নাটোরের ১০ হাজার আখচাষীর ঘরে ঈদের আনন্দ নেই
নাটোরের দুটি চিনিকলে এবার ঈদের আগে মাড়াই মৌসুম শুরু না করায় মিল এলাকায় মধ্যবিত্ত প্রায় ১০ হাজার আখচাষী টাকার অভাবে ভালোভাবে ঈদ করতে পারছেন না। মিল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতি বছর মিল দুটির মাড়াই মৌসুম ঈদের আগে শুরু হয়। চাষীরা মিলে আখ সরবরাহ করার টাকা দিয়ে ভালোভাবে ঈদ করতে পারেন। এবারও সেই নিয়মে ২৮ অক্টোবর নাটোর চিনিকলে মাড়াই মৌসুম শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে পিছিয়ে ১১ নভেম্বর মাড়াই মৌসুম উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এতে অনেক কৃষক তাদের আখ স্থানীয়ভাবে পাওয়ার ক্রাশারে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে অনেক আগেই মিলের মাড়াই মৌসুম শেষ হয়ে যাবে এবং লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পাশাপাশি লোকসানের অঙ্কটাও বড় হবে।
নাটোরের দুটি চিনিকল সূত্রে জানা যায়, নর্থ বেঙ্গল চিনিকল দু’লাখ ৫০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ১৮ হাজার ৭৫০ টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত মৌসুমে ১৪ হাজার ৯৫০ টন চিনি উত্পাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৫ হাজার ৮২৩ টন চিনি, অর্থাত্ ৮৭৩ টন অতিরিক্ত চিনি উত্পাদনে সক্ষম হয়েছিল। অন্যদিকে নাটোর চিনিকল গত মৌসুমে ১০ হাজার ২৮২ টন চিনি উত্পাদনে সক্ষম হলেও চলতি মৌসুমে এক লাখ ২৩ হাজার টন আখ মাড়াই করে সাত হাজার ৫০০ টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। নর্থ বেঙ্গল চিনিকল নিজস্ব খামারে দুই হাজার ৩১৮ একর জমিতে আখ চাষ করেছে। এই চিনিকল এলাকাতে চলতি মৌসুমে আখের মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৭ হাজার ২০০ একর। অন্যদিকে নাটোর চিনিকল এলাকায় এবার ২১ হাজার ৫০৫ একর জমিতে আখচাষ হয়েছে। দুটি চিনিকল সার, বীজ ও কীটনাশক খাতে কৃষকদের মাঝে মোট ১৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে। এছাড়া সরকার চিনিকলে আখ সরবরাহে কৃষকদের উত্সাহিত করতে আখের ক্রয়মূল্য ১০.৪৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৩.৫৬ টাকা নির্ধারণ করেছে। এতে চাষীরা আখচাষে উত্সাহী হলেও ঈদের আগে মিল চালু না হওয়ায় চিনিকল এলাকার প্রায় দেড় হাজার অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারে চাষীরা আখ বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে ক্রাশারে মাড়াই করে গুড় উত্পাদন শুরু হওয়ায় তা চিনিকলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রাশার পরিচালনাকারী ব্যক্তিরা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা মণ দরে আখ কিনছেন। ফলে কৃষকরা পাওয়ার ক্রাশারে আখ বিক্রি করছেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, এসব অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশেদ হোসেন এবং নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেছেন, অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকলে চলতি মৌসুমে চিনিকল উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না। ঈদের আগে মিল কেন চালু করা হলো না, এ ব্যাপারে মিলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মিল এলাকার আখচাষী মোখলেছুর রহমান বাবু বলেন, এবার ঈদের আগে মাড়াই শুরু না করায় আর্থিকভাবে খুবই সঙ্কটের মধ্যে তাদের ঈদ করতে হচ্ছে। ফলে তাদের পরিবারে অন্য আখচাষীদের মতোই ঈদের আনন্দ ভালোভাবে উপভোগ করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ আখচাষী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম সারোয়ার বলেন, এবার দেশের অধিকাংশ মিল এলাকার চাষীদেরই ঈদে আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। মিলগুলো কিছুদিন আগে চালু করলে মধ্যবিত্ত আখচাষীদের এই সমস্যায় পড়তে হতো না।
নাটোরের দুটি চিনিকল সূত্রে জানা যায়, নর্থ বেঙ্গল চিনিকল দু’লাখ ৫০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ১৮ হাজার ৭৫০ টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত মৌসুমে ১৪ হাজার ৯৫০ টন চিনি উত্পাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৫ হাজার ৮২৩ টন চিনি, অর্থাত্ ৮৭৩ টন অতিরিক্ত চিনি উত্পাদনে সক্ষম হয়েছিল। অন্যদিকে নাটোর চিনিকল গত মৌসুমে ১০ হাজার ২৮২ টন চিনি উত্পাদনে সক্ষম হলেও চলতি মৌসুমে এক লাখ ২৩ হাজার টন আখ মাড়াই করে সাত হাজার ৫০০ টন চিনি উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। নর্থ বেঙ্গল চিনিকল নিজস্ব খামারে দুই হাজার ৩১৮ একর জমিতে আখ চাষ করেছে। এই চিনিকল এলাকাতে চলতি মৌসুমে আখের মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৭ হাজার ২০০ একর। অন্যদিকে নাটোর চিনিকল এলাকায় এবার ২১ হাজার ৫০৫ একর জমিতে আখচাষ হয়েছে। দুটি চিনিকল সার, বীজ ও কীটনাশক খাতে কৃষকদের মাঝে মোট ১৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে। এছাড়া সরকার চিনিকলে আখ সরবরাহে কৃষকদের উত্সাহিত করতে আখের ক্রয়মূল্য ১০.৪৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৩.৫৬ টাকা নির্ধারণ করেছে। এতে চাষীরা আখচাষে উত্সাহী হলেও ঈদের আগে মিল চালু না হওয়ায় চিনিকল এলাকার প্রায় দেড় হাজার অবৈধ পাওয়ার ক্রাশারে চাষীরা আখ বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে ক্রাশারে মাড়াই করে গুড় উত্পাদন শুরু হওয়ায় তা চিনিকলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রাশার পরিচালনাকারী ব্যক্তিরা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা মণ দরে আখ কিনছেন। ফলে কৃষকরা পাওয়ার ক্রাশারে আখ বিক্রি করছেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, এসব অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশেদ হোসেন এবং নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেছেন, অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার বন্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকলে চলতি মৌসুমে চিনিকল উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না। ঈদের আগে মিল কেন চালু করা হলো না, এ ব্যাপারে মিলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মিল এলাকার আখচাষী মোখলেছুর রহমান বাবু বলেন, এবার ঈদের আগে মাড়াই শুরু না করায় আর্থিকভাবে খুবই সঙ্কটের মধ্যে তাদের ঈদ করতে হচ্ছে। ফলে তাদের পরিবারে অন্য আখচাষীদের মতোই ঈদের আনন্দ ভালোভাবে উপভোগ করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ আখচাষী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম সারোয়ার বলেন, এবার দেশের অধিকাংশ মিল এলাকার চাষীদেরই ঈদে আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। মিলগুলো কিছুদিন আগে চালু করলে মধ্যবিত্ত আখচাষীদের এই সমস্যায় পড়তে হতো না।
No comments