আস্থা ভোটে জিতলেন পাপান্দ্রু
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রু শেষ পর্যন্ত সংসদে আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছেন। ঋণ সঙ্কটকে ঘিরে রাজনৈতিক সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে গ্রিসের সংসদে এই আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হয়। গ্রিক সংসদে আস্থা ভোটের সময় সেখানে প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রু ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখন সংসদ ভবনের বাইরে হাজার হাজার মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। পাপান্দ্রু ক্ষমতা ভাগাভগির প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরই শেষ পর্যন্ত সংসদে আস্থা ভোটে তিনি জয়ী হলেন। এই ভোটে পাপান্দ্রুর পক্ষে ১৫৩ ভোট এবং বিপক্ষে পড়েছে ১৪৫ ভোট।
আস্থা ভোটের আগে সংসদে তিনি ক্ষমতা ভাগাভাগি বা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই প্রস্তাব নিয়ে তিনি শনিবার দেশটির রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। তবে জর্জ পাপান্দ্রু আগাম নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। এই ভোটের আগে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে সংসদে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি এখন জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে সমঝোতা চান এবং ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে তিনি অন্য দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। তবে বিরোধী দলের আগাম নির্বাচনের দাবি নাকচ করে দিয়ে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রু বলেছেন, আগাম নির্বাচন দিলে তা হবে বিপর্যয়। পাপান্দ্রু তার আগের সরকারকেও আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিগত সরকার দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। যার ফলে এখন ঋণ সঙ্কটের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। বর্তমানে তার সরকারকে এর প্রতিদান দিতে হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই গ্রিসের অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় ইউরোজোনের সহায়তা প্যাকেজের ব্যাপারে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জর্জ পাপান্দ্রু। তা নিয়ে তার সরকারের ভেতরেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। মন্ত্রীদের অনেকেই বিদ্রোহের হুমকি দিয়েছিলেন। গণভোটের ওই প্রস্তাবকে ঘিরেই রাজনৈতিক সঙ্কটের যে সূত্রপাত হয়েছিল। সরকারের ভেতরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েছিলেন জর্জ পাপান্দ্রু। শেষ পর্যন্ত তার সরকারের অর্থমন্ত্রী গণভোটের প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন। এই খবরে ইউরোপ এবং এশিয়ার শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। গণভোটের বিষয়টিতে সরকারের ভেতরের অসন্তোষ দূর হওয়ার পর জর্জ পাপান্দ্রু সংসদে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি আস্থা ভোটে টিকে গেলেও দেশটির ভবিষ্যত্ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি বলেই বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই গ্রিসের অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় ইউরোজোনের সহায়তা প্যাকেজের ব্যাপারে গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জর্জ পাপান্দ্রু। তা নিয়ে তার সরকারের ভেতরেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। মন্ত্রীদের অনেকেই বিদ্রোহের হুমকি দিয়েছিলেন। গণভোটের ওই প্রস্তাবকে ঘিরেই রাজনৈতিক সঙ্কটের যে সূত্রপাত হয়েছিল। সরকারের ভেতরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েছিলেন জর্জ পাপান্দ্রু। শেষ পর্যন্ত তার সরকারের অর্থমন্ত্রী গণভোটের প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন। এই খবরে ইউরোপ এবং এশিয়ার শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। গণভোটের বিষয়টিতে সরকারের ভেতরের অসন্তোষ দূর হওয়ার পর জর্জ পাপান্দ্রু সংসদে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি আস্থা ভোটে টিকে গেলেও দেশটির ভবিষ্যত্ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি বলেই বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন।
No comments