চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে তিন স্তরের নিরাপত্তা by সাহাদাত হোসেন পরশ
ঈদুল আজহায় জবাইকৃত পশুর চামড়া পাচার প্রতিরোধে সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। সীমান্তে টহল টিমের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। এরই মধ্যে বিজিবি সদর দফতর থেকে সব বিওপিকে চামড়া পাচার প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের কোনো পয়েন্ট দিয়ে চামড়া পাচার হলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহি করতে হবে। সীমান্তের পাশাপাশি চামড়া পাচার প্রতিরোধে রাজধানীতেও পুলিশ-র্যাবের সতর্ক দৃষ্টি থাকছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, চামড়া পাচার প্রতিরোধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। যে কোনো উপায়ে চামড়া পাচার প্রতিরোধ করা হবে। পাচার প্রতিরোধে এরই মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের একাধিক বৈঠকও হয়েছে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান কমান্ডার এম সোহায়েল সমকালকে বলেন, চামড়া পাচার প্রতিরোধে করণীয় ঠিক করতে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমন্বিত বৈঠক হয়েছে। প্রতি বছরই কয়েকটি চক্র চামড়া পাচারের চেষ্টা করে। চামড়া পাচার প্রতিরোধে র্যাব সদস্যরা বিজিবিকে সহায়তা করার পাশাপাশি অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া চামড়ার ব্যবসাকেন্দ্রিক যে কোনো হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রতিরোধে র্যাবের আলাদা নজরদারি থাকবে। প্রায় প্রতি বছরই ঈদুল আজহাকে ঘিরে চামড়া পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়া পাচার করে অনেক সময় অবৈধ উপায়ে অন্যান্য চোরাই পণ্য দেশে আনা হয়। এতে দু'দিক থেকে ক্ষতির মুখে পড়ে সরকার। এরই মধ্যে সীমান্তের বেশ কিছু পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব পয়েন্ট দিয়েই পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়া পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সীমান্তের যেসব ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো_ কুড়িগ্রামের সোনাহাট, শালজোড়, জয়মনিরহাট, বালাহাট, খলিসাকোটাল, নুনখাওয়া, সাহেবের আলগা, বড়াইবাড়ি, লালমনিরহাটের মোঘলহাট, বনচৌকি, দইখাওয়া, জাওরানী, বুড়িরহাট, বলাইরহাট, লোহাকুচি, দুর্গাপুর, দিনাজপুরের হিলি, বিরল, বিরামপুর, হাঁড়িপুকুর, ফুলবাড়ী, জয়পুরহাটের আতাপাড়া, কয়া, পাগলা দেওয়ান ও পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, হরিণাবাড়ী, জয়ধরভাঙা, মিস্ত্রিপাড়া, তেঁতুলিয়া ও শালবাহান। সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার চামড়া জাফলং, তামাবিল ও করিমগঞ্জ সীমান্ত পথে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে।
চামড়া পাচার প্রতিরোধে কেবল সীমান্ত এলাকা নয়, পুলিশ-র্যাবের সদস্যরাও কাজ করবে। রাজধানীর ট্যানারি এলাকা হিসেবে খ্যাত হাজারীবাগ ও পুরান ঢাকার অন্যান্য এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন থেকে চামড়াভর্তি ট্রাকের দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে। ট্রাক যাতে রাজধানী থেকে বের
হতে না পারে সে জন্য ঢাকা থেকে বের হওয়ার কয়েকটি পয়েন্টে থাকবে নিরাপত্তা চৌকি। আমিনবাজার, কাঁচপুর ব্রিজ, আবদুল্লাহপুরে থাকবে পুলিশ-র্যাবের টহল।
