হারিয়ে গেছে হাড়গিলা ॥ নতুন প্রজন্মের কাছে অপরিচিত নাম- সারাবিশ্বে প্রাপ্তবয়স্ক এ পাখির সংখ্যা মাত্র ৮শ’ থেকে ১২শ’ by শাহীন রহমান
হাড়গিলা দেশের বিলুপ্ত প্রজাতির একটি
পাখির নাম। নতুন প্রজন্মের কাছে পাখিটির নাম যেমন অপরিচিত তেমনি পাখিটির
গঠন ও অবয়ব সম্পর্কে কারও বিন্দুমাত্র কোন ধারণা নেই।
কারণ পাখিটি দেশ থেকে অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে বয়সে এখন যারা
প্রবীণ তাদের কাছে এটির নাম যেমন চিরচেনা তেমনি কল্পনায় সহজেই এর অবয়ব
সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন। কারও কারও মতে হাড় হজম করতে পারে বলে এর নাম
দেয়া হয়েছে হাড়গিলা। আবার কারও মতে পাখিটির গলায় হাড় সদৃশ থলে রয়েছে বলে এর
নাম হয়েছে হাড়গিলা। বর্তমানে বাংলাদেশসহ আশপাশের অঞ্চল থেকে পাখিটি
পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতি
সংরক্ষিত। এক সময় দেশে এটির ব্যাপক বিচরণ থাকলেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিশ
শতকের প্রথম থেকেই এদের সংখ্যা কমে যেতে থাকে। বর্তমানে এ অঞ্চলে নেই
বললেই চলে। তবে এ অঞ্চল থেকে পাখিটি বিলুপ্ত হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশেও
পাখিটির বিচরণ হুমকির সম্মুখীন। এজন্য আইইউসিএন থেকে এ প্রজাটিকে বিপন্ন
বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সারাবিশ্বে প্রাপ্তবয়স্ক
হাড়গিলার সংখ্যা মাত্র ৮ শ’ থেকে ১২শ’।
হাড়গিলা প্রজাতির বিলুপ্তির সঠিক কারণ জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, উন্নত বর্জ্য নিষ্কাশন ও পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের কারণে প্রজাটির বিলুপ্তি ঘটেছে। কারণ এসব বর্জ্যই ছিল হাড়গিলার অন্যতম খাবার। অন্যান্য অঞ্চলেও এদের সংখ্যা আশঙ্কজনকভাবে কমে যাচ্ছে। জানা গেছে, শহরের বর্জ্য হাড়গিলার অন্যতম প্রধান খাবার। মৃত জীবজন্তুর হাড় পর্যন্ত এরা হজম করতে পারে। বর্তমানে ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গুটিকয়েক দেশে এখন হাড়গিলার দেখা মেলে। বাংলাদেশে রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলে হঠাৎ এ পাখিটির দেখা মেলে বলে জানা গেছে।
হাড়গিলার সঙ্গে মদনটাকের বিশেষ মিল রয়েছে। উভয়ই টেকো মাথার বৃহদাকার পাখি। মাথা ও ঘাড়ে কোন পালক নেই। জল-স্থল উভয়খানেই বাস করে। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ১৩০ সেন্টিমিটার, ডানা ৮১ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ৩৩.২ সেন্টিমিটার, লেজ ৩২.২ সেন্টিমিটার ও পা ৩২ সেন্টিমিটার। একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক হাড়গিলার ওজন ৮ থেকে ১১ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঘাড়ের নিচে সাদা গলাবন্ধ থাকে। মাথার পালকহীন চামড়া লালচে-বাদামি। মাথায় দু’-একটি পশমাকৃতির পালক থাকে। ঘাড়ে পশমের মতো একগুচ্ছ তুলতুলে সাদা পালক থাকে। ঘাড়ের পিছনে থলি থাকে। এর একটি অংশ ঘাড়ের ওপরে ফুলের মতো দেখায়। এর রং হলুদাভ-কমলা থেকে লালচে হতে পারে। প্রজননের সময় তা টকটকে লালবর্ণ ধারণ করে।
