ঈদের ছুটিতে শ্রীমঙ্গল মিরসরাইসহ পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড়
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এবার ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে। এখানে এরই মধ্যে শীতের আমেজ চলে আসায় পর্যটকের সংখ্যা আরও বেড়ে গেছে। কারণ হালকা শীত বেড়ানোর জন্য খুবই উপযুক্ত সময়।
অতিথি বরণ করতে পর্যটন স্পটে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন, নিরাপদে থাকতে পারেন—সেজন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-বাংলোগুলোতে চলছে সাজ সাজ রব।
অতিথি বরণ করতে পর্যটন স্পটে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন, নিরাপদে থাকতে পারেন—সেজন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-বাংলোগুলোতে চলছে সাজ সাজ রব।
এগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে অতিথিদের আনন্দময় অবকাশযাপনের জন্য। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-বাংলো আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
শ্রীমঙ্গল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। আছে সমতলের বাঙালির পাশাপাশি অনেকগুলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও জীবনধারা। সারা বছরই শ্রীমঙ্গলে পর্যটকের আনাগোনা লেগে থাকে। আর উত্সব-পার্বণে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবারও ঈদ উত্সবে এর ব্যতিক্রম হবে না। সে কারণে নৈসর্গিক ও অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলে ঈদ উপলক্ষে কোনো হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টহাউস, বাংলো বা কটেজের সিট খালি নেই। সবগুলোই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এ পর্যটন এলাকাকে বেছে নিয়েছেন দেশি-বিদেশি প্রকৃতিপ্রেমীরা ঈদ উত্সবের ছুটিকে কাজে লাগাতে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, টি-রিসোর্ট, ইকো-কটেজ, বিটিআরআই রেস্টহাউস, পিডিইউ রেস্টহাউস, লাউয়াছড়া বাংলোসহ অন্য রেস্টহাউসগুলো ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কেও ঈদের দিন থেকে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ফলে ঈদ-পরবর্তী সাত দিন শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থানগুলো দেশি-বিদেশি পর্যটক, দর্শনার্থী, প্রকৃতিপ্রেমী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ নানা পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে।
ঢাকা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরবর্তী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শ্রীমঙ্গলের অবস্থান। সারাদেশের সঙ্গে এই জনপদের রেলে ও সড়কপথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে যে কোনো মানুষকে কাছে টানতে সক্ষম শ্রীমঙ্গল। এখানে আছে দিগন্তজোড়া হাওর-বাঁওড়। অপার সৌন্দর্যের বাইক্কা বিলের পাড়ে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে হাওরের অফুরন্ত মূল্যবান জলজ সম্পদসহ পাখি দেখার সুযোগ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বার বার। এছাড়াও রয়েছে শ্রীমঙ্গলের প্রবেশপথে সাতগাঁও চা বাগানে অবস্থিত দৃিষ্টনন্দন চায়ের ভাস্কর্য, মিনি চিড়িয়াখানা, ডিনস্টন সিমেট্রি, চা গবেষণা কেন্দ্র, বালিশিরা ছড়ার লেক, খাসিয়াপুঞ্জি, নির্মাই শিববাড়ি, লেবু ও আনারস বাগান আর চা বাগানঘেঁরা পর্যটকদের মন ভোলানো সব আয়োজন। পাহাড়ি টিলার ওপর রয়েছে টি-রিসোর্ট।
মিরসরাইয়ের তিনটি স্পটে পর্যটকদের ঢল নামবে : নুরুল আলম মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ৩টি পর্যটন স্পটে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। দর্শনীয় এসব স্থানে কোনোপ্রকার টিকিটের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর ঈদে প্রচুর পর্যটকের ভিড় হয়। বিশেষ করে উপজেলার ঠাকুরদীঘি এলাকায় অবস্থিত মহামায়ায় পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় থাকে। গত ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি উদ্বোধন করার পর থেকে প্রচুর পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সী পর্যটক মহামায়া এলাকায় ঘুরতে আসেন। বিশেষ করে ঈদ এলে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় থাকে। এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। এখানে আছে সুবিশাল লেক, পাহাড়। নৌকায় করে লেকের পানিতে ঘুরতে ঘুরতে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। এছাড়া ছোটদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খেলার সামগ্রী। অন্যদিকে উপজেলা মুহুরি প্রজেক্টে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসেন। এখানে রয়েছে স্লুইস গেট, বিশাল পিকনিক স্পট, নৌকায় করে ভ্রমণের ব্যবস্থা। প্রতিবছর ঈদ এলে মুহুরি প্রজেক্ট এলাকা পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
