বিবাহ বিচ্ছেদে ... by ডা. শুভাগত চৌধুরী
বিবাহবন্ধন ছিন্ন হওয়া স্ত্রী বা পুরম্নষ অথবা বিবধা বা বিপত্নীক লোকদের, বিবাহিত লোকদের চেয়ে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো ক্রনিক রোগ ২০ শতাংশ বেশি হয় এবং সচলতা-সীমাবদ্ধতা যেমন সিঁড়ি ভেঙ্গে ওঠার মতো কাজ সীমাবদ্ধ হয়ে যায় ২৩ শতাংশ বেশি পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম, ঢাকা বিবাহ নারী ও পুরম্নষের জীবনে একটি মধুর অভিজ্ঞতা।
নারী ও পুরম্নষের মধ্যে বৈধ সম্পর্কের এই সামাজিক আচার অনেকদিন থেকেই চলে আসছে। দাম্পত্যজীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহবিবাদ হয় আবার মিটেও যায়, এই এ্যাডজাস্্টমেন্ট করতে হয় দু'জনকেই। দু'জনকেই একটু করে ছাড় দিতে হয়। খালি নিলে চলে না, দিতেও হয়। হাঁড়ি একাধিক থাকলে ঠোকাঠুকি হবেই, তাই বলে ভাঙবে কেন? অমস্ন-মধুর, টক-ঝাল-মিষ্টি, এমনই হবে বৈবাহিক জীবন।
কিন্তু তবু বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এক ছাদের তলায় দু'জনের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। ভাঙা কাঁচ জোড়া লাগে না, এমনও হয়।
মনের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ পড়ে এই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য। তবে এমনও দেখা গেছে জীবনে স্বসত্মির জন্য অনেকে এই বিচ্ছেদ বেছে নেন। তবে সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।
নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই বিবাহ বিচ্ছেদ শরীরেরও অনেক ৰতি করে।
মেডিক্যাল জর্নাল 'জর্নাল অব হেলথ্্ এ্যান্ড সোশ্যাল বিহেভিয়ারের' সেপ্টেম্বর ইসু্য ২০০৯-এ যে গবেষণা প্রকাশিত হলো এতে ৫১-৬১ বছর বয়স্ক ৯০০০ লোকের মধ্যে সমীৰা করে, কিছু উপায়ও উপস্থাপিত একে বিশেস্নষণ করলে দেখা যায় বিবাহবন্ধন ছিন্ন হওয়া স্ত্রী বা পুরম্নষ অথবা বিবধা বা বিপত্নীক লোকদের, বিবাহিত লোকদের চেয়ে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো ক্রনিক রোগ ২০ শতাংশ বেশি হয় এবং সচলতা-সীমাবদ্ধতা যেমন সিঁড়ি ভেঙ্গে ওঠার মতো কাজ সীমাবদ্ধ হয়ে যায় ২৩ শতাংশ বেশি।
এই গবেষণার অন্যতম সহগবেষক শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানী লিন্ডা ডেইটের ভাষা : সম্প্রতি বিবাহ হয়েছে, এমন লোকদের মধ্যে, যাদের আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল এদেরও সব দিক বিচারে মন ও শরীরের নিদারম্নণ ৰতি হয় দেখা গেছে।
ডেইটের পর্যবেৰণ : বিবাহ বিচ্ছেদ হোক বা মৃতু্য হোক যে কোন কারণে জীবন সঙ্গী জীবন থেকে হারিয়ে গেলে মন ও শরীরের ওপর এমন প্রভাব পড়ে। ডেইট আরও বলেন, জীবনের যে সময় এই ঘটনা ঘটছে সে সময় মনের ও শরীরের ওপর প্রচ- চাপ ফেলে। মানুষ স্বাস্থ্যের অবহেলা করে, খুব চাপগ্রসত্ম হয়, এভাবেই স্বাস্থ্যের বড় ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, এরা ডাক্তারের কাছে যেতে চান না।
