রাজশাহীতে অভিযান, নারীসহ ৫ জঙ্গি নিহত
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযানে এক নারীসহ ৫ জঙ্গি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে অভিযানকালে জঙ্গিদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের চারজন আহত হয়েছেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুল মতিন মারা গেছেন। বাকি আহতরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী, এসআই লুৎফর রহমান ও কনস্টেবল উৎপল। তাদের রামেকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত জঙ্গিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে অভিযানের সময় বাড়ি থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অজ্ঞাত এই শিশুদের একজনের বয়স ৫ বছর ও অপরজনের বয়স দেড় মাস। ঘটনাস্থলের এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এখনও বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। গোদাগাড়ী থানার ওসি হিবজুর আলম মুন্সি যুগান্তরকে এসব তথ্য দেন। তিনি জানান, ঘিরে রাখা বাড়িতে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি নিক্ষেপ করে। এ সময় একযোগে নারী ও শিশুসহ ৬ জঙ্গি বাড়ি থেকে বের হয়ে দমকল কর্মী আবদুল মতিনকে শাবলসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর সেখানে তাদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়। এক পর্যায়ে জঙ্গিরা আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে নারীসহ ৫ জঙ্গির মৃত্যু হয়।
এ সময় বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী, এসআই লুৎফর রহমান ও কনস্টেবল উৎপল আহত হন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ওসি আরও জানান, বাড়িটির সামনে আরেক নারী অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছে। এর আগে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিনগত রাত পৌনে ২টা থেকে সাজ্জাদ ওরফে মিষ্টুর বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ীর রেলগেট বাইপাস থেকে উত্তরে ৭ কিলোমিটার দূরে বেনীপুরে বাড়িটির মালিক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে মিষ্টু। আগে তার বাড়ি ছিল একই ইউনিয়নের হাবাসপুরে। তিনি সম্প্রতি বেনীপুরে গিয়ে বাড়িটি করে সেখানে বসবাস করছেন। কৃষক মিষ্টুর বাবার নাম মৃত আব্দুর মাতিন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
No comments