মাথার চাঁদির সামনের অংশ কালচে। গলার নিচের দিকে হলদে-পাটকিলে রঙের একটি বড় গলথলি থাকে। এ ঝুলন্ত গলথলিতে কালো দাগ থাকে। গলথলি দেখে মদনটাকের সঙ্গে হাড়গিলার পার্থক্য করা যায়। লেজ কালো। পেট ও ডানার পালকতল-ঢাকনি ফিকে মলিন সাদা। চোখ হলদে। লম্বা পা ও পায়ের পাতা লালচে হলেও বর্জ্য লেগে থাকাতে ফিকে ধূসর দেখায়। বিশাল ঠোঁট ত্রিকোণাকৃতির। হলদে-সবুজাভ ঠোঁটের গোড়া কালচে। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা ও ঘাড়ে বিক্ষিপ্ত পালক থাকে। দেহ অনেকটা কালচে ধূসর-বাদামি। সারা পৃথিবীতে মাত্র ৩৯ হাজার ৩০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এদের আবাস রয়েছে।
হাড়গিলা প্লাবন সমভূমি, জলাভূমি, হ্রদ, সামান্য ডুবে থাকা ফসলের ক্ষেত, বড় নর্দমা, খাল, প্যারাবন, খোলাবন ও নিচু বাদাজমিতে বিচরণ করে। সচরাচর ছোট দলে বিচরণ করে। একলা বা জোড়ায় বিচরণ করতেও দেখা যায়। চিল, মানিকজোড় ও শকুনের সঙ্গে মিশ্রভাবে এদের অবস্থান করতে দেখা যায়। একটানা অনেকক্ষণ এক জায়গায় জবুথবু হয়ে বসে থাকতে পারে। দুই বিশাল ডানা অনেক সময় মেলে ধরে থাকে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য। ওড়ার সময় হাড়গিলা গলা কুঁচকে রাখে। মাটি থেকে ওড়ার সময় আগে একটা লম্বা দৌড় দেয়। ঠিক আকাশে প্লেন ওড়ার মতো। গাছগাছালির ওপর দুই-তিনটি ছোট চক্কর দিয়ে আকাশে ওঠে।
খাদ্যাভাসের দিক থেকে হাড়গিলা সর্বভুক। প্রজাতিটি প্রধানত শবভোজী। শবদেহ খেতে ওস্তাদ বলে অনেক সময় এদের শকুনের সঙ্গে উড়তে ও তাদের খাবারে ভাগ বসাতে দেখা যায়। এদের প্রায় পালকহীন ঘাড় এবং মাথা শব ভোজনের উপযোগী। এছাড়াও বর্জ্যস্তূপ ও তার আশপাশে এরা ঘুরে বেড়ায় বর্জ্য খাওয়ার লোভে। মাছ, পোকামাকড়, ব্যাঙ, সাপ, পাখি, ইঁদুর ইত্যাদি ধরে খায়। এমনকি আস্ত বুনো হাঁস পর্যন্ত এরা খেয়ে ফেলতে পারে।
সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস সময় পর্যন্ত হাড়গিলার প্রজননকাল। প্রজনন মৌসুমের শুরুতেই হাড়গিলারা তাদের বাসা বানানোর স্থান বাছাই করে রাখে। একাধিক পাখি একই জায়গা বাছাই করলে তাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বাসা দখলে নেয়ার পর পুরুষ হাড়গিলা তার এলাকা চিহ্নিত করে। আশপাশে তখন আর কাউকে ভিড়তে দেয় না। এ সময় এরা ঠোঁটে-ঠোঁটে ঠকঠক আওয়াজ তুলে বাকি সবাইকে সতর্ক করে দেয়। পুরনো উঁচু গাছের সমতল প্রান্তে বা মগডালে এরা বাসা বানায়। বাসা বানানোর জায়গা এমনভাবে বেছে নেয় যাতে ওড়ার সময় কোন রকম বাধা না পায়। সাধারণত কদম বা ছাতিম গাছে বাসা বাঁধতে পছন্দ করে।
বাসা বানানো হয়ে গেলে ৩-৪টি বড় বড় সাদা ডিম পাড়ে। এক বা দুই দিনের বিরতিতে ডিম পাড়ে এরা। প্রথম ডিম পাড়ার পরই বাবা-মা উভয়েই তা দিতে বসে যায়। প্রায় ৩৫ দিন পর ডিম ফুটে ছানা বের হয়। তাপ থেকে রক্ষা পেতে প্রাপ্তবয়স্ক হাড়গিলা এ সময় ইউরোহাইড্রোসিস প্রক্রিয়ায় ছানাদের দেহ ঠা-া রাখে। এ প্রক্রিয়ায় তারা তাদের মল পায়ে লেপ্টে রাখে যা অত্যধিক তাপ থেকে তাদের রক্ষা করে। এছাড়া ডানা মেলে ধরে সূর্যালোক থেকে ছানাদের রক্ষা করে। ছানারা পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত বাসায় থাকে।
