শিক্ষিত ও রোজগেরে কনে
বেগি জিয়েলিনস্কি একজন ফ্যাশন স্টাইলিস্ট। জন্ম জার্মানিতে। বয়স ২৮ বছর। ফ্যাশনের ওপর পড়াশোনা করতে ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান। সেই থেকে সেখানেই বসবাস। কিন্তু এবার ঠিক বড়দিনের আগে প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। প্রেমিক জাহাজ মেরামতের কাজ করতেন। জিয়েলিনস্কি বলেন, ‘আমার পেশা এবং আমি কীভাবে সফল হব এ নিয়ে সে ছিল খুবই শঙ্কিত, চিন্তিত।’
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত এক বিশ্লেষণধর্মী জরিপে জিয়েলিনস্কিসহ অনেক রোজগেরে নারীর চিত্র উঠে এসেছে।
পিউ সেন্টারের মুখপাত্র পল ফুসিতো বলেন, পুরুষেরা এখন তাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত ও উপার্জন করা নারীকে বিয়ে করাটা বেশি পছন্দ করছে। আর মেয়েদের অবস্থা এর উল্টো। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ভালো উপার্জন করা স্ত্রীর সংখ্যা বাড়ায় পুরুষেরা এখন বিয়ে করে অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছে।
জরিপে বিশ্লেষকেরা ৩০ থেকে ৪৪ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিকদের তথ্য যাচাই করে দেখেন, পুরুষের চেয়ে বেশির ভাগ নারীর কলেজের উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে। ১৯৭০ সালের পর থেকে দ্রুতগতিতে বাড়ছে পুরুষের চেয়ে নারীর আয়।
গ্রিসের অলিম্পিয়ার এভারগ্রিন স্টেট কলেজের অধ্যাপক এবং গবেষণা ও ওকালতি করা সংস্থা কাউন্সিল অন কনটেম্পরারি ফ্যামিলিসের গবেষণা পরিচালক স্টিফানি কুঞ্জ বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, কিছু ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা বেশি শারীরিক ও মানসিক শান্তির জন্য বিয়ে করতে চায়। এখন বিয়ের পর অর্থনৈতিক কল্যাণের বিষয়টিও তাদের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে।’
এদিকে সাম্প্রতিক বিশ্বমন্দার পরও নারী ও পুরুষের শিক্ষা এবং উপার্জনের ব্যবধান বেড়েছে। চাকরি হারানো চারজনের মধ্যে তিনজনই পুরুষ।
সরকারের আদমশুমারি সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, স্বামী-সন্তানসহ পরিবারে শুধু স্ত্রীরাই গত বছর সংসারের ৭ শতাংশ কাজ করেছে। ২০০৭ সালে এর হার ছিল ৫ শতাংশ। কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে এ হার ৯ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ৩৮ বছর বয়সী মনোরোগ চিকিত্সক কৃষ্ণাঙ্গ নারী রাজাল্লা প্রিউইত। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ে করতে চাই। আমার বন্ধুরাও একই অবস্থার মধ্যে আছে। একই ধরনের মনমানসিকতা, লক্ষ্য ও মূল্যবোধের ব্যক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব সমস্যায় আছি আমরা।’
২০০৭ সালে পিউ তাদের গবেষণায় দেখতে পায়, মধ্যবিত্ত পরিবারের বিবাহিত পুরুষ, বিবাহিত নারী ও অবিবাহিত নারীর আয় ১৯৭০ সালের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু একই সময়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের অবিবাহিত পুরুষদের আয় বেড়েছে মাত্র ১৬ শতাংশ।
১৯৭০ সালে ২৮ শতাংশ স্ত্রীরই স্বামী ছিল তাদের চেয়ে শিক্ষিত। ২০ শতাংশ স্ত্রীর ছিল তাদের চেয়ে কম শিক্ষিত স্বামী। ২০০৭ সালে ওই দুটি হার পাল্টে ১৯ ও ২৮ শতাংশ হয়েছে। অর্থাত্ ১৯ শতাংশ স্ত্রীর স্বামী তাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং ২৮ শতাংশ স্ত্রীর স্বামী তাদের চেয়ে কম শিক্ষিত। এদিকে ১৯৭০ সালে মাত্র ৪ শতাংশ নারী তাদের স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করত। ২০০৭ সালে তা বেড়ে ২২ শতাংশ হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে সংসারের খরচ চালানোর ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
আবাসন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ৩৫ বছর বয়সী কলম্বিয়ার সৃতা ম্যাকফেডেন ও সারাহ লরেন্স বলেন, যেকোনো সম্প্রদায়ের পুরুষই হোক না কেন, একজন প্রতিষ্ঠিত নারীর বিপক্ষে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার মধ্যে সামান্য ভীতি কাজ করে।
