শালিতকে ফিরে পেল ইসরায়েল মুক্তির আনন্দ ফিলিস্তিনে
অবশেষে ইসরায়েল ও গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বন্দিবিনিময় চুক্তি কার্যকর হলো। চুক্তির অংশ হিসেবে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে আটক ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। গতকাল মঙ্গলবার শালিতকে ছাড়ার বিনিময়ে প্রথম দফায় ৪৭৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। মুক্তিপ্রাপ্তদের ফিলিস্তিন ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরো তিনটি দেশে পাঠানো হয়েছে।২০০৬ সালের জুনে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে ট্যাংক ক্রু শালিতকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এরপর ২০০৯ সালে হামাস যোদ্ধারা আটক শালিতের ভিডিও প্রচার করে। শালিতের মুক্তির দাবিতে গত ১৬ মাস ধরে তেলআবিবে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান করছিল তাঁর পরিবার।
গত সপ্তাহে এক হাজার ২৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তির বিনিময়ে শালিতকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সমঝোতা হয়।
সার্জেন্ট গিলাদ শালিতকে (২৫) গতকাল প্রথমে গাজা থেকে মিসরে পাঠানো হয়। রাফাহ সীমান্তের কেরেম শালোম ক্রসিং হয়ে শালিতকে নিয়ে মিসর পেঁৗছান হামাস যোদ্ধারা। মিসরে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাঁকে। মিসর থেকে পরে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন শালিত। গত ২৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম ফিলিস্তিনিদের হাতে অপহৃত কোনো ইসরায়েলি সেনা মুক্তি পেল। মুক্তির পর মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শালিত বলেন, 'আমি খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। অনেক দিন সাধারণ মানুষজনের দেখা পাইনি আমি। আমার পরিবারের কথা খুব মনে পড়ছে।' মিসর থেকে তেলআবিব রওনা হওয়ার আগেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। 'বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন_দুই জায়গাতেই শান্তি ফিরে আসবে' বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মিসর থেকে শালিতকে তেলআবিবের কাছে তেল নফ বিমানঘাঁটিতে নেওয়া হয়। সেখানে পরিবারের সদস্য, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এহুদ বারাক ও চিফ অব স্টাফ বেনি গানৎস তাঁকে স্বাগত জানান।
এদিকে চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল গতকাল সকাল থেকেই ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করে। প্রথম দফায় ৪৭৭ বন্দিকে ছেড়ে দেয় তারা। এর মধ্যে ২৯৬ জন গাজা উপত্যকায়, ১১৭ জন পশ্চিম তীরে এবং ১৫ জন পূর্ব জেরুজালেমে ফিরে যান। ৪০ জনকে তুরস্ক, সিরিয়া ও কাতারে নির্বাসনে পাঠানো হয়। একজনকে জর্দানে পাঠানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাকি ৫৫০ বন্দিকে আগামী মাসে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
বন্দিদের ফিরে আসা উপলক্ষে গাজা ও পশ্চিম তীরে খুশির বন্যা বয়ে যায়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার গাজা ও পশ্চিম তীরের সঙ্গে ইসরায়েলি সীমান্তে উপস্থিত হন। গাজায় প্রায় দুই লাখ লোক বিশাল এক মিছিলের মাধ্যমে বন্দিদের স্বাগত জানায়। হামাসের সবুজ পতাকা এবং পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণকারী দল ফাতাহর হলুদ পতাকা ওড়ায় তারা। পশ্চিম তীরে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনে হাজার হাজার লোক সমবেত হয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।
শিথিল হতে পারে গাজার নিষেধাজ্ঞা
গিলাদ শালিতের মুক্তির পর গাজার ওপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে বলে মনে করছেন হামাস নেতারা। হামাস নেতা মাহমুদ জাহারের সূত্র দিয়ে ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎস গতকাল এ কথা জানায়। জাহার জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের চুক্তিতে বন্দিবিনিময় ছাড়াও আরো অনেক বিষয় রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী গাজার পরিবারগুলো ইসরায়েলে বন্দি তাদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবে, শালিতের অপহরণের পর যা নিষিদ্ধ ছিল। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি বন্দিদের সুবিধাও বাড়ানো হবে। শালিতের অপহরণের কারণে গাজার ওপর তারা যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, ইসরায়েল এবার তাও শিথিল করতে রাজি হয়েছে বলে জানান জাহার। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ইসরায়েলি সীমান্ত দিয়ে গাজাবাসীর চলাফেরা, গাজায় পণ্য আমদানি বাড়ানোসহ নিষেধাজ্ঞা সহজ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে। সূত্র: এএফপি, বিবিসি, হারেৎজ।
