বাজার নজরদারির সুযোগ কম-* রসিদ নেই * আইন নেই * মনিটরিং নেই by রাজীব আহমেদ
বাজার চলছে সনাতনী ব্যবস্থায়। রসিদ নেই, আইন নেই, কার্যকর মনিটরিং নেই_এসব না থাকার মধ্যে রয়েছে কারসাজির বিস্তর সুযোগ। সেই সঙ্গে আছে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য। অসংগঠিত বাজারব্যবস্থায় সরকারের নজরদারির সুযোগও খুবই কম। ফলে রমজান বা অন্য কোনো সময় পণ্যের দাম হুহু করে বাড়তে থাকলে সরকারের করার বিশেষ কিছু থাকে না।বাজার অসংগঠিত বলে মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য রয়েছে। গ্রামের ফসলের ক্ষেত থেকে শহরের ক্রেতার কাছে যেতে চার থেকে পাঁচদফা হাতবদল হয় পণ্য। ফলে দাম বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
কৃষক দাম পান সামান্য। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোয় বিকাশমান চেইন শপগুলোর সরবরাহ ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কম। কিন্তু চেইন শপগুলোর বিরুদ্ধে পণ্যের অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে সরকারের নজরদারিও নেই।ঢাকার বাজারে সাধারণত দেশে বিভিন্ন জেলা থেকে ফড়িয়ারা পণ্য নিয়ে আসেন। এসব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা সাধারণ স্থানীয় বাজার থেকে পণ্য কেনেন। স্থানীয় বাজারে পণ্য নিয়ে আসেন স্থানীয় ফড়িয়া ও বড় কৃষকরা। ছোট কৃষকরা বেশির ভাগ সময় তাঁদের ফসল বাজারে আনার উপযুক্ত হওয়ার আগেই পুরোটা বিক্রি করে দেন। ছোট বাজার থেকে ওই পণ্য যায় বড় বাজারে। সেখান থেকে শহরের ফড়িয়ারা গিয়ে পণ্য নিয়ে আসেন ঢাকার বাজারে। ঢাকার বাজারেও কয়েক ধরনের ব্যবসায়ী আছেন। যাঁরা ট্রাক থেকে পণ্য নামার আগেই তা কিনে ফেলেন। এরপর তা আড়তে নিয়ে বিক্রি করেন। অনেক ফড়িয়া নিজেরাই পণ্য আড়তে নিয়ে বিক্রি করেন। কারওয়ান বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারা পণ্য নিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। সেখান থেকে কেনেন ক্রেতারা।
জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারে নিয়মিত পণ্য নিয়ে আসা ফড়িয়া ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, চাষির হাতছাড়া হওয়ার পর মাল কত দফা হাতবদল হয়, তার কোনো ঠিক নেই। বাজারে নানান কিসিমের ব্যবসায়ী আছেন। তাঁদের কাছে পণ্য গেলেই দাম বেড়ে যায়। তিনি স্বীকার করেন, কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ক্রেতাদের হাতে যেতে দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে যায়।
রসিদ নেই : দেশের পাইকারি কিছু বাজারে রসিদের প্রচলন থাকলেও অনেক বাজারে এখনো তা চালু হয়নি। খুচরা বিক্রেতারা কোনো ধরনের রসিদ দেন না। মাছ ও সবজির ব্যবসায় পাইকারি ও খুচরা_কোনো বাজারেই রসিদের ব্যবস্থা নেই। তেল, চিনি, ডাল কিনতে গেলে পাইকারি বাজার থেকে রসিদ পাওয়া যায়। খুচরা বাজারে তা নেই।
ভোক্তা অধিকার সংকক্ষণ আইনে ক্রেতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত দামের বেশি দাম নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু কোনো ক্রেতার পক্ষেই রসিদ ছাড়া বেশি দাম নেওয়ার অভিযোটি প্রমাণ করার সুযোগ নেই। রসিদ না থাকায় তদারকির সুযোগ কম। কারণ ব্যবসায়ীরা কত দামে পণ্য কিনছেন, কত দামে বিক্রি করছেন_তা জানার কোনো উপায় থাকে না সরকারের কোনো সংস্থার পক্ষে।
রসিদ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কারসাজির নানা অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ নকল রসিদ দিচ্ছেন, কেউ খুচরা বিক্রেতাদের রসিদ সরবরাহ করছেন না। রসিদ চাইলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের! রমজান মাসজুড়ে চিনি কিনতে যাওয়া খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ ছিল এমনই।
আইন নেই : নির্ধারিত বিক্রয় মূল্যকে বেশি মনে করে কোনো অভিযোগ জানাতে পারবেন না ক্রেতারা। কারণ কোনো আইনেই তাঁদের এ সুযোগ দেওয়া হয়নি। শুধু কম্পানির নির্ধারিত দামের বেশি দামে বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে। তবে শুধু ওষুধের ক্ষেত্রে দাম নির্ধারণ করে দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে তাও সব ওষুধের নয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এ ভোক্তাদের ভেজালসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে দাম নিয়ে আইনে অভিযোগ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। ওই আইন অনুযায়ী গঠিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শুধু অন্য কোনো আইনে নির্ধারিত মূল্যের বেশি দাম রাখা হলে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু কোনো পণ্যের দাম বেশি নির্ধারণ করার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই এই অধিদপ্তরের।
