লঞ্চের ডেক ছাদ কোথাও ঠাঁই নেই
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা দুর্ভোগহীন রাখতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে সদরঘাট কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর এ লঞ্চ টার্মিনাল এখন দুর্ভোগের আরেক নাম। রাজধানীর যে কোনো অঞ্চল থেকে সদরঘাটে পেঁৗছতেই যাত্রীদের অবস্থা নাকাল। কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাসহ যাত্রীদের অসচেতনতার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, অত্যন্ত সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে যাত্রীরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। শত দুর্ভোগ উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ রাজধানীর সদরঘাটে এসে অপেক্ষা করছেন লঞ্চের জন্য। কিন্তু লঞ্চের দেখা নেই।
টার্মিনালেই অপেক্ষা করতে হবে। রাত কাটাতে হবে এখানেই। তাতে কী, তবুও যেতে হবে নিকটজনের কাছে। ঈদের আনন্দে একসঙ্গে থাকতে হবে সবার। এ সুযোগে লঞ্চ মালিকরা ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়ছেন।
বিআইডবি্লউটিএর সদরঘাট নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার লাখ দেড়েক যাত্রী সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করবেন। আগের দিন চলে গেছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সদরঘাট বন্দর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম জানায়, শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ টার্মিনাল থেকে সাতটি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। গতকাল সারাদিনে ১২০টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। শুক্রবার ছেড়েছে ৯৭টি লঞ্চ। এদিকে যাত্রীদের চাপে নির্ধারিত সময়ের সাত-আট ঘণ্টা আগেই বেশ কিছু লঞ্চ বন্দর ছেড়েছে।
লঞ্চের কেবিনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে ক'দিন আগে। ডেকেও জায়গা নেই। তাতে কী, ছাদে উঠে হলেও যেতে হবে বাড়ি। গতকাল রাজধানীর সদরঘাটের চিত্র ছিল এমনই। যাত্রীর ভিড়ে পা ফেলার জায়গা ছিল না সদরঘাটে। নিষেধ থাকার পরও অতিরিক্ত
যাত্রী বহন করছে লঞ্চগুলো। এমনকি ছাদেও যাত্রীর কমতি ছিল না। ঝুঁকি নিয়ে নদী থেকে নৌকায় করে লঞ্চে উঠছেন অনেকে। এ ঘটনা
ঘটছে র্যাব-পুলিশের সামনেই। ভোলার যাত্রী সোবাহান মিয়া জানান, অনুসন্ধান কেন্দ্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সদরঘাটের মধ্যে কুলিদের টানাহেঁচড়া না থাকলেও বাইরে কিছু লোক সমস্যা করছে। পটুয়াখালীর যাত্রী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, সরকার নির্ধারিত দামে কেবিনের টিকিট পেতে তাকে ২০০ টাকা বখশিশ দিতে হয়েছে। বরিশালগামী যাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জোহরা নদী জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে সদরঘাটে ঢোকার রাস্তার পাশে পার্ক করা গাড়ির কারণে যানজট হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে সদরঘাটে যাওয়া যাচ্ছে না।
গুলিস্তান থেকেই হাঁটা শুরু করছেন সদরঘাটমুখী অনেক যাত্রী। রাস্তার দু'পাশে বিক্ষিপ্তভাবে কোরবানির পশু রাখার জন্য ঘটছে এমন ঘটনা। আরমানিটোলা পশুর হাটে আনা কোরবানির পশু অবৈধভাবে দখল করেছে নয়াবাজার-তাঁতীবাজার মোড়। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বেসরকারিভাবে যাত্রীদের পারাপারের জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সরকারি উদ্যোগ খুব কম। ফলে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করা হচ্ছে অনেক লঞ্চে।
লঞ্চে ওভারলোডিং হচ্ছেই। টপ ছাদে যাত্রী নেওয়া যাবে না, তাই সদরঘাট থেকে গাদাগাদি করে মানুষ নিয়ে লঞ্চগুলো রওনা দিচ্ছে। ঘাট ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত যাত্রীদের টপ ছাদে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লঞ্চের চালক আর মালিকরা বলছেন, যাত্রীদের নিষেধ করলেও তারা শোনেন না।
সদরঘাটের ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক ও বন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকতা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন রুটে সরকারি-বেসরকারিভাবে স্পেশাল সার্ভিস অব্যাহত আছে।
বিআইডবি্লউটিএর সদরঘাট নদীবন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার লাখ দেড়েক যাত্রী সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করবেন। আগের দিন চলে গেছেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। সদরঘাট বন্দর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম জানায়, শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ টার্মিনাল থেকে সাতটি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। গতকাল সারাদিনে ১২০টি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। শুক্রবার ছেড়েছে ৯৭টি লঞ্চ। এদিকে যাত্রীদের চাপে নির্ধারিত সময়ের সাত-আট ঘণ্টা আগেই বেশ কিছু লঞ্চ বন্দর ছেড়েছে।
লঞ্চের কেবিনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে ক'দিন আগে। ডেকেও জায়গা নেই। তাতে কী, ছাদে উঠে হলেও যেতে হবে বাড়ি। গতকাল রাজধানীর সদরঘাটের চিত্র ছিল এমনই। যাত্রীর ভিড়ে পা ফেলার জায়গা ছিল না সদরঘাটে। নিষেধ থাকার পরও অতিরিক্ত
যাত্রী বহন করছে লঞ্চগুলো। এমনকি ছাদেও যাত্রীর কমতি ছিল না। ঝুঁকি নিয়ে নদী থেকে নৌকায় করে লঞ্চে উঠছেন অনেকে। এ ঘটনা
ঘটছে র্যাব-পুলিশের সামনেই। ভোলার যাত্রী সোবাহান মিয়া জানান, অনুসন্ধান কেন্দ্রে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সদরঘাটের মধ্যে কুলিদের টানাহেঁচড়া না থাকলেও বাইরে কিছু লোক সমস্যা করছে। পটুয়াখালীর যাত্রী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, সরকার নির্ধারিত দামে কেবিনের টিকিট পেতে তাকে ২০০ টাকা বখশিশ দিতে হয়েছে। বরিশালগামী যাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জোহরা নদী জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে সদরঘাটে ঢোকার রাস্তার পাশে পার্ক করা গাড়ির কারণে যানজট হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে সদরঘাটে যাওয়া যাচ্ছে না।
গুলিস্তান থেকেই হাঁটা শুরু করছেন সদরঘাটমুখী অনেক যাত্রী। রাস্তার দু'পাশে বিক্ষিপ্তভাবে কোরবানির পশু রাখার জন্য ঘটছে এমন ঘটনা। আরমানিটোলা পশুর হাটে আনা কোরবানির পশু অবৈধভাবে দখল করেছে নয়াবাজার-তাঁতীবাজার মোড়। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বেসরকারিভাবে যাত্রীদের পারাপারের জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সরকারি উদ্যোগ খুব কম। ফলে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করা হচ্ছে অনেক লঞ্চে।
লঞ্চে ওভারলোডিং হচ্ছেই। টপ ছাদে যাত্রী নেওয়া যাবে না, তাই সদরঘাট থেকে গাদাগাদি করে মানুষ নিয়ে লঞ্চগুলো রওনা দিচ্ছে। ঘাট ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর অতিরিক্ত যাত্রীদের টপ ছাদে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লঞ্চের চালক আর মালিকরা বলছেন, যাত্রীদের নিষেধ করলেও তারা শোনেন না।
সদরঘাটের ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক ও বন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকতা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন রুটে সরকারি-বেসরকারিভাবে স্পেশাল সার্ভিস অব্যাহত আছে।
No comments