বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি ডিসিসির-নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার অনুরোধ
কোরবানির পশুবর্জ্য তিন দিনের মধ্যে অপসারণের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি)। নগরীর পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা ওয়াসা ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নেবে নগর সংস্থা। ডিসিসির কর্মকর্তারা পশুবর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।ডিসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অন্যান্য দিনের চেয়ে ঈদের দিনে রাজধানীতে ২২ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত বর্জ্য তৈরি হবে। গতবার হয়েছিল ১৮ হাজার মেট্রিক টন।'
এই কর্মকর্তা জানান, এবার ঈদুল আজহায় পশুবর্জ্য বাড়ার কারণ হলো গতবারের মতো এবার মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাঙ্ ভীতি নেই। রাজধানীতে পশুহাটের ব্যাপ্তি ও সংখ্যা দুটোই এবার বেড়েছে। তিনি ধারণা করছেন, এবার অন্তত চার লাখ পশু কোরবানি হবে। গতবার এ সংখ্যা ছিল তিন লাখ।
ক্যাপ্টেন বিপন কুমার বলেন, নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনসচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে জন্য এবার নগর কর্তৃপক্ষ সাত দিন আগে থেকেই প্রচারণা চালাচ্ছে। গাড়িতে করে চলছে মাইকিং। এ ছাড়া রেডিও-টেলিভিশন ও পত্রিকায় নিয়মিত বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে।
ডিসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আশা করছেন, এই প্রচারণার ফলে কোরবানির পর সবাই নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলবে। এসব বর্জ্য দ্রুত সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে নগর কর্তৃপক্ষের।
জানা যায়, এবার ডিসিসির ৪০০ যানবাহন নগরীর বর্জ্য সংগ্রহের কাজে টানা তিন দিন সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। ঈদের দিন বিশেষ ব্যবস্থায় আরো ১৩৭টি গাড়ি ব্যবহার করা হবে। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে খোলা ট্রাক, ট্রেইলর, আমরোল, কমপ্যাক্ট ট্রাক জাতীয় ভারী যান। বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক। এ ছাড়া বিশেষ প্রয়োজন হলে আরো দেড় হাজার শ্রমিককে তাৎক্ষণিকভাবে কাজে লাগানো হবে।
পানি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করবে ঢাকা ওয়াসা। পানির সঙ্গে স্যাভলন ও বি্লসিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হবে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলে জানা গেছে।
ডিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইতিমধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন শাখার সব শ্রমিক-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নগরবাসীর সুবিধার্থে খোলা হয়েছে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করে বর্জ্য অপসারণের অনুরোধ জানাতে পারবে নগরবাসী। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগের ফোন নম্বর : ৯৫৫৬০১৪, ৯০০৪৭৩৪ ও ৯৮৬১৩৯৩।
কোরবানির পশুবর্জ্য ডিসিসির নির্ধারিত ডাস্টবিনে না ফেলতে পারলে নির্দিষ্ট এলাকার ভ্যান সেবার সাহায্য নিতে বলেছে নগর সংস্থা। ভ্যানে ময়লা অপসারণে সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে ১০টি অঞ্চলের জন্য পৃথক ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এসব নম্বরে ফোন করলে ভ্যানে বর্জ্য সংগ্রহকারীরা বাসায় যাবে।
