কলম্বিয়ায় শীর্ষ ফার্ক গেরিলা নেতা নিহত
কলম্বিয়ার বামপন্থি গেরিলা সংগঠন রেভলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) শীর্ষ নেতা আলফোনসো কানোকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার দাবি করেছে, সেনাবাহিনীর এক অভিযানে তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন গেরিলাকে গ্রেফতারও করা হয়। খবর বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরার।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুয়ান কার্লোস পিনজোন জানান, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় সেনা অভিযানে ফার্ক নেতা আলফোনসো কানো (৬৩) নিহত হন। অভিযানের বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি বাহিনী প্রথমে কাউকা প্রদেশের জঙ্গলে গেরিলাদের ক্যাম্প লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করে। এরপর হেলিকপ্টারের সাহায্যে তল্লাশি চালিয়ে কানোকে হত্যা করে। এ সময় গেরিলাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়। কানোকে হত্যার বিষয়টি কলম্বিয়ার টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট স্যান্টোস এক ভাষণে বলেন, কানো নিহত হওয়ার ঘটনা ফার্ক গেরিলাদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক আঘাত। তিনি বলেন, 'আমরা শান্তি চাই। কানো হত্যা সংগঠনটির গেরিলাদের প্রতি এই বার্তা_ হয় তারা তাদের তৎপরতা বন্ধ করবে, না হয় জেলে যাবে। নয়তো কবরে যাবে।'
কলম্বিয়ার সরকার কানোর মাথার দাম ৪০ লাখ ডলার ঘোষণা করেছিল। ২০০৮ সালে সেনা অভিযানে ফার্কের প্রতিষ্ঠাতা নিহত হলে কানো এই গেরিলা সংগঠনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। মার্কিন সমর্থিত কলম্বিয়া সরকার ২০০২ সালে ফার্ক গেরিলা সংগঠনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে। এ অভিযানে ফার্কের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নেতা নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ গত বছর ফার্কের শীর্ষ সেনা কমান্ডার মোনো জোজয় নিহত হন।
বিশ্লেষকদের মতে, কলম্বিয়ায় পাঁচ দশক ধরে ফার্ক সক্রিয় রয়েছে। তবে মার্কিন সমর্থিত সেনা অভিযানে তারা ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। ১৯৬৪ সাল থেকে সক্রিয় এ সংগঠনটিই এক সময় কলম্বিয়ার বেশির ভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করত। সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে কলম্বিয়ায় তারা মার্কসপন্থি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এ গেরিলা সংগঠনটি গড়ে তোলে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট স্যান্টোস এক ভাষণে বলেন, কানো নিহত হওয়ার ঘটনা ফার্ক গেরিলাদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক আঘাত। তিনি বলেন, 'আমরা শান্তি চাই। কানো হত্যা সংগঠনটির গেরিলাদের প্রতি এই বার্তা_ হয় তারা তাদের তৎপরতা বন্ধ করবে, না হয় জেলে যাবে। নয়তো কবরে যাবে।'
কলম্বিয়ার সরকার কানোর মাথার দাম ৪০ লাখ ডলার ঘোষণা করেছিল। ২০০৮ সালে সেনা অভিযানে ফার্কের প্রতিষ্ঠাতা নিহত হলে কানো এই গেরিলা সংগঠনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। মার্কিন সমর্থিত কলম্বিয়া সরকার ২০০২ সালে ফার্ক গেরিলা সংগঠনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে। এ অভিযানে ফার্কের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নেতা নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ গত বছর ফার্কের শীর্ষ সেনা কমান্ডার মোনো জোজয় নিহত হন।
বিশ্লেষকদের মতে, কলম্বিয়ায় পাঁচ দশক ধরে ফার্ক সক্রিয় রয়েছে। তবে মার্কিন সমর্থিত সেনা অভিযানে তারা ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। ১৯৬৪ সাল থেকে সক্রিয় এ সংগঠনটিই এক সময় কলম্বিয়ার বেশির ভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করত। সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে কলম্বিয়ায় তারা মার্কসপন্থি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এ গেরিলা সংগঠনটি গড়ে তোলে।
No comments