শালিতের বিনিময়ে ৪৭৭ জন ফিলিস্তিনির মুক্তি
অবশেষে ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার হামাসের বন্দিবিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। চুক্তির আওতায় হামাস-যোদ্ধাদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার দেশে পৌঁছেছেন ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিত। অন্যদিকে ৪৭৭ ফিলিস্তিনি বন্দী গতকাল মুক্তি পেয়ে ইসরায়েল ছেড়েছেন। যুগান্তকারী ওই চুক্তি অনুযায়ী শালিতের বিনিময়ে মোট এক হাজার ২৭ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
এর মধ্য দিয়ে পাঁচ বছরের বন্দী জীবনের অবসান হলো শালিতের। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়োয়াভ মরদেচাই বলেন, শালিত স্বদেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
২৫ বছর বয়সী শালিতকে গতকাল সকালে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গাজা ও মিসরের রাফা সীমান্ত এলাকায় মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তান্তর করে হামাস। এরপর শালিতকে মিসরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মিসরীয় টেলিভিশন তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকার নেয়। মিসরীয় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে শালিত আশা প্রকাশ করেন, এ বন্দিবিনিময় চুক্তি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
শালিতকে এরপর ইসরায়েল-মিসর সীমান্ত এলাকা কেরেম শালম হয়ে ইসরায়েলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে একটি হেলিকপ্টারে করে ইসরায়েলের তেল নফ বিমানঘাঁটিতে পৌঁছানোর আগে তিনি ফোনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তেল নফ ঘাঁটিতে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন তাঁর মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য। পরে শালিত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ইসরায়েলের পশ্চিম গ্যালিলি এলাকার মিজপি হিলাতে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী গতকাল ৪৭৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৫০ জন বন্দীকে আগামী মাসে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। গতকাল মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের প্রথম দলটি কেরেম শালম সীমান্ত হয়ে মিসরে প্রবেশ করে। তারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি কারাগারে বন্দী ছিল। এ ছাড়া বন্দীদের ছোট একটি দল কড়া নিরাপত্তায় ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলের একটি কারাগার ছাড়ে।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের স্বাগত জানাতে গাজার রাফা সীমান্ত এলাকায় দুই লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটে। তাঁদের বিরোচিত সংবর্ধনা দেয় হামাস। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা বাসে চড়ে রাফা এলাকায় পৌঁছান। বাসের ভেতরে থেকেই তাঁরা বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন প্রদর্শন করেন।
বাস থেকেই একজন বলে ওঠেন, ‘আমরা মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফিরতে পারছি, এ জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ।’ অন্য একজন বলেন, ‘অন্যদের মতো ফিলিস্তিনের নাগরিকদেরও স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের স্থায়ী স্বাধীনতার পথে এই বন্দিবিনিময় চুক্তি প্রথম পদক্ষেপ।’
মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের ফিরে আসার প্রতীক্ষায় গত সোমবার রাত থেকেই রাফা সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁরা ফিলিস্তিনি ও হামাসের পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন পুরো এলাকা।
স্বজনের অপেক্ষায় থাকা এক ব্যক্তি জানান, তিনি খুব খুশি। দীর্ঘদিন পর তাঁর চাচাতো ভাই মুক্তি পেয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি ক্রুদ্ধ। কারণ, তাঁরা মুক্তি পাওয়ার পর যে গাজায় ফেরত যাচ্ছেন, তা এখনো ইসরায়েলি সেনারা অবরোধ করে রেখেছে। তাঁরা একটি কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরিত হচ্ছেন মাত্র।
২০০৬ সালে সুড়ঙ্গপথে ইসরায়েলে প্রবেশ করে শালিতকে অপহরণ করে হামাস-যোদ্ধারা। দীর্ঘদিনের দেনদরবারের পর গত সপ্তাহে শালিতকে মুক্তির বিনিময়ে এক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। যুগান্তকারী ওই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে মিসর। বন্দিবিনিময়-প্রক্রিয়া বিলম্ব করতে ইসরায়েলের উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিল বিভিন্ন সময়ে হামলায় নিহত ইসরায়েলি নাগরিকদের পরিবারগুলো। তবে গত সোমবার আদালতে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।
