পাবনায় রহস্যজনক হত্যার শিকার এক স্কুলশিক্ষক-বিপাকে ৮৯ হজযাত্রী
পাবনায় এক স্কুলশিক্ষক রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গলায় তার পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে বিপাকে পড়েছেন ৮৯ জন হজযাত্রী। কেননা নিহত শিক্ষক আলহাজ আবদুল মজিদ সেলিম (৪৮) তাঁদের হজ এজেন্ট ছিলেন। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও হজে গমনেচ্ছুদের ধারণা, হজযাত্রীদের থেকে নেওয়া বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিতেই সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কোমর শাহাপুর গ্রামের ওয়াজ মাস্টারের ছেলে আলহাজ আবদুল মজিদ সেলিম আটঘরিয়া বিএমকে উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। এর ফাঁকে পাঁচ-ছয় বছর ধরে তিনি হজ এজেন্টের কাজও করতেন।
ঢাকার ১১৫/২৩ আরামবাগে অবস্থিত দ্য বরিশাল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মাধ্যমে তিনি হাজিদের মক্কা-মদিনায় পাঠাতেন। এ বছর মোট ৮৯ জন হাজি তাঁর কাছে হজে যাওয়ার জন্য টাকা জমা দেন। সেলিম তাঁর বন্ধু পাবনা শহরের ব্যবসায়ী রাজেম উদ্দিনের মাধ্যমে এবার হাজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
বরিশাল ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান কামরুল জানান, কয়েক কিস্তিতে সেলিম তাঁদের এক কোটি ছয় লাখ টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে রাজেমের অ্যাকাউন্ট থেকেই বেশি টাকা এসেছে। ওই অর্থে হাজিদের মক্কা-মদিনায় থাকা, বাসাভাড়া ইত্যাদির ব্যবস্থা হয়েছে। ৮৯ জন হাজির প্লেনের টিকিট ও খাওয়া খরচ বাবদ জনপ্রতি এক লাখ ২১ হাজার করে মোট এক কোটি সাত লাখ ৬৯ হাজার টাকা বৃহস্পতিবার জমা দেওয়ার কথা ছিল। ওইদিন টাকা না পেয়ে রাজেম ও সেলিমের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তাঁরা সোমবার টাকা নিয়ে ঢাকায় আসার কথা জানান।
সেলিমের আত্মীয় (ভায়রা) শাহজাহান চৌধুরী হীরক কালের কণ্ঠকে জানান, গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে সেলিম ৪২ লাখ টাকা নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। তিনি আটঘরিয়া বাজারে সালামের হার্ডওয়ারের দোকানে সেলিম রাজেমের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজেম তাঁর কর্মচারী হালিম ও ড্রাইভার মিন্টুকে নিয়ে সেই দোকানে গেলে সেলিম টাকার ব্যাগসহ তাঁদের সঙ্গে রওনা হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইল ফোন সেটও বন্ধ পাওয়া যায়। গতকাল সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার টেবুনিয়া সিড গোডাউন এলাকা থেকে পুলিশ সেলিমের লাশ উদ্ধার করে।
সদর থানার এসআই মাহফুজ আলী জানান, সেলিমকে গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাজেম, ড্রাইভার মিন্টু ও কর্মচারী হালিম পলাতক।
গতকাল দুপুরে কোমর শাহাপুর গ্রামে নিহত সেলিমের বাসায় গিয়ে দেখা যায় শোক আর আর্তনাদ। স্ত্রী হাসিনা খাতুন বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। বড় মেয়ে মাহমুদা (৭) জানায়, 'আব্বু যাওয়ার সময় আদর করে বলেছিল ঢাকা থেকে কিছু কিনে আনবে আমাদের জন্য। আমাদের কিছুই লাগবে না, শুধু আব্বুকে ফেরত দেন।' অবুঝ শিশুটির এই 'আবদারে' চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি উপস্থিত লোকজন।
এদিকে সেলিম হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী গতকাল আটঘরিয়া থানা চত্বরে বিক্ষোভ করেছে।
হজে গমনেচ্ছুরা হতভম্ব
