নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হটিয়ে ফাইনালে রিয়াল
ফিরতি লেগে হেরে গেলেও দুই লেগ মিলে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে গেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দল রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার রাতে ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে ২-১ ব্যাবধানে জয় পায় অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে পৌঁছে যায় জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। এ নিয়ে রেকর্ড পঞ্চদশবারের মতো ফাইনালে উঠেছে শিরোপাধারী রিয়াল। সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম লেগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিকে ৩-০ গোলে হেরে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল অ্যাতলেটিকো। তাই ফিরতি লেগে রিয়ালকে বিদায় করতে সিমেওনির শিষ্যদের বড় ব্যবধান গড়তে হতো।
সেই লক্ষ্যে ভিসেন্তে কালদেরনে স্বাগতিকদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ১৬ মিনিটের মধ্যেই দুইবার রিয়ালের জালে বল পাঠায় দলটি। অ্যাতলেটিকোকে এগিয়ে নেয়ার কৃতিত্ব সাউল নিগেসের। ১২তম মিনিটে কোকের কর্নারে তার লাফানো দারুণ হেডে হাত ছোঁয়ালেও ফেরাতে পারেননি নাভাস।১৬তম মিনিটের মাথায় স্বাগতিকদের উল্লাসে মাতান অঁতোয়ান গ্রিজমান। ফার্নান্দো টরেসকে রাফায়েল ভারানে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল স্বাগতিকরা। প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান ইসকো। অবশ্য তার ৪২তম মিনিটের গোলে দারুণ অবদান করিম বেনজেমার। এই গোলের পর ফাইনালে যেতে আরও তিনবার রিয়ালের জালে বল পাঠাতে হতো অ্যাতলেটিকোকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলেও কেউ আর গোলের দেখা পায়নি। যে কারণে ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে এবারেও খালি ফিরতে হলো অ্যাতলেটিকোকে। এনিয়ে টানা চার মৌসুম রিয়ালের জন্য খালি হাতে ফিরেছে অ্যাতলেটিকো। ২০১৩-১৪ ও ২০১৫-১৬ আসরে ফাইনালে হারতে হয়েছিল নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে। মাঝে ২০১৪-১৫ আসরের কোয়ার্টার-ফাইনালেও রিয়ালের কাছে হারে অ্যাতলেটিকো। আগামী ৩ জুনের ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স জুভেন্টাস।
No comments