কার্যকর মনিটরিং নেই : বাজার দর মনিটরিংয়ের জন্য সরকারের স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেই। সংকট তৈরি হলে সরকার অ্যাডহক ভিত্তিতে কয়েকটি মনিটরিং দল গঠন করে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের কয়েকটি দল শুধু সরকারের দুই-একটি পণ্যের নির্ধারিত দাম কার্যকর হচ্ছে কি-না, তা তদারকি করে। তাদের অভিযানও তেমন সম্প্রসারিত নয়। সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য নির্ধারিত কোনো ব্যবস্থা নেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
এসব মনিটরিং দলের অভিযান নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, মনিটরিং দল শুধু তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান পরিচালনা করেন। পাইকারি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না! তবে জানা যায়, মনিটরিং দল পাইকারি বাজারে কয়েকটি অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাতে অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। পুরো রোজার মাসই চিনি পাইকারি বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি হয়েছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া পরিবেশক প্রথায় এ পদ্ধতির যাবতীয় কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বে জাতীয় কমিটি, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা কমিটি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা মনিটরিং কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী, জেলা কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে সংসদ সদস্যরা এবং উপজেলা মনিটরিং কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে এসব কমিটি তেমন সক্রিয় নয়। বাজারে তারা তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ফলে রমজানে দেশজুড়ে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি হয়েছে।
বাজার আগের থেকে বেশি অসংগঠিত হয়েছে বলে মনে করেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন। তিনি বলেন, আগে ছোট ব্যবসায়ীরা একটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে প্রায় সব ধরনের পণ্য কিনতে পারত। এখন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে। কম্পানিগুলো দোকানে দোকানে তাদের পণ্য খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পেঁৗছে দিচ্ছে। ফলে অনেক ছোট দোকানমালিক কম্পানির সব পণ্য দোকানেই পান। ফলে দুই-একটি আইটেম কিনতে তিনি আর মৌলভীবাজার বা রহমতগঞ্জ যেতে চান না। সেটি কেনেন পাশের কোনো দোকান থেকে। ফলে তাঁকে আড়তের চেয়ে অনেক বেশি দামে কিনতে হয়।
রসিদ ছাড়া বাজারে মনিটরিং সম্ভব নয়_উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে যেসব রসিদ দেওয়া হয়, সেটি দিয়ে কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনা কঠিন। আর খুচরা বিক্রেতারা রসিদব্যবস্থার কথা মনেই রাখেন না। রসিদ না দিলে পণ্যের দাম বেশি রাখা হচ্ছে কি-না, তা প্রমাণ করা সম্ভব নয়। কোনো আইনে রনিদ বাধ্যতামূলক করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মন্ত্রীরা রসিদের কথা বলেন; কিন্তু আইনে তা বলা হয়নি।'
জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারে নিয়মিত পণ্য নিয়ে আসা ফড়িয়া ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, চাষির হাতছাড়া হওয়ার পর মাল কত দফা হাতবদল হয়, তার কোনো ঠিক নেই। বাজারে নানান কিসিমের ব্যবসায়ী আছেন। তাঁদের কাছে পণ্য গেলেই দাম বেড়ে যায়। তিনি স্বীকার করেন, কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ক্রেতাদের হাতে যেতে দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে যায়।
রসিদ নেই : দেশের পাইকারি কিছু বাজারে রসিদের প্রচলন থাকলেও অনেক বাজারে এখনো তা চালু হয়নি। খুচরা বিক্রেতারা কোনো ধরনের রসিদ দেন না। মাছ ও সবজির ব্যবসায় পাইকারি ও খুচরা_কোনো বাজারেই রসিদের ব্যবস্থা নেই। তেল, চিনি, ডাল কিনতে গেলে পাইকারি বাজার থেকে রসিদ পাওয়া যায়। খুচরা বাজারে তা নেই।
ভোক্তা অধিকার সংকক্ষণ আইনে ক্রেতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত দামের বেশি দাম নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু কোনো ক্রেতার পক্ষেই রসিদ ছাড়া বেশি দাম নেওয়ার অভিযোটি প্রমাণ করার সুযোগ নেই। রসিদ না থাকায় তদারকির সুযোগ কম। কারণ ব্যবসায়ীরা কত দামে পণ্য কিনছেন, কত দামে বিক্রি করছেন_তা জানার কোনো উপায় থাকে না সরকারের কোনো সংস্থার পক্ষে।
