বকর সবাইকে কাঁদাল
স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে বাবা-মায়ের দুঃখ
ঘোচাবে। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। পড়ালেখা শেষ হবে। একটা চাকরি পাবে।
পল্লীগাঁয়ে সুদিনের প্রহর গুনতে থাকা বাবা-মায়ের একটা অবলম্বন হবে।
কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্ন হয়ে রয়ে গেল। হিংস্র ছাত্র রাজনীতির বলি হতে হলো
মেধাবী ছাত্র আবু বকর সিদ্দিকীকে। যে কলি ফুল হয়ে ফুটতে শুরু করেছিল, তার
সৌরভ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা ঝরে গেল। তাঁর এ অকালপ্রয়াণ বাবা-মা,
আত্মীয় পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সকলকে অকূল দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে গেল। তাঁর
মৃত্যু কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। বলা যায় তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। আর এর জন্য
দায়ী কলুষিত ছাত্র রাজনীতি। নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত এ ছাত্র রাজনীতি শুধু আবু
বকরের নয়, কেড়ে নিয়েছে আরও অনেক মেধাবীর প্রাণ। তবু ছাত্র রাজনীতির সেই
ঘুরপাক থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারছি না।
গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সহিংস ঘটনায় প্রাণ হারায় আবু বকর সিদ্দিকী। বকর যে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল সে বিষয়ে কারও কোন সন্দেহ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, সব মিলিয়ে সে প্রথম স্থান লাভ করেছে। ফলাফল প্রকাশের পর সহপাঠী, শিক্ষক ও বাবা-মা আবারও কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। বকর কোন ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল না। শিক্ষা জীবনে ছাত্রছাত্রীদের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে অধ্যবসায়। বকর শেষ অবধি নিজেকে নিবিষ্ট রেখেছিল সেই অধ্যয়নের কাজে। তারপরও বকর রেহাই পেল না কলুষিত ছাত্র রাজনীতির কালো থাবা থেকে। তা হলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, আমাদের শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ নয়। তার চেয়ে বেশি অনিরাপদ দেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জীবন। কেন বার বার শিক্ষাঙ্গন উত্তপ্ত হচ্ছে, কারা এর জন্য দায়ী_ সরকারের উচিত নিরপেভাবে এর নিগূঢ় রহস্যোদ্ঘাটন করা। যে শিক্ষাঙ্গনকে ঘিরে ছাত্র রাজনীতির চর্চা পরিশীলিত হওয়ার কথা, সেই শিক্ষাঙ্গনই আজ নেতিবাচক রাজনীতির কারণে কলঙ্কিত। ছাত্র রাজনীতি এখন যেন সম্পদ অর্জনের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নৈতিকতা ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে এক অজানা গন্তব্যের পথে হাঁটছে দেশের ছাত্র রাজনীতি। আদর্শের বিচ্যুতির ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে ছাত্রসমাজের সজাগ হওয়া জরুরী ।
দেশ, জাতি ও ছাত্রসমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষকে সামনে রেখে উপমহাদেশে ছাত্র রাজনীতির সূচনা হয়। এ ভূখণ্ডে ছাত্র রাজনীতির অতীত ইতিহাস বেশ গৌরবোজ্জ্বল। '৫২-র ভাষা আন্দোলন, '৫৪-র নির্বাচন, '৬৯-এর গণঅভুত্থ্যান, '৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, '৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও '৯১ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রসমাজের সাহসী ভূমিকার কারণেই বার বার হোঁচট খাওয়ার পরও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সঙ্কীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধে উঠে সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করাই ছিল ছাত্র রাজনীতির মূল লক্ষ্য। কিন্তু এখন ছাত্র রাজনীতির নামে যা হচ্ছে তা সত্যিই দুঃখজনক ও লজ্জাকর। বকরের মতো আর কোন মেধাবীকে যেন অকালে প্রাণ দিতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বকরের দরিদ্র পরিবার, যারা বকরকে ঘিরে সুদিনের স্বপ্ন দেখছিল, তাদের বিষয়টিও আমদের ভেবে দেখতে হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সহিংস ঘটনায় প্রাণ হারায় আবু বকর সিদ্দিকী। বকর যে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল সে বিষয়ে কারও কোন সন্দেহ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, সব মিলিয়ে সে প্রথম স্থান লাভ করেছে। ফলাফল প্রকাশের পর সহপাঠী, শিক্ষক ও বাবা-মা আবারও কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। বকর কোন ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল না। শিক্ষা জীবনে ছাত্রছাত্রীদের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে অধ্যবসায়। বকর শেষ অবধি নিজেকে নিবিষ্ট রেখেছিল সেই অধ্যয়নের কাজে। তারপরও বকর রেহাই পেল না কলুষিত ছাত্র রাজনীতির কালো থাবা থেকে। তা হলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, আমাদের শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ নয়। তার চেয়ে বেশি অনিরাপদ দেশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জীবন। কেন বার বার শিক্ষাঙ্গন উত্তপ্ত হচ্ছে, কারা এর জন্য দায়ী_ সরকারের উচিত নিরপেভাবে এর নিগূঢ় রহস্যোদ্ঘাটন করা। যে শিক্ষাঙ্গনকে ঘিরে ছাত্র রাজনীতির চর্চা পরিশীলিত হওয়ার কথা, সেই শিক্ষাঙ্গনই আজ নেতিবাচক রাজনীতির কারণে কলঙ্কিত। ছাত্র রাজনীতি এখন যেন সম্পদ অর্জনের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নৈতিকতা ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে এক অজানা গন্তব্যের পথে হাঁটছে দেশের ছাত্র রাজনীতি। আদর্শের বিচ্যুতির ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে ছাত্রসমাজের সজাগ হওয়া জরুরী ।
দেশ, জাতি ও ছাত্রসমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষকে সামনে রেখে উপমহাদেশে ছাত্র রাজনীতির সূচনা হয়। এ ভূখণ্ডে ছাত্র রাজনীতির অতীত ইতিহাস বেশ গৌরবোজ্জ্বল। '৫২-র ভাষা আন্দোলন, '৫৪-র নির্বাচন, '৬৯-এর গণঅভুত্থ্যান, '৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, '৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও '৯১ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রসমাজের সাহসী ভূমিকার কারণেই বার বার হোঁচট খাওয়ার পরও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সঙ্কীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধে উঠে সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করাই ছিল ছাত্র রাজনীতির মূল লক্ষ্য। কিন্তু এখন ছাত্র রাজনীতির নামে যা হচ্ছে তা সত্যিই দুঃখজনক ও লজ্জাকর। বকরের মতো আর কোন মেধাবীকে যেন অকালে প্রাণ দিতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বকরের দরিদ্র পরিবার, যারা বকরকে ঘিরে সুদিনের স্বপ্ন দেখছিল, তাদের বিষয়টিও আমদের ভেবে দেখতে হবে।
No comments