'শিক্ষামূলক' অনুষ্ঠান দুই বছরের কম বয়সীদের কাজে আসে না

দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য নির্মিত টেলিভিশনের 'শিক্ষামূলক' অনুষ্ঠান তাদের বুদ্ধি বা আচরণকে উদ্দীপিত করে_এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শিশুবিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বরং বেশি মাত্রায় টেলিভিশন দেখার ফলে শিশুদের কথা বলার ক্ষমতা বিকশিত হয় ধীরে। মন্দ আচরণ করতে শেখে তারা। বিপরীতে পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও অন্য মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ শিশুদের সবচেয়ে বেশি উপকারে আসে।গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বস্টনে আয়োজিত আমেরিকান একাডেমী অব পিডিয়াট্রিকসের (এএপি) বার্ষিক সম্মেলনে এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়। এদিন শিশুদের জন্য নতুন একটি দিকনির্দেশনাও উপস্থাপন করা হয়।


বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওই বয়সের শিশুদের জন্য নির্মিত 'শিক্ষামূলক' টেলিভিশন অনুষ্ঠান তাদের কোনো উপকারে লাগে না। এ সব অনুষ্ঠান শিশুদের বুদ্ধিমত্তা গঠন বা আচার-আচরণ শেখাতে কোনো ভূমিকা রাখে না। এর কারণ, এসব অনুষ্ঠান তারা বুঝতেই পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুরা দ্রুত শিক্ষার মধ্যে ঢুকবে_এমন ভাবনা থেকে মা-বাবারা শিশুদের শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ করে দেন। তবে এতে শিশুরা কিছু শিখছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন না।
এপিপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. অ্যারি ব্রাউন বলেন, "শিশুদের জন্য অনেক 'শিক্ষামূলক' ভিডিও অনুষ্ঠান নির্মিত হয়। কিন্তু এ থেকে শিশুরা উপকৃত হয়_এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।' তিনি বলেন, 'ইলেকট্রনিক মিডিয়ার চেয়ে যখন-তখন খেলার (আনস্ট্রাকচার প্লে টাইম) সুযোগ তাদের বুদ্ধিমত্তা গঠনে বেশি মূল্যবান ভূমিকা রাখে।'
১৯৯৯ সালে শিশুদের জন্য একটি তথ্যভিত্তিক দলিল উপস্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, শিশুবিশেষজ্ঞদের 'অবশ্যই দুই বছরের কম বয়সীদের টেলিভিশন দেখা থেকে শিশুদের বিরত রাখার জন্য মা-বাবাকে বলতে হবে।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.