রসিদ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কারসাজির নানা অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ নকল রসিদ দিচ্ছেন, কেউ খুচরা বিক্রেতাদের রসিদ সরবরাহ করছেন না। রসিদ চাইলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের! রমজান মাসজুড়ে চিনি কিনতে যাওয়া খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ ছিল এমনই।
আইন নেই : নির্ধারিত বিক্রয় মূল্যকে বেশি মনে করে কোনো অভিযোগ জানাতে পারবেন না ক্রেতারা। কারণ কোনো আইনেই তাঁদের এ সুযোগ দেওয়া হয়নি। শুধু কম্পানির নির্ধারিত দামের বেশি দামে বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে। তবে শুধু ওষুধের ক্ষেত্রে দাম নির্ধারণ করে দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে তাও সব ওষুধের নয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এ ভোক্তাদের ভেজালসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে দাম নিয়ে আইনে অভিযোগ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। ওই আইন অনুযায়ী গঠিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শুধু অন্য কোনো আইনে নির্ধারিত মূল্যের বেশি দাম রাখা হলে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু কোনো পণ্যের দাম বেশি নির্ধারণ করার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই এই অধিদপ্তরের।
কার্যকর মনিটরিং নেই : বাজার দর মনিটরিংয়ের জন্য সরকারের স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেই। সংকট তৈরি হলে সরকার অ্যাডহক ভিত্তিতে কয়েকটি মনিটরিং দল গঠন করে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের কয়েকটি দল শুধু সরকারের দুই-একটি পণ্যের নির্ধারিত দাম কার্যকর হচ্ছে কি-না, তা তদারকি করে। তাদের অভিযানও তেমন সম্প্রসারিত নয়। সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য নির্ধারিত কোনো ব্যবস্থা নেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
এসব মনিটরিং দলের অভিযান নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, মনিটরিং দল শুধু তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান পরিচালনা করেন। পাইকারি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না! তবে জানা যায়, মনিটরিং দল পাইকারি বাজারে কয়েকটি অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাতে অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। পুরো রোজার মাসই চিনি পাইকারি বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি হয়েছে।
সম্প্রতি চালু হওয়া পরিবেশক প্রথায় এ পদ্ধতির যাবতীয় কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বে জাতীয় কমিটি, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা কমিটি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপজেলা মনিটরিং কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী, জেলা কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে সংসদ সদস্যরা এবং উপজেলা মনিটরিং কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে এসব কমিটি তেমন সক্রিয় নয়। বাজারে তারা তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ফলে রমজানে দেশজুড়ে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি হয়েছে।
বাজার আগের থেকে বেশি অসংগঠিত হয়েছে বলে মনে করেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন। তিনি বলেন, আগে ছোট ব্যবসায়ীরা একটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে প্রায় সব ধরনের পণ্য কিনতে পারত। এখন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে। কম্পানিগুলো দোকানে দোকানে তাদের পণ্য খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পেঁৗছে দিচ্ছে। ফলে অনেক ছোট দোকানমালিক কম্পানির সব পণ্য দোকানেই পান। ফলে দুই-একটি আইটেম কিনতে তিনি আর মৌলভীবাজার বা রহমতগঞ্জ যেতে চান না। সেটি কেনেন পাশের কোনো দোকান থেকে। ফলে তাঁকে আড়তের চেয়ে অনেক বেশি দামে কিনতে হয়।
রসিদ ছাড়া বাজারে মনিটরিং সম্ভব নয়_উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে যেসব রসিদ দেওয়া হয়, সেটি দিয়ে কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনা কঠিন। আর খুচরা বিক্রেতারা রসিদব্যবস্থার কথা মনেই রাখেন না। রসিদ না দিলে পণ্যের দাম বেশি রাখা হচ্ছে কি-না, তা প্রমাণ করা সম্ভব নয়। কোনো আইনে রনিদ বাধ্যতামূলক করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মন্ত্রীরা রসিদের কথা বলেন; কিন্তু আইনে তা বলা হয়নি।'
No comments