জবির সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে শিবিরকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ-পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

গন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে মিছিল করেছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। জানা গেছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের নীল দলের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য।জানা গেছে, ফেসবুকের সূত্র ধরে গতকাল ছাত্রলীগের কর্মীরা দর্শন বিভাগের সফিকুল ইসলাম নামের এক শিবির ক্যাডারকে আটক করেন। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ কর্ম পরিকল্পনার কাগজপত্র পাওয়া যায়।


তাঁর ফেসবুকে 'খুনি হাসিনার বিচার চাই'_প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে এ রকম বিভিন্ন কটূক্তিমূলক লেখা পাওয়া যায়। আটকের পরে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে তিনি সহকারী প্রক্টর মনিরুজ্জামানের বোনের ছেলে বলে পরিচয় দেন এবং তাঁকে ভর্তির সময় ওই শিক্ষক সহযোগিতা করেছেন বলেও সফিকুল জানান। এদিকে ছাত্রলীগকর্মী তানভীরসহ অন্যরা বলেন, ওই শিবির ক্যাডার আটক হওয়ার পরই সহকারী প্রক্টর মনিরুজ্জামান তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে তদবির শুরু করেন। এমনকি তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের মোবাইল ফোনে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর বোনের ছেলেকে ছেড়ে দিতে বলেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সফিকুলকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট আখ্যা দিয়ে সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ছাত্রলীগ কর্মীরা ভাঙচুরও করেছেন বলেও জানা গেছে।
ছাত্রলীগকর্মী হিমেল, জালাল, ইমরান ও সোয়েব বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে জামায়াত-শিবিরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। নীল দলের সদস্য সেজে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের শিক্ষক বানানোর ক্ষেত্রে তাঁর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
এদিকে গতকাল ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত সোমবার আবু নোমান নামের একজন শিবির ক্যাডারকে পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। নোমানের সরাসরি জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ খবর পেয়ে ওই শিবির ক্যাডার পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসেননি।

No comments

Powered by Blogger.