৯৮৭৭ কোটি টাকার জ্বালানি তেল আমদানি করবে: বিপিসি-সৌদি আরামকো ও আবুধাবির এডনক কম্পানির সঙ্গে বিপিসি নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে by শিমুল নজরুল,
আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ায় অপরিশোধিত তেল (ক্রুড অয়েল) আমদানির দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। আগামী ২০১২ সালে বিপিসি ১৪ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিকল্পনা করেছে। এই বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করতে বিপিসির প্রয়োজন হবে প্রায় এক হাজার ৩০৬ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য দাঁড়ায় ৯ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিপিসির বোর্ড সভায় এই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির আসন্ন বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে বিপিসির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোক্তাদীর আলী বলেন, প্রতিবছরের মতো বিপিসি নিজস্ব তহবিল, আইডিবির ঋণ এবং বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৪ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়টি সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি আরো জানান, এ বছর জ্বালানি তেল আমদানির জন্য বেসরকারি ব্যাংক (স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে বিপিসি।
বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবছর গড়ে ১২ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে বিপিসি। বর্তমানে বিশ্ববাজারে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় বিপিসি কর্তৃপক্ষ অপরিশোধিত তেল আমদানির ওপর জোর দিচ্ছে। দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি দ্বিবার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪৫ দিনের জন্য বন্ধ থাকায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছে। ২০১২ সালে আবুধাবির এডনক থেকে সাত লাখ টন এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকো থেকে আরো সাত লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরো জানান, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য সৌদি আরামকো ও আবুধাবির এডনক কম্পানির সঙ্গে বিপিসি নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর কম্পানি দুটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
এদিকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে দেশে পরিশোধন করা গেলে বিপিসির আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ কমে আসত বলে মন্তব্য করেছেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রেজাউল আলম। তিনি বলেন, 'আমাদের রিফাইনারির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে যদি দেশে জ্বালানি তেলের বর্তমান চাহিদার ৭৫ শতাংশ দেশে পরিশোধন করা যায়, তাহলে প্রতিবছর দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।'
বর্তমানে দেশের জ্বালানি তেলের মোট চাহিদার ৩৫ শতাংশ ইস্টার্ন রিফাইনারি পূরণ করতে পারে। গত ২০১০-১১ অর্থবছর প্রায় ৪৮ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১১ লাখ টন ক্রুড অয়েল পরিশোধন করা হয়েছিল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। আর চলতি ২০১১-১২ অর্থবছর দেশের চাহিদা মেটাতে প্রায় ৬০ লাখ টন আমদানি করতে হবে। ক্রুড অয়েল পরিশোধনকালে পেট্রল, অকটেন, ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিন, এলপি গ্যাসসহ ১৫ ধরনের জ্বালানি এবং রাসায়নিক পদার্থ উপজাত হিসেবে তৈরি হয়।
বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবছর গড়ে ১২ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে বিপিসি। বর্তমানে বিশ্ববাজারে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় বিপিসি কর্তৃপক্ষ অপরিশোধিত তেল আমদানির ওপর জোর দিচ্ছে। দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি দ্বিবার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪৫ দিনের জন্য বন্ধ থাকায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছে। ২০১২ সালে আবুধাবির এডনক থেকে সাত লাখ টন এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকো থেকে আরো সাত লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরো জানান, অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির জন্য সৌদি আরামকো ও আবুধাবির এডনক কম্পানির সঙ্গে বিপিসি নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর কম্পানি দুটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
এদিকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে দেশে পরিশোধন করা গেলে বিপিসির আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ কমে আসত বলে মন্তব্য করেছেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রেজাউল আলম। তিনি বলেন, 'আমাদের রিফাইনারির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে যদি দেশে জ্বালানি তেলের বর্তমান চাহিদার ৭৫ শতাংশ দেশে পরিশোধন করা যায়, তাহলে প্রতিবছর দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।'
বর্তমানে দেশের জ্বালানি তেলের মোট চাহিদার ৩৫ শতাংশ ইস্টার্ন রিফাইনারি পূরণ করতে পারে। গত ২০১০-১১ অর্থবছর প্রায় ৪৮ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১১ লাখ টন ক্রুড অয়েল পরিশোধন করা হয়েছিল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। আর চলতি ২০১১-১২ অর্থবছর দেশের চাহিদা মেটাতে প্রায় ৬০ লাখ টন আমদানি করতে হবে। ক্রুড অয়েল পরিশোধনকালে পেট্রল, অকটেন, ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিন, এলপি গ্যাসসহ ১৫ ধরনের জ্বালানি এবং রাসায়নিক পদার্থ উপজাত হিসেবে তৈরি হয়।
No comments