মুশফিকের কণ্ঠে ৩ রানের আক্ষেপ by সঞ্জয় সাহা পিয়াল,
টুইটারে কাল সন্ধ্যায় কিছুই লেখেননি তিনি। হয়তো দলের সঙ্গে নেই বলেই কিছু লেখা হয়নি। থাকলে কী লিখতেন ক্রিস গেইল? ৪ মার্চ বাংলাদেশ যখন ৫৮-র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল, তখন অবজ্ঞার হাসি দিয়ে গেইল টুইটারে বাংলাদেশি সমর্থকদের গালি দিয়েছিলেন। গতকাল চট্টগ্রামে সেই গেইলের দলকে ৬১ রানে অল আউট করে মুশফিকরা কিন্তু প্রতিশোধের হাসি হাসেননি; বরং সিরিজ জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আসলে এটাই বাংলাদেশি ভদ্রতা। যেখানে জোর করেও মুশফিকের মুখ দিয়ে প্রতিশোধ শব্দটি উচ্চারণ করা যায়নি। ' প্রতিশোধ বলব না, ৫৭ রানে অল আউট করতে পারলে তা বলতাম। আসলে এই ম্যাচটা আমাদের ৫৮-র স্মৃতি কিছুটা হলেও ভুলিয়ে দেবে।
এখন কেউ ৫৮ বলার আগে ৬১ বলবে।' মুশফিকের এই কথা শুনে পাশে বসে থাকা সাকিবও হেসে ফেলেছিলেন। এদিন ৬১ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল আউট করে দেওয়ার পর তো সাকিবেরই বেশি খুশি হওয়ার কথা। কেননা ৫৮-র জন্ম হয়েছিল তারই আমলে। 'ওটার কথা (৫৮ রানে অল আউট) ভুলে গেছি। আগে ওটা কষ্ট দিত, এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা আর হয় না।' নেতৃত্ব না থাকলেও এদিন নেতার মতোই ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলকে জিতিয়েছেন সাকিব। তার পরও ভীষণ নিষ্প্রভ অনুভূতি সাবেক অধিনায়কের।
৫৮-কে সমাধি দেওয়ার দিন দলের অন্যরাও যেন ক্লান্ত সৈনিকের মতো দুর্গজয় করে তাঁবুতে ফিরছিলেন। 'প্রতিশোধ...। হ্যাঁ, প্রতিশোধ। তবে সেটা ৫৭ রানে হলে ভালো হতো।' ইমরুল কায়েসের মতো ৩ রানের আক্ষেপ ছিল দলের অনেকেরই। 'ইস, আর যদি তিনটি রান কম হতো। তাহলে ব্যাটাদের...।' নাসির হোসেনের বাকিটা আর না বলাই ভালো। বিশ্বকাপে সেই ৫৮-র সাক্ষী ছিলেন না নাসির হোসেন। তার মতো কোচ স্টুয়ার্ট ল'ও জানেন না ৪ মার্চের অন্ধকার রাত্রির কথা। 'জানি না, বিশ্বকাপের সময় কেন অমন হয়েছিল। তবে এদিন আমাদের স্পিনাররা ভালো করেছে।' নিজের ৪৪তম জন্মদিনে ছেলেদের কাছ থেকে '৬১' গিফট পেয়ে ভীষণ খুশি ল'। তিনি মনে করেন, চট্টগ্রামের উইকেটের বাড়তি সুবিধা কাজে লাগাতে পেরেছে তার ছেলেরা। যেমনটা মনে করেন মুশফিকও। 'চট্টগ্রামে এলেই কেন জানি একটা জয়ের বিশ্বাস তৈরি হয়ে যায় সবার মধ্যে। এটা এমন নয় যে, না খেলেই হয়ে যায়। আসলে এদিন আমাদের পেসাররা দারুণ কিছু ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন। এরপর স্পিনাররা যা করলেন, তা তো অসাধারণ। নাসির, সাকিব আর শুভ দারুণ বোলিং করেছেন। প্রতিটি বলের সময়ই মনে হচ্ছিল উইকেট পড়বে।' সিরিজ শেষের জয় হলেও ৬১-র আনন্দ পিছলে পড়ছিল মুশফিকের চোখে-মুখে।
টি২০ দিয়ে শুরু করে গতকালের প্রতিশোধের জয়। একটু দেরিতে হলেও জয় যে এসেছে তাতেই খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক। 'একটু আগে এই জয়টা পেলে ভালো হতো। একটা সময় মনে হয়েছিল আমরা পারব ওদের ৫৭ রানের মধ্যে অল আউট করে দিতে। সেটা হলে দারুণ হতো।' মুখে না বললেও চোখে যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলজ্বল করছিল মুশফিকের, পরিষ্কার তা পড়ে নিয়েছে মিডিয়া।
৫৮-কে সমাধি দেওয়ার দিন দলের অন্যরাও যেন ক্লান্ত সৈনিকের মতো দুর্গজয় করে তাঁবুতে ফিরছিলেন। 'প্রতিশোধ...। হ্যাঁ, প্রতিশোধ। তবে সেটা ৫৭ রানে হলে ভালো হতো।' ইমরুল কায়েসের মতো ৩ রানের আক্ষেপ ছিল দলের অনেকেরই। 'ইস, আর যদি তিনটি রান কম হতো। তাহলে ব্যাটাদের...।' নাসির হোসেনের বাকিটা আর না বলাই ভালো। বিশ্বকাপে সেই ৫৮-র সাক্ষী ছিলেন না নাসির হোসেন। তার মতো কোচ স্টুয়ার্ট ল'ও জানেন না ৪ মার্চের অন্ধকার রাত্রির কথা। 'জানি না, বিশ্বকাপের সময় কেন অমন হয়েছিল। তবে এদিন আমাদের স্পিনাররা ভালো করেছে।' নিজের ৪৪তম জন্মদিনে ছেলেদের কাছ থেকে '৬১' গিফট পেয়ে ভীষণ খুশি ল'। তিনি মনে করেন, চট্টগ্রামের উইকেটের বাড়তি সুবিধা কাজে লাগাতে পেরেছে তার ছেলেরা। যেমনটা মনে করেন মুশফিকও। 'চট্টগ্রামে এলেই কেন জানি একটা জয়ের বিশ্বাস তৈরি হয়ে যায় সবার মধ্যে। এটা এমন নয় যে, না খেলেই হয়ে যায়। আসলে এদিন আমাদের পেসাররা দারুণ কিছু ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন। এরপর স্পিনাররা যা করলেন, তা তো অসাধারণ। নাসির, সাকিব আর শুভ দারুণ বোলিং করেছেন। প্রতিটি বলের সময়ই মনে হচ্ছিল উইকেট পড়বে।' সিরিজ শেষের জয় হলেও ৬১-র আনন্দ পিছলে পড়ছিল মুশফিকের চোখে-মুখে।
টি২০ দিয়ে শুরু করে গতকালের প্রতিশোধের জয়। একটু দেরিতে হলেও জয় যে এসেছে তাতেই খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক। 'একটু আগে এই জয়টা পেলে ভালো হতো। একটা সময় মনে হয়েছিল আমরা পারব ওদের ৫৭ রানের মধ্যে অল আউট করে দিতে। সেটা হলে দারুণ হতো।' মুখে না বললেও চোখে যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলজ্বল করছিল মুশফিকের, পরিষ্কার তা পড়ে নিয়েছে মিডিয়া।
No comments