বগুড়ায় জনতার উদ্দেশে খালেদা জিয়া-সরকারের পতন ঘটাতে ঢাকায় যেতে হবে by শফিক সাফি,

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। জনগণও সরকারকে আর দেখতে চায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। যত দিন না দাবি আদায় হবে, তত দিন আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে এ দাবি আদায়ের জন্য আপনাদের ঢাকার অভিমুখে এগোতে হতে পারে। ঘরে ঘরে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যে আন্দোলনের আগুনে পুড়ে সরকার ছারখার হয়ে যাবে।


খালেদা জিয়া বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও এরশাদ ছাড়া অন্য কেউ রাজি নয়। তাই সরকারকে বলব, এরশাদকে নিয়ে নির্বাচন করার যে স্বপ্ন আপনারা দেখছেন, তা গুড়েবালি হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আসতেই হবে। রোডমার্চে বাধা দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, এর জবাব দেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বগুড়ায় আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া। রাজশাহী বিভাগে দুই দিনব্যাপী রোডমার্চের প্রথম দিনের তিনটি পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
চারদলীয় জোট এবং একটি রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করতেই সরকার নিজামী, মুজাহিদ, সাইদীকে মামলা দিয়ে আটকে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া বাংলাদেশের জন্য 'লজ্জা' মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে চুরি নয়, সরকার ডাকাতি করেছে। অন্য দাতারাও অর্থায়ন বন্ধ করে দেবে।
বিএনপির সিনিয়র নেতা ও চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দলের নেতারাও বগুড়ার জনসভায় বক্তব্য দেন। এর আগে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে উত্তরা হাউস বিল্ডিংয়ে অপেক্ষমাণ গাড়িবহরে যোগ দেন খালেদা জিয়া। রোডমার্চ সকাল ১১টায় উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। রোডমার্চে জামায়াত, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাগপা, বাংলাদেশ ন্যাপ, এনপিপি, লেবার পার্টি, এনডিপি, ইসলামিক দল, মুসলিম লীগ, এলডিপি, কল্যাণ পার্টিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঢাকা থেকে রোডমার্চ শুরু হয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রথম পথসভা, যমুনার ওপারে বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছে ভুয়াপুর রেলস্টেশন মাঠে দ্বিতীয় পথসভা এবং বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে তৃতীয় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা থেকে বগুড়ায় রোডমার্চ আসার পথে খালেদা জিয়াকে সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানায়। খালেদা জিয়াও হাত নেড়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। খালেদা জিয়া বগুড়া পেঁৗছেন বিকেল ৫টায়। ৫টা ১০ মিনিটে বক্তব্য শুরু করে শেষ করেন ৫টা ৪৫ মিনিটে। সাদা রঙের পাজেরো গাড়িতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন দলের সহসভাপতি সেলিমা রহমান। বগুড়ার জনসভা শেষে তিনি সার্কিট হাউসে ওঠেন। আজ সকালে রোডমার্চের বহর রওনা হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে।
খালেদা জিয়া বগুড়ার জনসভায় বলেন, তিন বছর সরকার কোনো কাজ করেনি। বগুড়াসহ সারা দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হবে কী হবে, সব তো লুটপাট করে খাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, সরকার জানে, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হবে। তাই সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, দেশের জনগণ, সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবীদের এক দাবি_নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাদের কথা এবং কাজে কোনো মিল নেই। ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেয়নি। এখন আরো ছাঁটাই হচ্ছে। বিনামূল্যে সার দেওয়ার কথা বলে সারের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ১০ টাকা চাল খাওয়াবে বললেও দেশের মানুষ এখন ৫০ টাকায় চাল খাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রশাসনে দলীয়করণ করা হয়েছে। ৪৮০ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হযেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অযোগ্য অফিসারদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে এখন কোনো বিনিয়োগ নেই। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস নেই। শিল্পকারখানা একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে ভারতীয়দের গভীর ষড়যন্ত্র আছে। দুর্নীতি করতে টেন্ডার ছাড়াই সব কাজ করা হচ্ছে। দায়মুক্তি আইন পাস করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে অবশ্যই দুর্নীতিবাজদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
শেয়ারবাজার লুটপাটের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির সময় শেয়ারবাজারে কোনো অনিয়ম হয় না। কিন্তু যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখনই শেয়ারবাজারে লুটপাট হয়। '৯৬ সালে লুটপাট হয়েছিল। এবারও লুটপাট হয়েছে। ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। প্রায় সোয়া কোটি মানুষ আজ নিঃস্ব। শেয়ারবাজারের লুটপাটের সঙ্গে সরকারের বড় বড় লোকেরা জড়িত। তাঁরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ডলার-পাউন্ড করে বিদেশে পাচার করেছে। ফলে বিদেশি কারেন্সির দাম বেড়ে গেছে।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে পররাষ্ট্রনীতি বলতে কিছু নেই। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষানীতি নিয়ন্ত্রণ করছে একটি দেশ। মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে কোনো লোক যেতে পারছে না। অনেকেই ফিরে আসছে। বিডিআরকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। নাম-পোশাক পাল্টে ফেলা হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত অরক্ষিত। তিনি বলেন, সরকার মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলছে। বিচার করবেন। আপত্তি নেই। কিন্তু বিচার হতে হবে স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিক মানের। ট্রাইব্যুনালে বিদেশি আইনজীবীদের নিয়োগ করার সুযোগ থাকতে হবে। বর্তমান ট্রাইব্যুনাল দলীয় এবং ঘাদানিককে নিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন_সরকারের নিজ দলের এবং তার পরিবারের লোকেরাও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের কেন ধরা হচ্ছে না?
