পর্যাপ্ত ঋণ পাচ্ছেন না চামড়া ব্যবসায়ীরা : টাকার অভাবে কিনতে না পারলে চামড়া পচে যাওয়ার আশঙ্কা by আহসান হাবীব রাসেল
কোরবানির পশুর চামড়া কেনা ও প্রক্রিয়াজাতের জন্য এ খাতের ব্যবসায়ীদের এ বছর রাষ্ট্রীয় চার বাণিজ্যিক ও অন্যান্য ব্যাংক প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ বছর অন্তত সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ প্রয়োজন। অন্যথায় টাকার অভাবে ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে ব্যর্থ হলে অনেক চামড়া পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, ব্যাংকগুলো গত বছর ৩০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার কথা বললেও আগের ঋণের সঙ্গে সমন্বয় করায় আমরা গত বছর ২৫০ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছি। এ বছর আমাদের যে ঋণ দেয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়।
চাহিদানুযায়ী ঋণ না পেলে দেশের সব চামড়া আমরা কিনতে পারব না। এতে চামড়া পচে যাবে ও কালোবাজারি হয়ে পাশের দেশে পাচার হবে। এ অবস্থায় তিনি দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জানা গেছে, এ বছর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো প্রায় ৩৫২ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের ঋণসহ এ বছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এরই মধ্যে ব্যাংক ৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে। গত বছরও এ খাতে ব্যাংকটি প্রায় একই পরিমাণ ঋণ দিয়েছিল। জনতা ব্যাংক গত বছরের মতো এবারও ১৫০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। অগ্রণী ব্যাংক গতবার চামড়া ক্রয়ে ঋণ দিয়েছিল ৯০ কোটি টাকা। কিন্তু এবার দিচ্ছে ৮০ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংক এবার দিচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। গত বছর এ খাতে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ২৫ কোটি টাকা। এরই মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ঋণ অনুমোদন হয়েছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিচালনা পরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হতে পারে বলে জানা গেছে। ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সাধারণ নীতিমালা হচ্ছে, আগের বছর যারা ঋণ নিয়ে ফেরত দিয়েছে, তাদের নতুন ঋণ দেয়া হবে। কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান যেন ঋণ না পায়, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে বলে ব্যাংকগুলো জানিয়েছে। তথ্যমতে, চামড়া খাতে বর্তমানে ৪০০ কোটি টাকার মতো খেলাপি ঋণ রয়েছে। যার বেশিরভাগই বিতরণ করা হয়েছিল ৯০ দশকের প্রথমার্ধে। বর্তমানে এ খাতে ঋণ আদায়ের হার আগের তুলনায় ভালো। তারপরও ব্যাংকগুলো সতর্কতার সঙ্গে ঋণ অনুমোদন দিয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রায় ২০০ চামড়া কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার বেশিরভাগ মালিকই চামড়া কেনা ও প্রক্রিয়াজাত থেকে শুরু করে চামড়া রফতানি পর্যন্ত সব কাজের জন্য ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল। চামড়া ব্যবসায়ীরা সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ চাহিদার আবেদন করলেও ব্যাংকগুলো সবমিলিয়ে ৪০০ কোটি টাকার জোগান দেবে। ফলে চামড়া ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এ বছর ঋণের অভাবে চামড়া কিনতে না পারায় অনেক চামড়া পচে যেতে পারে।
সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, হংকং, চীন, জাপান, জার্মান, সিঙ্গাপুর, স্পেন, ভারত এবং ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করা হয়। এ বছর চামড়ার বাজার মোটামুটি ভালো। রফতানিও অনেক বেশি হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। এক হিসাবে জানা যায়, ট্যানারি শিল্পে বার্ষিক চামড়ার মোট চাহিদার ৮০ শতাংশই সংগ্রহ করা হয় কোরবানি দেয়া পশু থেকে। এ চামড়া অন্যান্য সময় সংগৃহীত পশুর চামড়া থেকে উন্নতমানের। তাই এ সময়ে পর্যাপ্ত ঋণ না পেলে চামড়া শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়ে যেতে পারে। সূত্র জানায়, ভারতে চামড়ার দাম বেশি থাকায় প্রতি বছরই দেশের চামড়ার একটি বড় অংশ পাচার হয়ে যায়। বিশেষ করে ঈদুল আজহায় সংগৃহীত চামড়ার বড় একটি অংশই সিন্ডিকেট ও দালালচক্র ভারতে পাচার করে থাকে। চামড়া শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চামড়া শিল্পে পর্যাপ্ত ঋণ দেয়া না হলে কোরবানির চামড়া ভারতে পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
জানা গেছে, এ বছর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো প্রায় ৩৫২ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য ব্যাংকের ঋণসহ এ বছর প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এরই মধ্যে ব্যাংক ৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে। গত বছরও এ খাতে ব্যাংকটি প্রায় একই পরিমাণ ঋণ দিয়েছিল। জনতা ব্যাংক গত বছরের মতো এবারও ১৫০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। অগ্রণী ব্যাংক গতবার চামড়া ক্রয়ে ঋণ দিয়েছিল ৯০ কোটি টাকা। কিন্তু এবার দিচ্ছে ৮০ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংক এবার দিচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। গত বছর এ খাতে ব্যাংকটির ঋণ ছিল ২৫ কোটি টাকা। এরই মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ঋণ অনুমোদন হয়েছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিচালনা পরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হতে পারে বলে জানা গেছে। ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সাধারণ নীতিমালা হচ্ছে, আগের বছর যারা ঋণ নিয়ে ফেরত দিয়েছে, তাদের নতুন ঋণ দেয়া হবে। কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান যেন ঋণ না পায়, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে বলে ব্যাংকগুলো জানিয়েছে। তথ্যমতে, চামড়া খাতে বর্তমানে ৪০০ কোটি টাকার মতো খেলাপি ঋণ রয়েছে। যার বেশিরভাগই বিতরণ করা হয়েছিল ৯০ দশকের প্রথমার্ধে। বর্তমানে এ খাতে ঋণ আদায়ের হার আগের তুলনায় ভালো। তারপরও ব্যাংকগুলো সতর্কতার সঙ্গে ঋণ অনুমোদন দিয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রায় ২০০ চামড়া কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার বেশিরভাগ মালিকই চামড়া কেনা ও প্রক্রিয়াজাত থেকে শুরু করে চামড়া রফতানি পর্যন্ত সব কাজের জন্য ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল। চামড়া ব্যবসায়ীরা সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ চাহিদার আবেদন করলেও ব্যাংকগুলো সবমিলিয়ে ৪০০ কোটি টাকার জোগান দেবে। ফলে চামড়া ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এ বছর ঋণের অভাবে চামড়া কিনতে না পারায় অনেক চামড়া পচে যেতে পারে।
সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, হংকং, চীন, জাপান, জার্মান, সিঙ্গাপুর, স্পেন, ভারত এবং ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করা হয়। এ বছর চামড়ার বাজার মোটামুটি ভালো। রফতানিও অনেক বেশি হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। এক হিসাবে জানা যায়, ট্যানারি শিল্পে বার্ষিক চামড়ার মোট চাহিদার ৮০ শতাংশই সংগ্রহ করা হয় কোরবানি দেয়া পশু থেকে। এ চামড়া অন্যান্য সময় সংগৃহীত পশুর চামড়া থেকে উন্নতমানের। তাই এ সময়ে পর্যাপ্ত ঋণ না পেলে চামড়া শিল্প ঝুঁকির মুখে পড়ে যেতে পারে। সূত্র জানায়, ভারতে চামড়ার দাম বেশি থাকায় প্রতি বছরই দেশের চামড়ার একটি বড় অংশ পাচার হয়ে যায়। বিশেষ করে ঈদুল আজহায় সংগৃহীত চামড়ার বড় একটি অংশই সিন্ডিকেট ও দালালচক্র ভারতে পাচার করে থাকে। চামড়া শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চামড়া শিল্পে পর্যাপ্ত ঋণ দেয়া না হলে কোরবানির চামড়া ভারতে পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
No comments