ভারতনির্ভর পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে : মওদুদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের একতরফা পররাষ্ট্রনীতির কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের আর কোনো বন্ধু নেই। একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের কোনো স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি নেই বলে পশ্চিমা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ দিন দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।আমেরিকার হার্বার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র ফেলো হিসেবে দুই মাসের গবেষণা শেষে দেশে ফিরে গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন। হার্বার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই মাসব্যাপী তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘সুশাসন এবং উদীয়মান গণতন্ত্র : প্রেক্ষিত দক্ষিণ এশিয়া’।
গবেষণাকালে তিনি বিভিন্ন দেশের ফেলোদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে এই মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। হার্বার্ড গবেষণায় যোগ দিতে তিনি গত ৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। গত ৩ নভেম্বর তিনি ঢাকায় ফিরেছেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক আর বন্ধুত্ব এক জিনিস নয়। বহির্বিশ্বে বর্তমান সরকারের অধীনে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাংলাদেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্র নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের পক্ষের সব শক্তির সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের
মাধ্যমে একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য সরকারকে বাধ্য করে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং নির্বাচিত সরকার এক কথা নয়। গণতন্ত্রের অনুশীলন এবং মূল্যবোধের চর্চায় বর্তমান সরকার চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সব বিরোধী দল এবং মতের প্রতি সরকারের অসহনশীল আচরণ, সংঘাতমূলক রাজনীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, একটি নির্বাচিত সরকার যখন স্বৈরশাসকে পরিণত হয়, সেখানে গণতন্ত্র অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে এখন আর গণতন্ত্রের গুণগত কোনো বৈশিষ্ট্য নেই উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, একটি অকার্যকর সংসদের মাধ্যমে একতরফা সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাদ দিয়ে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় ফিরে আসার পরিকল্পনা সেই স্বৈর শাসনেরই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকারের আচরণ প্রমাণ করেছে—জনগণের উপর বর্তমান সরকারের আর কোনো আস্থা নেই, বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন কখনই নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করা ছাড়া সামনে আর কোনো রাস্তা খোলা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণআন্দোলনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের বিদায় হবে এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামীতে নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে আওয়ামী লীগও অংশ নিতে বাধ্য হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ভবিষ্যতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হয়ে যাবে। আদালতের মাধ্যমে অথবা জাতীয় সংসদের মাধ্যমে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হবে। তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক হলেন জনগণ। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনই হচ্ছে সংবিধান। অথচ সরকার ৭ অনুচ্ছেদে একটি উপ-অনুচ্ছেদ যুক্ত করে ভবিষ্যতে এই সংবিধান সংশোধনীর পথ রুদ্ধ করেছে। অর্থাত্ জনগণ চাইলেও ভবিষ্যতে আর সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না। এতে জনগণের ইচ্ছার আর প্রতিফলন রইল না। এতে জনগণের ক্ষমতাকে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে খর্ব করেছে সরকার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সেনা মোতায়েন নিয়ে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন সেটা সঠিক নয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন কখনও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক আর বন্ধুত্ব এক জিনিস নয়। বহির্বিশ্বে বর্তমান সরকারের অধীনে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাংলাদেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্র নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের পক্ষের সব শক্তির সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের
মাধ্যমে একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য সরকারকে বাধ্য করে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং নির্বাচিত সরকার এক কথা নয়। গণতন্ত্রের অনুশীলন এবং মূল্যবোধের চর্চায় বর্তমান সরকার চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সব বিরোধী দল এবং মতের প্রতি সরকারের অসহনশীল আচরণ, সংঘাতমূলক রাজনীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, একটি নির্বাচিত সরকার যখন স্বৈরশাসকে পরিণত হয়, সেখানে গণতন্ত্র অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে এখন আর গণতন্ত্রের গুণগত কোনো বৈশিষ্ট্য নেই উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, একটি অকার্যকর সংসদের মাধ্যমে একতরফা সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাদ দিয়ে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় ফিরে আসার পরিকল্পনা সেই স্বৈর শাসনেরই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকারের আচরণ প্রমাণ করেছে—জনগণের উপর বর্তমান সরকারের আর কোনো আস্থা নেই, বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন কখনই নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করা ছাড়া সামনে আর কোনো রাস্তা খোলা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণআন্দোলনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের বিদায় হবে এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামীতে নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে আওয়ামী লীগও অংশ নিতে বাধ্য হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ভবিষ্যতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হয়ে যাবে। আদালতের মাধ্যমে অথবা জাতীয় সংসদের মাধ্যমে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হবে। তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক হলেন জনগণ। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনই হচ্ছে সংবিধান। অথচ সরকার ৭ অনুচ্ছেদে একটি উপ-অনুচ্ছেদ যুক্ত করে ভবিষ্যতে এই সংবিধান সংশোধনীর পথ রুদ্ধ করেছে। অর্থাত্ জনগণ চাইলেও ভবিষ্যতে আর সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না। এতে জনগণের ইচ্ছার আর প্রতিফলন রইল না। এতে জনগণের ক্ষমতাকে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে খর্ব করেছে সরকার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সেনা মোতায়েন নিয়ে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন সেটা সঠিক নয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন কখনও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।
No comments