গত সপ্তাহে এক হাজার ২৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তির বিনিময়ে শালিতকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সমঝোতা হয়।
সার্জেন্ট গিলাদ শালিতকে (২৫) গতকাল প্রথমে গাজা থেকে মিসরে পাঠানো হয়। রাফাহ সীমান্তের কেরেম শালোম ক্রসিং হয়ে শালিতকে নিয়ে মিসর পেঁৗছান হামাস যোদ্ধারা। মিসরে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাঁকে। মিসর থেকে পরে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন শালিত। গত ২৬ বছরের মধ্যে এই প্রথম ফিলিস্তিনিদের হাতে অপহৃত কোনো ইসরায়েলি সেনা মুক্তি পেল। মুক্তির পর মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শালিত বলেন, 'আমি খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। অনেক দিন সাধারণ মানুষজনের দেখা পাইনি আমি। আমার পরিবারের কথা খুব মনে পড়ছে।' মিসর থেকে তেলআবিব রওনা হওয়ার আগেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। 'বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন_দুই জায়গাতেই শান্তি ফিরে আসবে' বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মিসর থেকে শালিতকে তেলআবিবের কাছে তেল নফ বিমানঘাঁটিতে নেওয়া হয়। সেখানে পরিবারের সদস্য, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এহুদ বারাক ও চিফ অব স্টাফ বেনি গানৎস তাঁকে স্বাগত জানান।
এদিকে চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল গতকাল সকাল থেকেই ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করে। প্রথম দফায় ৪৭৭ বন্দিকে ছেড়ে দেয় তারা। এর মধ্যে ২৯৬ জন গাজা উপত্যকায়, ১১৭ জন পশ্চিম তীরে এবং ১৫ জন পূর্ব জেরুজালেমে ফিরে যান। ৪০ জনকে তুরস্ক, সিরিয়া ও কাতারে নির্বাসনে পাঠানো হয়। একজনকে জর্দানে পাঠানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাকি ৫৫০ বন্দিকে আগামী মাসে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
বন্দিদের ফিরে আসা উপলক্ষে গাজা ও পশ্চিম তীরে খুশির বন্যা বয়ে যায়। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার গাজা ও পশ্চিম তীরের সঙ্গে ইসরায়েলি সীমান্তে উপস্থিত হন। গাজায় প্রায় দুই লাখ লোক বিশাল এক মিছিলের মাধ্যমে বন্দিদের স্বাগত জানায়। হামাসের সবুজ পতাকা এবং পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণকারী দল ফাতাহর হলুদ পতাকা ওড়ায় তারা। পশ্চিম তীরে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনে হাজার হাজার লোক সমবেত হয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।
শিথিল হতে পারে গাজার নিষেধাজ্ঞা
গিলাদ শালিতের মুক্তির পর গাজার ওপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে বলে মনে করছেন হামাস নেতারা। হামাস নেতা মাহমুদ জাহারের সূত্র দিয়ে ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎস গতকাল এ কথা জানায়। জাহার জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের চুক্তিতে বন্দিবিনিময় ছাড়াও আরো অনেক বিষয় রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী গাজার পরিবারগুলো ইসরায়েলে বন্দি তাদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবে, শালিতের অপহরণের পর যা নিষিদ্ধ ছিল। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি বন্দিদের সুবিধাও বাড়ানো হবে। শালিতের অপহরণের কারণে গাজার ওপর তারা যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, ইসরায়েল এবার তাও শিথিল করতে রাজি হয়েছে বলে জানান জাহার। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ইসরায়েলি সীমান্ত দিয়ে গাজাবাসীর চলাফেরা, গাজায় পণ্য আমদানি বাড়ানোসহ নিষেধাজ্ঞা সহজ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে। সূত্র: এএফপি, বিবিসি, হারেৎজ।
No comments