যোগাযোগের ফোন নম্বর : অঞ্চল-১-এর (সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও জুরাইন) ০১৯১১৭০৯৮৭৮, ০১৭১২২৯৩১৮৬; অঞ্চল-২-এর (নয়াবাজার, সিদ্দিকবাজার, লক্ষ্মীবাজার ও সূত্রাপুর) ০১৭১১৫৭৭৪৭৪, ০১৭১২৫৯২১২৬; অঞ্চল-৩-এর (লালবাগ, হাজারীবাগ, আজিমপুর, ঝিগাতলা) ০১৭১২৫৮৪০৮৬, অঞ্চল-৪-এর (খিলগাঁও, বাসাবো, মতিঝিল, কমলাপুর, মালিবাগ) ০১৯৩৭৬৯১৬৩৯, অঞ্চল-৫-এর (ধানমণ্ডি, গ্রিন রোড, নিউ মার্কেট, মগবাজার) ০১৫৫২৩৮৯৬৭১, অঞ্চল-৬-এর (মোহাম্মদপুর, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, মনিপুরিপাড়া) ০১৫৫২৩০৫৬৪৬, ০১৭১১৩১৩২৮৯; অঞ্চল-৭-এর (শেওড়াপাড়া, রোকেয়া সরণি, কল্যাণপুর, দারুসসালাম) ০১৯২৩১১৩৬৩৬, অঞ্চল-৮-এর (মিরপুর স্টেডিয়াম-সংলগ্ন এলাকা, পল্লবী, মিরপুর-১৪) ০১৯১৮৫২১২০৯, অঞ্চল-৯-এর (গুলশান, বনানী, বাড্ডা, নর্দা, কুড়িল, জোয়ার সাহারা, নাখালপাড়া) ০১৭১১৩১৩২৮৯ এবং অঞ্চল-১০-এর (উত্তরা, আজমপুর, আবদুল্লাহপুর) ০১৭১৭১০২০২৫।
ক্যাপ্টেন বিপন কুমার বলেন, নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনসচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে জন্য এবার নগর কর্তৃপক্ষ সাত দিন আগে থেকেই প্রচারণা চালাচ্ছে। গাড়িতে করে চলছে মাইকিং। এ ছাড়া রেডিও-টেলিভিশন ও পত্রিকায় নিয়মিত বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে।
ডিসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আশা করছেন, এই প্রচারণার ফলে কোরবানির পর সবাই নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলবে। এসব বর্জ্য দ্রুত সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে নগর কর্তৃপক্ষের।
জানা যায়, এবার ডিসিসির ৪০০ যানবাহন নগরীর বর্জ্য সংগ্রহের কাজে টানা তিন দিন সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। ঈদের দিন বিশেষ ব্যবস্থায় আরো ১৩৭টি গাড়ি ব্যবহার করা হবে। এসব গাড়ির মধ্যে রয়েছে খোলা ট্রাক, ট্রেইলর, আমরোল, কমপ্যাক্ট ট্রাক জাতীয় ভারী যান। বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক। এ ছাড়া বিশেষ প্রয়োজন হলে আরো দেড় হাজার শ্রমিককে তাৎক্ষণিকভাবে কাজে লাগানো হবে।
পানি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করবে ঢাকা ওয়াসা। পানির সঙ্গে স্যাভলন ও বি্লসিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হবে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে বলে জানা গেছে।
ডিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইতিমধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন শাখার সব শ্রমিক-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নগরবাসীর সুবিধার্থে খোলা হয়েছে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করে বর্জ্য অপসারণের অনুরোধ জানাতে পারবে নগরবাসী। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগের ফোন নম্বর : ৯৫৫৬০১৪, ৯০০৪৭৩৪ ও ৯৮৬১৩৯৩।
কোরবানির পশুবর্জ্য ডিসিসির নির্ধারিত ডাস্টবিনে না ফেলতে পারলে নির্দিষ্ট এলাকার ভ্যান সেবার সাহায্য নিতে বলেছে নগর সংস্থা। ভ্যানে ময়লা অপসারণে সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে ১০টি অঞ্চলের জন্য পৃথক ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এসব নম্বরে ফোন করলে ভ্যানে বর্জ্য সংগ্রহকারীরা বাসায় যাবে।
যোগাযোগের ফোন নম্বর : অঞ্চল-১-এর (সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও জুরাইন) ০১৯১১৭০৯৮৭৮, ০১৭১২২৯৩১৮৬; অঞ্চল-২-এর (নয়াবাজার, সিদ্দিকবাজার, লক্ষ্মীবাজার ও সূত্রাপুর) ০১৭১১৫৭৭৪৭৪, ০১৭১২৫৯২১২৬; অঞ্চল-৩-এর (লালবাগ, হাজারীবাগ, আজিমপুর, ঝিগাতলা) ০১৭১২৫৮৪০৮৬, অঞ্চল-৪-এর (খিলগাঁও, বাসাবো, মতিঝিল, কমলাপুর, মালিবাগ) ০১৯৩৭৬৯১৬৩৯, অঞ্চল-৫-এর (ধানমণ্ডি, গ্রিন রোড, নিউ মার্কেট, মগবাজার) ০১৫৫২৩৮৯৬৭১, অঞ্চল-৬-এর (মোহাম্মদপুর, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, মনিপুরিপাড়া) ০১৫৫২৩০৫৬৪৬, ০১৭১১৩১৩২৮৯; অঞ্চল-৭-এর (শেওড়াপাড়া, রোকেয়া সরণি, কল্যাণপুর, দারুসসালাম) ০১৯২৩১১৩৬৩৬, অঞ্চল-৮-এর (মিরপুর স্টেডিয়াম-সংলগ্ন এলাকা, পল্লবী, মিরপুর-১৪) ০১৯১৮৫২১২০৯, অঞ্চল-৯-এর (গুলশান, বনানী, বাড্ডা, নর্দা, কুড়িল, জোয়ার সাহারা, নাখালপাড়া) ০১৭১১৩১৩২৮৯ এবং অঞ্চল-১০-এর (উত্তরা, আজমপুর, আবদুল্লাহপুর) ০১৭১৭১০২০২৫।
No comments