সেলিম নিহত হওয়ার খবরে তাঁর মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছুরা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। গতকাল বিকেলে পাবনা প্রেসক্লাবে এসে তাঁরা জানান, তাঁরা প্রত্যেকে দুই লাখ ৪০ হাজার থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করেছেন। সেলিম ও রাজেম জানিয়েছিলেন, তাঁদের আটঘরিয়া থেকে নিয়ে যাওয়া হবে আবার আটঘরিয়াতেই ফেরত আনা হবে। আগামী ২৪ অক্টোবর তাদের ফ্লাইটের নির্ধারিত তারিখ ছিল। তাঁরা হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি ৮৯ জন হাজির হজে যাওয়া নিশ্চিত করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। একই দাবিতে তাঁরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'তাঁদের আবেদনপত্র দিতে বলেছি। আবেদনপত্রটি পেলে তা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। দেখা যাক কী করা যায়।'
বরিশাল ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান কামরুল জানান, কয়েক কিস্তিতে সেলিম তাঁদের এক কোটি ছয় লাখ টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে রাজেমের অ্যাকাউন্ট থেকেই বেশি টাকা এসেছে। ওই অর্থে হাজিদের মক্কা-মদিনায় থাকা, বাসাভাড়া ইত্যাদির ব্যবস্থা হয়েছে। ৮৯ জন হাজির প্লেনের টিকিট ও খাওয়া খরচ বাবদ জনপ্রতি এক লাখ ২১ হাজার করে মোট এক কোটি সাত লাখ ৬৯ হাজার টাকা বৃহস্পতিবার জমা দেওয়ার কথা ছিল। ওইদিন টাকা না পেয়ে রাজেম ও সেলিমের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তাঁরা সোমবার টাকা নিয়ে ঢাকায় আসার কথা জানান।
সেলিমের আত্মীয় (ভায়রা) শাহজাহান চৌধুরী হীরক কালের কণ্ঠকে জানান, গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে সেলিম ৪২ লাখ টাকা নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। তিনি আটঘরিয়া বাজারে সালামের হার্ডওয়ারের দোকানে সেলিম রাজেমের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজেম তাঁর কর্মচারী হালিম ও ড্রাইভার মিন্টুকে নিয়ে সেই দোকানে গেলে সেলিম টাকার ব্যাগসহ তাঁদের সঙ্গে রওনা হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইল ফোন সেটও বন্ধ পাওয়া যায়। গতকাল সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার টেবুনিয়া সিড গোডাউন এলাকা থেকে পুলিশ সেলিমের লাশ উদ্ধার করে।
সদর থানার এসআই মাহফুজ আলী জানান, সেলিমকে গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাজেম, ড্রাইভার মিন্টু ও কর্মচারী হালিম পলাতক।
গতকাল দুপুরে কোমর শাহাপুর গ্রামে নিহত সেলিমের বাসায় গিয়ে দেখা যায় শোক আর আর্তনাদ। স্ত্রী হাসিনা খাতুন বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। বড় মেয়ে মাহমুদা (৭) জানায়, 'আব্বু যাওয়ার সময় আদর করে বলেছিল ঢাকা থেকে কিছু কিনে আনবে আমাদের জন্য। আমাদের কিছুই লাগবে না, শুধু আব্বুকে ফেরত দেন।' অবুঝ শিশুটির এই 'আবদারে' চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি উপস্থিত লোকজন।
এদিকে সেলিম হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী গতকাল আটঘরিয়া থানা চত্বরে বিক্ষোভ করেছে।
হজে গমনেচ্ছুরা হতভম্ব
সেলিম নিহত হওয়ার খবরে তাঁর মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছুরা হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। গতকাল বিকেলে পাবনা প্রেসক্লাবে এসে তাঁরা জানান, তাঁরা প্রত্যেকে দুই লাখ ৪০ হাজার থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করেছেন। সেলিম ও রাজেম জানিয়েছিলেন, তাঁদের আটঘরিয়া থেকে নিয়ে যাওয়া হবে আবার আটঘরিয়াতেই ফেরত আনা হবে। আগামী ২৪ অক্টোবর তাদের ফ্লাইটের নির্ধারিত তারিখ ছিল। তাঁরা হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি ৮৯ জন হাজির হজে যাওয়া নিশ্চিত করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। একই দাবিতে তাঁরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'তাঁদের আবেদনপত্র দিতে বলেছি। আবেদনপত্রটি পেলে তা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। দেখা যাক কী করা যায়।'
No comments