চলাফেরায় সামরিক আড়ষ্টতার কারণে এর ইংরেজি নাম হয়েছে গ্রেটার এ্যাডজুটেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে একসময় দক্ষিণ এশিয়া ও মহাদেশীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সর্বত্রই হাড়গিলা দেখা যেত। বেশি দেখা যেত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে। জানা গেছে ১৮৫০ সালে সুন্দরবনে এরা প্রজনন করত। কিন্তু বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে হঠাৎ করেই এদের সংখ্যা কমতে শুরু করে। বর্তমানে এ অঞ্চল থেকে এরা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ভারতের আসামে এবং কম্বোডিয়ায় কিছু হাড়গিলা দেখতে পাওয়া যায়। এসব এলাকায় রয়েছে এদের প্রজনন ক্ষেত্র। এছাড়া নেপালেও অনিয়মিত হিসেবে হাড়গিলার দেখা মেলে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব এলাকায় এদের সংখ্যা আশংকাজনকহারে কমে আসছে।
হাড়গিলা প্রজাতির বিলুপ্তির সঠিক কারণ জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, উন্নত বর্জ্য নিষ্কাশন ও পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের কারণে প্রজাটির বিলুপ্তি ঘটেছে। কারণ এসব বর্জ্যই ছিল হাড়গিলার অন্যতম খাবার। অন্যান্য অঞ্চলেও এদের সংখ্যা আশঙ্কজনকভাবে কমে যাচ্ছে। জানা গেছে, শহরের বর্জ্য হাড়গিলার অন্যতম প্রধান খাবার। মৃত জীবজন্তুর হাড় পর্যন্ত এরা হজম করতে পারে। বর্তমানে ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গুটিকয়েক দেশে এখন হাড়গিলার দেখা মেলে। বাংলাদেশে রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলে হঠাৎ এ পাখিটির দেখা মেলে বলে জানা গেছে।
হাড়গিলার সঙ্গে মদনটাকের বিশেষ মিল রয়েছে। উভয়ই টেকো মাথার বৃহদাকার পাখি। মাথা ও ঘাড়ে কোন পালক নেই। জল-স্থল উভয়খানেই বাস করে। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ১৩০ সেন্টিমিটার, ডানা ৮১ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ৩৩.২ সেন্টিমিটার, লেজ ৩২.২ সেন্টিমিটার ও পা ৩২ সেন্টিমিটার। একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক হাড়গিলার ওজন ৮ থেকে ১১ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঘাড়ের নিচে সাদা গলাবন্ধ থাকে। মাথার পালকহীন চামড়া লালচে-বাদামি। মাথায় দু’-একটি পশমাকৃতির পালক থাকে। ঘাড়ে পশমের মতো একগুচ্ছ তুলতুলে সাদা পালক থাকে। ঘাড়ের পিছনে থলি থাকে। এর একটি অংশ ঘাড়ের ওপরে ফুলের মতো দেখায়। এর রং হলুদাভ-কমলা থেকে লালচে হতে পারে। প্রজননের সময় তা টকটকে লালবর্ণ ধারণ করে।
মাথার চাঁদির সামনের অংশ কালচে। গলার নিচের দিকে হলদে-পাটকিলে রঙের একটি বড় গলথলি থাকে। এ ঝুলন্ত গলথলিতে কালো দাগ থাকে। গলথলি দেখে মদনটাকের সঙ্গে হাড়গিলার পার্থক্য করা যায়। লেজ কালো। পেট ও ডানার পালকতল-ঢাকনি ফিকে মলিন সাদা। চোখ হলদে। লম্বা পা ও পায়ের পাতা লালচে হলেও বর্জ্য লেগে থাকাতে ফিকে ধূসর দেখায়। বিশাল ঠোঁট ত্রিকোণাকৃতির। হলদে-সবুজাভ ঠোঁটের গোড়া কালচে। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা ও ঘাড়ে বিক্ষিপ্ত পালক থাকে। দেহ অনেকটা কালচে ধূসর-বাদামি। সারা পৃথিবীতে মাত্র ৩৯ হাজার ৩০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এদের আবাস রয়েছে।