শ্রীমঙ্গল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। আছে সমতলের বাঙালির পাশাপাশি অনেকগুলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও জীবনধারা। সারা বছরই শ্রীমঙ্গলে পর্যটকের আনাগোনা লেগে থাকে। আর উত্সব-পার্বণে তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবারও ঈদ উত্সবে এর ব্যতিক্রম হবে না। সে কারণে নৈসর্গিক ও অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলে ঈদ উপলক্ষে কোনো হোটেল, রিসোর্ট, রেস্টহাউস, বাংলো বা কটেজের সিট খালি নেই। সবগুলোই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এ পর্যটন এলাকাকে বেছে নিয়েছেন দেশি-বিদেশি প্রকৃতিপ্রেমীরা ঈদ উত্সবের ছুটিকে কাজে লাগাতে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, টি-রিসোর্ট, ইকো-কটেজ, বিটিআরআই রেস্টহাউস, পিডিইউ রেস্টহাউস, লাউয়াছড়া বাংলোসহ অন্য রেস্টহাউসগুলো ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কেও ঈদের দিন থেকে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ফলে ঈদ-পরবর্তী সাত দিন শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থানগুলো দেশি-বিদেশি পর্যটক, দর্শনার্থী, প্রকৃতিপ্রেমী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ নানা পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে।
ঢাকা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরবর্তী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শ্রীমঙ্গলের অবস্থান। সারাদেশের সঙ্গে এই জনপদের রেলে ও সড়কপথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে যে কোনো মানুষকে কাছে টানতে সক্ষম শ্রীমঙ্গল। এখানে আছে দিগন্তজোড়া হাওর-বাঁওড়। অপার সৌন্দর্যের বাইক্কা বিলের পাড়ে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে হাওরের অফুরন্ত মূল্যবান জলজ সম্পদসহ পাখি দেখার সুযোগ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে বার বার। এছাড়াও রয়েছে শ্রীমঙ্গলের প্রবেশপথে সাতগাঁও চা বাগানে অবস্থিত দৃিষ্টনন্দন চায়ের ভাস্কর্য, মিনি চিড়িয়াখানা, ডিনস্টন সিমেট্রি, চা গবেষণা কেন্দ্র, বালিশিরা ছড়ার লেক, খাসিয়াপুঞ্জি, নির্মাই শিববাড়ি, লেবু ও আনারস বাগান আর চা বাগানঘেঁরা পর্যটকদের মন ভোলানো সব আয়োজন। পাহাড়ি টিলার ওপর রয়েছে টি-রিসোর্ট।
মিরসরাইয়ের তিনটি স্পটে পর্যটকদের ঢল নামবে : নুরুল আলম মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ৩টি পর্যটন স্পটে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। দর্শনীয় এসব স্থানে কোনোপ্রকার টিকিটের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর ঈদে প্রচুর পর্যটকের ভিড় হয়। বিশেষ করে উপজেলার ঠাকুরদীঘি এলাকায় অবস্থিত মহামায়ায় পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় থাকে। গত ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি উদ্বোধন করার পর থেকে প্রচুর পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সী পর্যটক মহামায়া এলাকায় ঘুরতে আসেন। বিশেষ করে ঈদ এলে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় থাকে। এলাকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। এখানে আছে সুবিশাল লেক, পাহাড়। নৌকায় করে লেকের পানিতে ঘুরতে ঘুরতে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। এছাড়া ছোটদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খেলার সামগ্রী। অন্যদিকে উপজেলা মুহুরি প্রজেক্টে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসেন। এখানে রয়েছে স্লুইস গেট, বিশাল পিকনিক স্পট, নৌকায় করে ভ্রমণের ব্যবস্থা। প্রতিবছর ঈদ এলে মুহুরি প্রজেক্ট এলাকা পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
No comments