প্রথম দিন পাকিস্তানের বোলারদের
একে মরুভূমির প্রখর রোদ, তার ওপর পাকিস্তানের অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ। শ্রীলঙ্কানদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ ছিল, কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। জুনায়েদ খানের তোপের মুখে আবুধাবি টেস্টের প্রথম দিনে ১৯৭ রানেই অল আউট হয়ে গেছে 'সফরকারী'রা। তারপর দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭ রান তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।চা বরতির আগে যে রকম অবস্থা ছিল, তাতে অবশ্য এই স্কোরটাকেও স্বস্তিকরই মনে হবে। একপর্যায়ে তো ১১৪ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের সৌজন্যে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। টেলএন্ডারদের নিয়ে লড়াইয়ে ম্যাথুজ নিজে হার মানেননি শেষ পর্যন্ত, সঙ্গীহারা হওয়ার মুহূর্তে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫২ রান নিয়ে।
সকালে শুরুটা কিন্তু একেবারে খারাপ করেনি শ্রীলঙ্কা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই তরুণ ওপেনার থারাঙ্গা পারানাভিতানা আর থিরিমানে মিলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু সেই জুটিটা গড়ার পথেই নিজেদের ওপর চাপ টেনে নিয়েছেন তাঁরা। সেই চাপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়েই পরের ব্যাটসম্যানরা দিয়েছেন আত্মাহুতি, যদিও টেস্টের মেজাজের সঙ্গে হয়তো খুব একটা বেমানান ছিল না শুরুটা!
লাঞ্চের ঠিক আগে থিরিমানেকে আউট করে পাকিস্তানের হয়ে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন অফস্পিনার সাইদ আজমল। তবে দ্বিতীয় সেশনটা ছিল একেবারেই পাকিস্তানের বোলারদের। ওই সেশনে ৬ উইকেট তুলে নেন জুনায়েদ, আইজাজ চিমা আর উমর গুল মিলে। তাঁদের শিকারদের মধ্যে ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক-বর্তমান তিন অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা (২), মাহেলা জয়াবর্ধনে (১৯) আর তিলকরত্নে দিলশান (২৮)। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিন ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতার পর হাল ধরেন ম্যাথুজ, ৯৯ বলের হার-না-মানা ইনিংসে চারটি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। অষ্টম উইকেটে সুরঙ্গা লাকমালকে নিয়ে ৫৪ রানের মহামূল্যবান এক জুটি গড়েছেন তিনি, সে জুটিতে লাকমালের অবদান ছিল মাত্র ১৮!
চা বিরতির পর অবশ্য জুনায়েদ আর গুল মিলে খুব বেশি দূর যেতে দেননি লঙ্কান টেলএন্ডারদের, ২৯ রানের মধ্যে শেষ তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন তাঁরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস ১৯৭ (পারানাভিতানা ৩৭, থিরিমানে ২০, সাঙ্গাকারা ২, জয়াবর্ধনে ২৮, দিলশান ১৯, ম্যাথুজ ৫২*, প্রসন্ন ০, হেরাথ ০, লাকমাল ১৮, ওয়েলেগেদারা ১১, প্রদীপ ১; গুল ২/৩৭, চিমা ১/৫১, জুনায়েদ ৫/৩৮, আজমল ২/৫৮।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ২৭/০ (৮ ওভার);হাফিজ ১৭*, তৌফিক ৮*।
সকালে শুরুটা কিন্তু একেবারে খারাপ করেনি শ্রীলঙ্কা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই তরুণ ওপেনার থারাঙ্গা পারানাভিতানা আর থিরিমানে মিলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু সেই জুটিটা গড়ার পথেই নিজেদের ওপর চাপ টেনে নিয়েছেন তাঁরা। সেই চাপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়েই পরের ব্যাটসম্যানরা দিয়েছেন আত্মাহুতি, যদিও টেস্টের মেজাজের সঙ্গে হয়তো খুব একটা বেমানান ছিল না শুরুটা!
লাঞ্চের ঠিক আগে থিরিমানেকে আউট করে পাকিস্তানের হয়ে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন অফস্পিনার সাইদ আজমল। তবে দ্বিতীয় সেশনটা ছিল একেবারেই পাকিস্তানের বোলারদের। ওই সেশনে ৬ উইকেট তুলে নেন জুনায়েদ, আইজাজ চিমা আর উমর গুল মিলে। তাঁদের শিকারদের মধ্যে ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক-বর্তমান তিন অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা (২), মাহেলা জয়াবর্ধনে (১৯) আর তিলকরত্নে দিলশান (২৮)। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তিন ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতার পর হাল ধরেন ম্যাথুজ, ৯৯ বলের হার-না-মানা ইনিংসে চারটি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। অষ্টম উইকেটে সুরঙ্গা লাকমালকে নিয়ে ৫৪ রানের মহামূল্যবান এক জুটি গড়েছেন তিনি, সে জুটিতে লাকমালের অবদান ছিল মাত্র ১৮!
চা বিরতির পর অবশ্য জুনায়েদ আর গুল মিলে খুব বেশি দূর যেতে দেননি লঙ্কান টেলএন্ডারদের, ২৯ রানের মধ্যে শেষ তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছেন তাঁরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস ১৯৭ (পারানাভিতানা ৩৭, থিরিমানে ২০, সাঙ্গাকারা ২, জয়াবর্ধনে ২৮, দিলশান ১৯, ম্যাথুজ ৫২*, প্রসন্ন ০, হেরাথ ০, লাকমাল ১৮, ওয়েলেগেদারা ১১, প্রদীপ ১; গুল ২/৩৭, চিমা ১/৫১, জুনায়েদ ৫/৩৮, আজমল ২/৫৮।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ২৭/০ (৮ ওভার);হাফিজ ১৭*, তৌফিক ৮*।
No comments