোফাইলে যোগ হবে আরেকটা ব্যর্থতা।
সাড়ে তিন বছরের পারফরম্যান্স
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাই '০৮
গ্রুপ পর্বে শেষ
কলম্বো সাফ ফুটবল '০৮
গ্রুপ পর্বে শেষ
মারদেকা কাপ '০৮
গ্রুপ পর্বে শেষ
গ্র্যান্ড রয়েল চ্যালেঞ্জ কাপ '০৮
গ্রুপ পর্বে শেষ
বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবল '০৯
সেমিফাইনালে শেষ
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাই '০৯
উত্তীর্ণ
এসএ গেমস (অনূর্ধ্ব-২৩) '১০
চ্যাম্পিয়ন
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ মূল পর্ব '১০
গ্রুপ পর্বে শেষ
এশিয়ান গেমস '১০
গ্রুপ পর্বে শেষ
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাই পর্ব '১১
অনুত্তীর্ণ
অলিম্পিক বাছাই '১১
প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়
বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই '১১
দ্বিতীয় রাউন্ড
সাফ ফুটবল '১১ (দিল্লি)
??
No comments