ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ব্রিফিং : মালদ্বীপে মনমোহন সিং ও শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠক হবে by শফিকুল ইসলাম,
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই গতকাল নয়া দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মালদ্বীপে সার্কের সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এক বৈঠকে মিলিত হতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে । আগামী ১০ ও ১১ নভেম্বর মালদ্বীপের আদ্দু দ্বীপে সপ্তদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। মালদ্বীপ, বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও সার্কের সদস্য দেশ নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র সচিব আরও জানান, দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে মত বিনিময় করবেন। এ বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে সম্ভাব্য চুক্তি ও ট্রানজিট নিয়ে বাংলদেশ সরকারের বর্তমান অবস্থান বিষয়ে
আলোচনা হবে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময় ‘অমীমাংসিত থাকা’ বিষয়গুলো নিয়ে মালদ্বীপে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ঠিক কবে নাগাদ সেই চুক্তি সম্পন্ন হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময় এখন পর্যন্ত ঠিক করা সম্ভব হয়নি। যদিও তিস্তাচুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের সরকার প্রধান বেশ আশাবাদী।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং দু’দিনের সফরে ঢাকা যান। কথা ছিল সে সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তিস্তার পানি চুক্তি সম্পন্ন করবেন। অথচ শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফরে না যাওয়ায় ওই পানি চুক্তি করা আর হয়নি। ধারণা করা হয়েছিল, তিস্তাচুক্তির পানির হিস্যা নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে মতের পার্থক্যের কারণেই মমতা যাননি। মমতা না যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত চুক্তিটিও স্বাক্ষরিত হয়নি।
অন্যদিকে, সড়ক, রেল ও নৌপথে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে সড়ক, রেল ও নৌপথে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দিতে মাশুল নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সরকারের গঠিত বিশেষ কমিটি। এই কমিটি ১৭টি পথের প্রতিটিতেই পৃথক মাশুল ঠিক করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পরিকাঠামো না থাকায় আগামী তিন বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দেয়া সম্ভব নয়। পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দেয়া হলে বছরে এক কোটি ৭৩ লাখ টন পণ্য বহন করা সম্ভব হবে। আর আপাতত ট্রানশিপমেন্ট দেয়া হলে এর ১০ শতাংশ অর্থাত্ ১৮ লাখ টন পণ্য বহন করা যাবে। পরিকাঠামো উন্নয়নে আগামী ১০ বছরে ৪৭ হাজার ৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। ট্রানজিট নিয়ে ঢাকার বর্তমান অবস্থানে খুশি নয় নয়াদিল্লি।
গত সেপ্টেম্বরে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর এটাই হবে প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের প্রথম বৈঠক।
আলোচনা হবে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময় ‘অমীমাংসিত থাকা’ বিষয়গুলো নিয়ে মালদ্বীপে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ঠিক কবে নাগাদ সেই চুক্তি সম্পন্ন হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময় এখন পর্যন্ত ঠিক করা সম্ভব হয়নি। যদিও তিস্তাচুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের সরকার প্রধান বেশ আশাবাদী।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং দু’দিনের সফরে ঢাকা যান। কথা ছিল সে সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তিস্তার পানি চুক্তি সম্পন্ন করবেন। অথচ শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফরে না যাওয়ায় ওই পানি চুক্তি করা আর হয়নি। ধারণা করা হয়েছিল, তিস্তাচুক্তির পানির হিস্যা নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে মতের পার্থক্যের কারণেই মমতা যাননি। মমতা না যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত চুক্তিটিও স্বাক্ষরিত হয়নি।
অন্যদিকে, সড়ক, রেল ও নৌপথে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে সড়ক, রেল ও নৌপথে ভারত, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দিতে মাশুল নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সরকারের গঠিত বিশেষ কমিটি। এই কমিটি ১৭টি পথের প্রতিটিতেই পৃথক মাশুল ঠিক করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পরিকাঠামো না থাকায় আগামী তিন বছরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দেয়া সম্ভব নয়। পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দেয়া হলে বছরে এক কোটি ৭৩ লাখ টন পণ্য বহন করা সম্ভব হবে। আর আপাতত ট্রানশিপমেন্ট দেয়া হলে এর ১০ শতাংশ অর্থাত্ ১৮ লাখ টন পণ্য বহন করা যাবে। পরিকাঠামো উন্নয়নে আগামী ১০ বছরে ৪৭ হাজার ৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। ট্রানজিট নিয়ে ঢাকার বর্তমান অবস্থানে খুশি নয় নয়াদিল্লি।
গত সেপ্টেম্বরে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর এটাই হবে প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের প্রথম বৈঠক।
No comments