সূত্র জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চামড়া পাচার প্রতিরোধের পাশাপাশি চামড়া ব্যবসা নিয়ে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখবে। এ ছাড়া মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতিও থাকবে বাড়তি নজরদারি। জানা গেছে, কোরবানির ঈদে মোট চামড়ার ৪০ শতাংশ সংগ্রহ করা হয়। বাকি ৬০ শতাংশ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয় বছরজুড়ে। ঈদকে সামনে রেখে প্রায় প্রতি বছর এক শ্রেণীর মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে থাকেন। বাংলাদেশের চামড়ার মান ভালো হওয়ায় তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন। পার্শ্ববর্তী দেশের খারাপ মানের চামড়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো মানের চামড়া মিশিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিক্রি করা হয়।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান কমান্ডার এম সোহায়েল সমকালকে বলেন, চামড়া পাচার প্রতিরোধে করণীয় ঠিক করতে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমন্বিত বৈঠক হয়েছে। প্রতি বছরই কয়েকটি চক্র চামড়া পাচারের চেষ্টা করে। চামড়া পাচার প্রতিরোধে র্যাব সদস্যরা বিজিবিকে সহায়তা করার পাশাপাশি অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া চামড়ার ব্যবসাকেন্দ্রিক যে কোনো হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রতিরোধে র্যাবের আলাদা নজরদারি থাকবে। প্রায় প্রতি বছরই ঈদুল আজহাকে ঘিরে চামড়া পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়া পাচার করে অনেক সময় অবৈধ উপায়ে অন্যান্য চোরাই পণ্য দেশে আনা হয়। এতে দু'দিক থেকে ক্ষতির মুখে পড়ে সরকার। এরই মধ্যে সীমান্তের বেশ কিছু পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব পয়েন্ট দিয়েই পার্শ্ববর্তী দেশে চামড়া পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সীমান্তের যেসব ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো_ কুড়িগ্রামের সোনাহাট, শালজোড়, জয়মনিরহাট, বালাহাট, খলিসাকোটাল, নুনখাওয়া, সাহেবের আলগা, বড়াইবাড়ি, লালমনিরহাটের মোঘলহাট, বনচৌকি, দইখাওয়া, জাওরানী, বুড়িরহাট, বলাইরহাট, লোহাকুচি, দুর্গাপুর, দিনাজপুরের হিলি, বিরল, বিরামপুর, হাঁড়িপুকুর, ফুলবাড়ী, জয়পুরহাটের আতাপাড়া, কয়া, পাগলা দেওয়ান ও পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, হরিণাবাড়ী, জয়ধরভাঙা, মিস্ত্রিপাড়া, তেঁতুলিয়া ও শালবাহান। সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার চামড়া জাফলং, তামাবিল ও করিমগঞ্জ সীমান্ত পথে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে।
চামড়া পাচার প্রতিরোধে কেবল সীমান্ত এলাকা নয়, পুলিশ-র্যাবের সদস্যরাও কাজ করবে। রাজধানীর ট্যানারি এলাকা হিসেবে খ্যাত হাজারীবাগ ও পুরান ঢাকার অন্যান্য এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন থেকে চামড়াভর্তি ট্রাকের দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে। ট্রাক যাতে রাজধানী থেকে বের
হতে না পারে সে জন্য ঢাকা থেকে বের হওয়ার কয়েকটি পয়েন্টে থাকবে নিরাপত্তা চৌকি। আমিনবাজার, কাঁচপুর ব্রিজ, আবদুল্লাহপুরে থাকবে পুলিশ-র্যাবের টহল।
সূত্র জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চামড়া পাচার প্রতিরোধের পাশাপাশি চামড়া ব্যবসা নিয়ে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখবে। এ ছাড়া মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতিও থাকবে বাড়তি নজরদারি। জানা গেছে, কোরবানির ঈদে মোট চামড়ার ৪০ শতাংশ সংগ্রহ করা হয়। বাকি ৬০ শতাংশ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয় বছরজুড়ে। ঈদকে সামনে রেখে প্রায় প্রতি বছর এক শ্রেণীর মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে থাকেন। বাংলাদেশের চামড়ার মান ভালো হওয়ায় তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন। পার্শ্ববর্তী দেশের খারাপ মানের চামড়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো মানের চামড়া মিশিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিক্রি করা হয়।
No comments