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চানের পরিচালনায় বক্তব্য দেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোজাহার আলী প্রধান, বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম হাফিজুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আলী মুকুল, মহিলা দলের সভানেত্রী লাভলী রহমান, বগুড়া জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবদুল হক, জামায়াতের শহর আমির আবেদুর রহমান সোহেল, যুবদলের সভাপতি খায়রুল বাশার, ছাত্রদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক শাহবুল আলম পিপলু প্রমুখ।
জনসভায় জাতীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রোডমার্চ সমন্বয়কারী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারি তালুকদার বেলালসহ শতাধিক নেতা।
গত সংসদ নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর খালেদা জিয়া বগুড়ায় আসেন। জনসভাকে কেন্দ্র করে বগুড়া শহর সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। জনসভা সফল করতে উত্তরের ৯টি জেলা থেকেই নেতা-কর্মীরা বগুড়ায় আসেন। সকাল ১০টা থেকেই শহরে মিছিল শুরু হয়। দুপুর ১২টার মধ্যে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠের বেশির ভাগ ভরে যায়। দুপুর গড়াতেই শহরে যানবাহন চলাচল কমে আসে। বগুড়া পরিণত হয় স্লোগানের নগরীতে_'শেখ হাসিনার দিন শেষ, খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ'; 'এই দেশে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার'...।
খালেদা জিয়ার জনসভা শহরের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থান সাতমাথা, বগুড়া জিলা স্কুল, কালিবাড়ী মোড়, জজকোর্ট রোড, সার্কিট হাউস রোড ও ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়ে বড় পর্দায় দেখানো হয়।
গাজীপুর থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার দ্বিতীয় রোডমার্চে কালিয়াকৈরে প্রথম পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের কোনো অন্যায় আদেশ পালন না করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বেলা ১২টার দিকে খালেদা জিয়া কালিয়াকৈর পেঁৗছান। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল এবং হাসান উদ্দিন সরকার খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। খালেদার সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক, ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, রোডমার্চের অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশে পাথাইলকান্দি শ্যালশৈলে এক পথসভার আয়োজন করে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি। দুপুর ২টা ৫ মিনিটে খালেদা জিয়া সভাস্থলে পেঁৗছান। ২০ মিনিটের মতো বক্তব্য দেন তিনি। সভাস্থল থেকে ফেরার পথে মহাসড়কে নামলে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গায় সড়কের ওপর নির্মিত রোডমার্চের একটি তোরণ ভেঙে গাড়ি আটকা পড়ে। সাড়ে ৩টায় ভাঙা তোরণ সরানো হলেও সড়কের উভয় পাশে গাড়ি এলোমেলো অবস্থানের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। একই সময় মহাসড়কের রাবনা নামক স্থানেও আরেকটি তোরণ ভেঙে পড়লে সেখানেও গাড়ি আটকা পড়ে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হাটিকুমরুলের পথসভায় খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরো একটি যুদ্ধ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করবে। বর্তমান সরকার জনগণকে দেওয়া একটি ওয়াদা পূরণ না করলেও ভারতকে দেওয়া সব ওয়াদা পূরণ করে যাচ্ছে। বিনা শুল্কে ভারতের পণ্য বাংলাদেশের সব বন্দর দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে।
পথসভায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, আবুল খায়ের ভূঁইয়া এমপি, নাজেম উদ্দিন ভূঁইয়া এমপি, সৈয়দা আফিয়া আশরাফি পাপিয়া এমপি, রুমানা মাহমুদ এমপি, ফজলুর রহমান পটল, আবদুস সালাম প্রমুখ।
সভাস্থলে জামায়াত নেতা নিজামী, মুজাহিদ ও সাঈদীর ছবিসহ মুক্তি দাবির ব্যানার নিয়ে কয়েকজন জামায়াত কর্মী মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, কাজীপুর ও বেলকুচি থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জনসভায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এ সময় বেলকুচিতে একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজমাঠে জনসভা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, রাজশাহী বিভাগে দুই দিনের রোডমার্চ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সরকারি কলেজমাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া। এ উপলক্ষে নতুন সাজে সেজেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কে নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ১০০ তোরণ। শহরের মোড়ে মোড়ে টানানো হয়েছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের বড় বড় প্রতিকৃতি। পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ শহরে মোতায়েন করা হয়েছে।
নাদিম মোস্তফা লাঞ্ছিত, সংঘর্ষে আহত ১০
 

No comments

Powered by Blogger.