এর মধ্য দিয়ে পাঁচ বছরের বন্দী জীবনের অবসান হলো শালিতের। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়োয়াভ মরদেচাই বলেন, শালিত স্বদেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
২৫ বছর বয়সী শালিতকে গতকাল সকালে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গাজা ও মিসরের রাফা সীমান্ত এলাকায় মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তান্তর করে হামাস। এরপর শালিতকে মিসরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মিসরীয় টেলিভিশন তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকার নেয়। মিসরীয় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে শালিত আশা প্রকাশ করেন, এ বন্দিবিনিময় চুক্তি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
শালিতকে এরপর ইসরায়েল-মিসর সীমান্ত এলাকা কেরেম শালম হয়ে ইসরায়েলে পাঠানো হয়। সেখান থেকে একটি হেলিকপ্টারে করে ইসরায়েলের তেল নফ বিমানঘাঁটিতে পৌঁছানোর আগে তিনি ফোনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তেল নফ ঘাঁটিতে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন তাঁর মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য। পরে শালিত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ইসরায়েলের পশ্চিম গ্যালিলি এলাকার মিজপি হিলাতে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী গতকাল ৪৭৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৫০ জন বন্দীকে আগামী মাসে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। গতকাল মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের প্রথম দলটি কেরেম শালম সীমান্ত হয়ে মিসরে প্রবেশ করে। তারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি কারাগারে বন্দী ছিল। এ ছাড়া বন্দীদের ছোট একটি দল কড়া নিরাপত্তায় ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলের একটি কারাগার ছাড়ে।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের স্বাগত জানাতে গাজার রাফা সীমান্ত এলাকায় দুই লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটে। তাঁদের বিরোচিত সংবর্ধনা দেয় হামাস। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা বাসে চড়ে রাফা এলাকায় পৌঁছান। বাসের ভেতরে থেকেই তাঁরা বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন প্রদর্শন করেন।
বাস থেকেই একজন বলে ওঠেন, ‘আমরা মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফিরতে পারছি, এ জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ।’ অন্য একজন বলেন, ‘অন্যদের মতো ফিলিস্তিনের নাগরিকদেরও স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের স্থায়ী স্বাধীনতার পথে এই বন্দিবিনিময় চুক্তি প্রথম পদক্ষেপ।’
মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের ফিরে আসার প্রতীক্ষায় গত সোমবার রাত থেকেই রাফা সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন তাঁদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁরা ফিলিস্তিনি ও হামাসের পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন পুরো এলাকা।
স্বজনের অপেক্ষায় থাকা এক ব্যক্তি জানান, তিনি খুব খুশি। দীর্ঘদিন পর তাঁর চাচাতো ভাই মুক্তি পেয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি ক্রুদ্ধ। কারণ, তাঁরা মুক্তি পাওয়ার পর যে গাজায় ফেরত যাচ্ছেন, তা এখনো ইসরায়েলি সেনারা অবরোধ করে রেখেছে। তাঁরা একটি কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরিত হচ্ছেন মাত্র।
২০০৬ সালে সুড়ঙ্গপথে ইসরায়েলে প্রবেশ করে শালিতকে অপহরণ করে হামাস-যোদ্ধারা। দীর্ঘদিনের দেনদরবারের পর গত সপ্তাহে শালিতকে মুক্তির বিনিময়ে এক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। যুগান্তকারী ওই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে মিসর। বন্দিবিনিময়-প্রক্রিয়া বিলম্ব করতে ইসরায়েলের উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিল বিভিন্ন সময়ে হামলায় নিহত ইসরায়েলি নাগরিকদের পরিবারগুলো। তবে গত সোমবার আদালতে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।
No comments