সব মিলিয়েই এ জয়
সিরিজ হেরে যাওয়ার পর হলেও শেষ ম্যাচটি জিতল বাংলাদেশ। তাও যেনতেনভাবে নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬১ রানে অলআউট করে, বিশ্বকাপের ৫৮-লজ্জার স্মৃতির ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের তো প্রাণখুলে হাসারই দিন।সংবাদ সম্মেলনে নিজের স্বস্তির কথা জানিয়ে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। টস জয়, সহায়ক উইকেট আর চট্টগ্রামের টনিক_সব কিছুকেই মানলেন জয়ের প্রভাবক হিসেবে, 'এসব মিলেই এই জয়। চট্টগ্রামে এলে সব সময়ই মনে হয় জিতব। আজ আসলে সব কিছুই পক্ষে ছিল।' ঢাকার উইকেট নিয়ে হৈচৈ হয়েছে বিস্তর। চট্টগ্রামের উইকেট যেন তার জবাব দিয়ে দিল দারুণভাবে।
স্পিনারদের বরণ করে নেওয়ার জন্য যেন একেবারে তৈরি ছিল। অধিনায়ক অবশ্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন পেসারদেরও, 'চট্টগ্রামের উইকেটে সব সময় শুরুর দিকে পেসারদের জন্য কিছু না কিছু থাকে। আজও ছিল। শুরুতে পেসাররা উইকেট নেওয়ায় ওদের ধারণাই ছিল না স্পিনারদের কিভাবে খেলতে হবে।'
গতকাল বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ ছিল আবহাওয়া। পুরোটা সময়ই আকাশ ঢাকা ছিল মেঘে। যেকোনো মুহূর্তে বৃষ্টি হলেই ঝুলে যেত ম্যাচের ভাগ্য। এ ব্যাপারটি মাথায় রেখে দ্রুত খেলা শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছেন মুশফিক, '৫-৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভাবছিলাম ওদের দ্রুত অল আউট করা যায় কি না। ব্যাটিংয়ের সময়ও এটি মাথায় ছিল। তাড়াহুড়ো ছিল না খুব। তবে চেষ্টা করছিলাম বৃষ্টির আগেই যেন শেষ করতে পারি।' সেটি পেরেছেন। নিজে অপরাজিত থেকেই, দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন মুশফিক। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে এ জয় দলকে উজ্জীবিত করবে বলেই মুশফিকের দাবি, 'আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল জয় নিয়ে যেন টেস্ট সিরিজে যেতে পারি। সেটি হওয়ায় এখন দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে।'
সংবাদ সম্মেলন দেখে বিজয়ী-বিজিত বোঝার উপায় নেই। মুশফিকুর রহিমের উচ্ছ্বাসের বাড়াবাড়ি ছিল না, সেটা ছিল ড্যারেন সামির মধ্যে। প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়েন আর কী! কে বলবে, একটু আগে তাঁর দল ৬১ রানে অল আউট হয়েছে! হয়তো সিরিজ জয়ের আনন্দই তাঁর কাছে বড়।
'আমাদের জন্য সিরিজ জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্সে সেটি হয়তো খানিকটা বিবর্ণ হলো। তবে আমাদের মনে ছিল, নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। তাদের হারানো তাই সহজ না। আর আমরাও ২০০৭ সালে জিম্বাবুয়ের পর এই প্রথম দেশের বাইরে সিরিজ জিতলাম'_মুদ্রার অন্য পিঠটা এভাবেই দেখছেন সামি। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা অবশ্য আড়াল করছেন না তিনি, 'আজ আমাদের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে গিয়ে প্রয়োগক্ষমতা দেখাতে পারেনি। প্রথম দুই ম্যাচে এত ভালো ব্যাটিংয়ের পর এমন পারফরম্যান্স হতাশাজনক।'
এমন হারের পরও টেস্টের আগে যে প্রণোদনার অভাব নেই, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন ড্যারেন সামি, 'দেশে এমন উইকেটে খেলেই কিন্তু আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছি। এই ম্যাচে যা-ই হোক, আত্মবিশ্বাস আছে টেস্টে সেটি আবার করতে পারব। একদিক দিয়ে টেস্টের আগের এই ফল ভালোই হলো। আমরা আবার জানলাম, প্রতিপক্ষ কতটা ভয়ংকর। টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে সেটি জেনে আমরা দুই ওয়ানডেতে খুব ভালো খেলেছি। এখন শেষ ম্যাচে এমন করার পর টেস্টে আরো মনোযোগী থাকব।'
জমজমাট এক টেস্ট সিরিজের প্রতিশ্রুতিই কি থাকল এই শেষ ম্যাচ থেকে!