এ প্রসঙ্গে ফ্যাশন স্টাইলিস্ট জিয়েলিনস্কি তাঁর ঘনিষ্ঠ এক পুরুষ বন্ধুর কথা উল্লেখ করেন। বন্ধুটি তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি যদি আস্থাশীল হও, তোমার যদি ভালো অর্থকড়ি থাকে, তাহলে তুমি তোমার কাজ চালিয়ে যাও। পুরো বিশ্ব ঘুরে বেড়াও এবং আত্মনির্ভরশীল হও। এবার বলো, কোন পুরুষ তোমাকে চাইতে পারে?’ এ কথা বলে বন্ধুটি হাসলেন। কিন্তু জিয়েলিনস্কি তাঁর ওই হাসিতে ঠিকই এক বিষাদের ছায়া যেন দেখতে পেলেন।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রকাশিত এক বিশ্লেষণধর্মী জরিপে জিয়েলিনস্কিসহ অনেক রোজগেরে নারীর চিত্র উঠে এসেছে।
পিউ সেন্টারের মুখপাত্র পল ফুসিতো বলেন, পুরুষেরা এখন তাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত ও উপার্জন করা নারীকে বিয়ে করাটা বেশি পছন্দ করছে। আর মেয়েদের অবস্থা এর উল্টো। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ভালো উপার্জন করা স্ত্রীর সংখ্যা বাড়ায় পুরুষেরা এখন বিয়ে করে অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছে।
জরিপে বিশ্লেষকেরা ৩০ থেকে ৪৪ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিকদের তথ্য যাচাই করে দেখেন, পুরুষের চেয়ে বেশির ভাগ নারীর কলেজের উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে। ১৯৭০ সালের পর থেকে দ্রুতগতিতে বাড়ছে পুরুষের চেয়ে নারীর আয়।
গ্রিসের অলিম্পিয়ার এভারগ্রিন স্টেট কলেজের অধ্যাপক এবং গবেষণা ও ওকালতি করা সংস্থা কাউন্সিল অন কনটেম্পরারি ফ্যামিলিসের গবেষণা পরিচালক স্টিফানি কুঞ্জ বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, কিছু ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা বেশি শারীরিক ও মানসিক শান্তির জন্য বিয়ে করতে চায়। এখন বিয়ের পর অর্থনৈতিক কল্যাণের বিষয়টিও তাদের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে।’
এদিকে সাম্প্রতিক বিশ্বমন্দার পরও নারী ও পুরুষের শিক্ষা এবং উপার্জনের ব্যবধান বেড়েছে। চাকরি হারানো চারজনের মধ্যে তিনজনই পুরুষ।
সরকারের আদমশুমারি সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, স্বামী-সন্তানসহ পরিবারে শুধু স্ত্রীরাই গত বছর সংসারের ৭ শতাংশ কাজ করেছে। ২০০৭ সালে এর হার ছিল ৫ শতাংশ। কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে এ হার ৯ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ৩৮ বছর বয়সী মনোরোগ চিকিত্সক কৃষ্ণাঙ্গ নারী রাজাল্লা প্রিউইত। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ে করতে চাই। আমার বন্ধুরাও একই অবস্থার মধ্যে আছে। একই ধরনের মনমানসিকতা, লক্ষ্য ও মূল্যবোধের ব্যক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব সমস্যায় আছি আমরা।’
২০০৭ সালে পিউ তাদের গবেষণায় দেখতে পায়, মধ্যবিত্ত পরিবারের বিবাহিত পুরুষ, বিবাহিত নারী ও অবিবাহিত নারীর আয় ১৯৭০ সালের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু একই সময়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের অবিবাহিত পুরুষদের আয় বেড়েছে মাত্র ১৬ শতাংশ।
১৯৭০ সালে ২৮ শতাংশ স্ত্রীরই স্বামী ছিল তাদের চেয়ে শিক্ষিত। ২০ শতাংশ স্ত্রীর ছিল তাদের চেয়ে কম শিক্ষিত স্বামী। ২০০৭ সালে ওই দুটি হার পাল্টে ১৯ ও ২৮ শতাংশ হয়েছে। অর্থাত্ ১৯ শতাংশ স্ত্রীর স্বামী তাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং ২৮ শতাংশ স্ত্রীর স্বামী তাদের চেয়ে কম শিক্ষিত। এদিকে ১৯৭০ সালে মাত্র ৪ শতাংশ নারী তাদের স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করত। ২০০৭ সালে তা বেড়ে ২২ শতাংশ হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে সংসারের খরচ চালানোর ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
আবাসন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ৩৫ বছর বয়সী কলম্বিয়ার সৃতা ম্যাকফেডেন ও সারাহ লরেন্স বলেন, যেকোনো সম্প্রদায়ের পুরুষই হোক না কেন, একজন প্রতিষ্ঠিত নারীর বিপক্ষে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার মধ্যে সামান্য ভীতি কাজ করে।
এ প্রসঙ্গে ফ্যাশন স্টাইলিস্ট জিয়েলিনস্কি তাঁর ঘনিষ্ঠ এক পুরুষ বন্ধুর কথা উল্লেখ করেন। বন্ধুটি তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি যদি আস্থাশীল হও, তোমার যদি ভালো অর্থকড়ি থাকে, তাহলে তুমি তোমার কাজ চালিয়ে যাও। পুরো বিশ্ব ঘুরে বেড়াও এবং আত্মনির্ভরশীল হও। এবার বলো, কোন পুরুষ তোমাকে চাইতে পারে?’ এ কথা বলে বন্ধুটি হাসলেন। কিন্তু জিয়েলিনস্কি তাঁর ওই হাসিতে ঠিকই এক বিষাদের ছায়া যেন দেখতে পেলেন।
No comments