হাড়গিলা প্লাবন সমভূমি, জলাভূমি, হ্রদ, সামান্য ডুবে থাকা ফসলের ক্ষেত, বড় নর্দমা, খাল, প্যারাবন, খোলাবন ও নিচু বাদাজমিতে বিচরণ করে। সচরাচর ছোট দলে বিচরণ করে। একলা বা জোড়ায় বিচরণ করতেও দেখা যায়। চিল, মানিকজোড় ও শকুনের সঙ্গে মিশ্রভাবে এদের অবস্থান করতে দেখা যায়। একটানা অনেকক্ষণ এক জায়গায় জবুথবু হয়ে বসে থাকতে পারে। দুই বিশাল ডানা অনেক সময় মেলে ধরে থাকে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য। ওড়ার সময় হাড়গিলা গলা কুঁচকে রাখে। মাটি থেকে ওড়ার সময় আগে একটা লম্বা দৌড় দেয়। ঠিক আকাশে প্লেন ওড়ার মতো। গাছগাছালির ওপর দুই-তিনটি ছোট চক্কর দিয়ে আকাশে ওঠে।
খাদ্যাভাসের দিক থেকে হাড়গিলা সর্বভুক। প্রজাতিটি প্রধানত শবভোজী। শবদেহ খেতে ওস্তাদ বলে অনেক সময় এদের শকুনের সঙ্গে উড়তে ও তাদের খাবারে ভাগ বসাতে দেখা যায়। এদের প্রায় পালকহীন ঘাড় এবং মাথা শব ভোজনের উপযোগী। এছাড়াও বর্জ্যস্তূপ ও তার আশপাশে এরা ঘুরে বেড়ায় বর্জ্য খাওয়ার লোভে। মাছ, পোকামাকড়, ব্যাঙ, সাপ, পাখি, ইঁদুর ইত্যাদি ধরে খায়। এমনকি আস্ত বুনো হাঁস পর্যন্ত এরা খেয়ে ফেলতে পারে।
সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস সময় পর্যন্ত হাড়গিলার প্রজননকাল। প্রজনন মৌসুমের শুরুতেই হাড়গিলারা তাদের বাসা বানানোর স্থান বাছাই করে রাখে। একাধিক পাখি একই জায়গা বাছাই করলে তাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বাসা দখলে নেয়ার পর পুরুষ হাড়গিলা তার এলাকা চিহ্নিত করে। আশপাশে তখন আর কাউকে ভিড়তে দেয় না। এ সময় এরা ঠোঁটে-ঠোঁটে ঠকঠক আওয়াজ তুলে বাকি সবাইকে সতর্ক করে দেয়। পুরনো উঁচু গাছের সমতল প্রান্তে বা মগডালে এরা বাসা বানায়। বাসা বানানোর জায়গা এমনভাবে বেছে নেয় যাতে ওড়ার সময় কোন রকম বাধা না পায়। সাধারণত কদম বা ছাতিম গাছে বাসা বাঁধতে পছন্দ করে।
বাসা বানানো হয়ে গেলে ৩-৪টি বড় বড় সাদা ডিম পাড়ে। এক বা দুই দিনের বিরতিতে ডিম পাড়ে এরা। প্রথম ডিম পাড়ার পরই বাবা-মা উভয়েই তা দিতে বসে যায়। প্রায় ৩৫ দিন পর ডিম ফুটে ছানা বের হয়। তাপ থেকে রক্ষা পেতে প্রাপ্তবয়স্ক হাড়গিলা এ সময় ইউরোহাইড্রোসিস প্রক্রিয়ায় ছানাদের দেহ ঠা-া রাখে। এ প্রক্রিয়ায় তারা তাদের মল পায়ে লেপ্টে রাখে যা অত্যধিক তাপ থেকে তাদের রক্ষা করে। এছাড়া ডানা মেলে ধরে সূর্যালোক থেকে ছানাদের রক্ষা করে। ছানারা পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত বাসায় থাকে।
চলাফেরায় সামরিক আড়ষ্টতার কারণে এর ইংরেজি নাম হয়েছে গ্রেটার এ্যাডজুটেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে একসময় দক্ষিণ এশিয়া ও মহাদেশীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সর্বত্রই হাড়গিলা দেখা যেত। বেশি দেখা যেত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে। জানা গেছে ১৮৫০ সালে সুন্দরবনে এরা প্রজনন করত। কিন্তু বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে হঠাৎ করেই এদের সংখ্যা কমতে শুরু করে। বর্তমানে এ অঞ্চল থেকে এরা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ভারতের আসামে এবং কম্বোডিয়ায় কিছু হাড়গিলা দেখতে পাওয়া যায়। এসব এলাকায় রয়েছে এদের প্রজনন ক্ষেত্র। এছাড়া নেপালেও অনিয়মিত হিসেবে হাড়গিলার দেখা মেলে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব এলাকায় এদের সংখ্যা আশংকাজনকহারে কমে আসছে।
No comments