গতকাল বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ ছিল আবহাওয়া। পুরোটা সময়ই আকাশ ঢাকা ছিল মেঘে। যেকোনো মুহূর্তে বৃষ্টি হলেই ঝুলে যেত ম্যাচের ভাগ্য। এ ব্যাপারটি মাথায় রেখে দ্রুত খেলা শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছেন মুশফিক, '৫-৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভাবছিলাম ওদের দ্রুত অল আউট করা যায় কি না। ব্যাটিংয়ের সময়ও এটি মাথায় ছিল। তাড়াহুড়ো ছিল না খুব। তবে চেষ্টা করছিলাম বৃষ্টির আগেই যেন শেষ করতে পারি।' সেটি পেরেছেন। নিজে অপরাজিত থেকেই, দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন মুশফিক। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে এ জয় দলকে উজ্জীবিত করবে বলেই মুশফিকের দাবি, 'আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল জয় নিয়ে যেন টেস্ট সিরিজে যেতে পারি। সেটি হওয়ায় এখন দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে।'
সংবাদ সম্মেলন দেখে বিজয়ী-বিজিত বোঝার উপায় নেই। মুশফিকুর রহিমের উচ্ছ্বাসের বাড়াবাড়ি ছিল না, সেটা ছিল ড্যারেন সামির মধ্যে। প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়েন আর কী! কে বলবে, একটু আগে তাঁর দল ৬১ রানে অল আউট হয়েছে! হয়তো সিরিজ জয়ের আনন্দই তাঁর কাছে বড়।
'আমাদের জন্য সিরিজ জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্সে সেটি হয়তো খানিকটা বিবর্ণ হলো। তবে আমাদের মনে ছিল, নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। তাদের হারানো তাই সহজ না। আর আমরাও ২০০৭ সালে জিম্বাবুয়ের পর এই প্রথম দেশের বাইরে সিরিজ জিতলাম'_মুদ্রার অন্য পিঠটা এভাবেই দেখছেন সামি। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা অবশ্য আড়াল করছেন না তিনি, 'আজ আমাদের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে গিয়ে প্রয়োগক্ষমতা দেখাতে পারেনি। প্রথম দুই ম্যাচে এত ভালো ব্যাটিংয়ের পর এমন পারফরম্যান্স হতাশাজনক।'
এমন হারের পরও টেস্টের আগে যে প্রণোদনার অভাব নেই, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন ড্যারেন সামি, 'দেশে এমন উইকেটে খেলেই কিন্তু আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছি। এই ম্যাচে যা-ই হোক, আত্মবিশ্বাস আছে টেস্টে সেটি আবার করতে পারব। একদিক দিয়ে টেস্টের আগের এই ফল ভালোই হলো। আমরা আবার জানলাম, প্রতিপক্ষ কতটা ভয়ংকর। টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে সেটি জেনে আমরা দুই ওয়ানডেতে খুব ভালো খেলেছি। এখন শেষ ম্যাচে এমন করার পর টেস্টে আরো মনোযোগী থাকব।'
জমজমাট এক টেস্ট সিরিজের প্রতিশ্রুতিই কি থাকল এই শেষ ম্যাচ থেকে!
No comments