শরীর চর্চা করতে চান না, রাতে ঘুমও তেমন হয় না। জাগরণে যায় বিভাবরী। এসব উপাত্ত এবং ফল বেশ উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে আমেরিকাতে, কারণ সেখানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সূত্র অনুযায়ী প্রায় অর্ধেকের বেশি বিবাহ বিচ্ছেদের পথে যায় বলে ধারণা।
এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য স্বাস্থ্যের যে দুর্বিপাক হয়, পুনর্বিবাহ কবলেও সে দুঃখমোচন তেমন হয় না।
ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো শারীরিক পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন ধরে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে প্রকাশ পায়, আর অতীত অভিজ্ঞতার প্রভাব এর ওপর বেশ পড়ে আর সে জন্যই সে লোক পুনর্বিবাহ করলেও অতীতের বিবাহবিচ্ছেদ, বৈধব্য বা বিপত্নীক হবার অভিজ্ঞতা স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেই।
গবেষকরা এজন্য স্বাস্থ্যের খাতিরে বিচ্ছিন্ন সঙ্গীদের একত্রে থাকার সুপারিশ করেননি, তবে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে অন্যের সাহায্য নেয়া উচিত, নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা উচিত এমন পরামর্শ দিয়েছেন।
অস্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্ক হেউড বলেন, প্রচ- দ্বন্দ্ব ও কলহে ভরা এবং নিন্দা, গালগোল ও পরস্পর কটু ভাষণে পরিপূর্ণ দাম্পত্য জীবনে বরং বিচ্ছেদই স্বসত্মির কারণ হয়ে ওঠে। এ রকম যুগলকে একত্রে এক ছাদের নিচে বসবাসের পরামর্শ দেন না তিনি।
তবে ঘটনা যাই হোক এ জন্য এমন পরিস্থিতি বন্ধু স্বজনের অবলম্বন কামনা করা এবং নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা গুরম্নত্বপূর্ণ।
কিন্তু তবু বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এক ছাদের তলায় দু'জনের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। ভাঙা কাঁচ জোড়া লাগে না, এমনও হয়।
মনের ওপর ভয়ঙ্কর চাপ পড়ে এই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য। তবে এমনও দেখা গেছে জীবনে স্বসত্মির জন্য অনেকে এই বিচ্ছেদ বেছে নেন। তবে সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।
নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই বিবাহ বিচ্ছেদ শরীরেরও অনেক ৰতি করে।
মেডিক্যাল জর্নাল 'জর্নাল অব হেলথ্্ এ্যান্ড সোশ্যাল বিহেভিয়ারের' সেপ্টেম্বর ইসু্য ২০০৯-এ যে গবেষণা প্রকাশিত হলো এতে ৫১-৬১ বছর বয়স্ক ৯০০০ লোকের মধ্যে সমীৰা করে, কিছু উপায়ও উপস্থাপিত একে বিশেস্নষণ করলে দেখা যায় বিবাহবন্ধন ছিন্ন হওয়া স্ত্রী বা পুরম্নষ অথবা বিবধা বা বিপত্নীক লোকদের, বিবাহিত লোকদের চেয়ে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো ক্রনিক রোগ ২০ শতাংশ বেশি হয় এবং সচলতা-সীমাবদ্ধতা যেমন সিঁড়ি ভেঙ্গে ওঠার মতো কাজ সীমাবদ্ধ হয়ে যায় ২৩ শতাংশ বেশি।
এই গবেষণার অন্যতম সহগবেষক শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানী লিন্ডা ডেইটের ভাষা : সম্প্রতি বিবাহ হয়েছে, এমন লোকদের মধ্যে, যাদের আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল এদেরও সব দিক বিচারে মন ও শরীরের নিদারম্নণ ৰতি হয় দেখা গেছে।
ডেইটের পর্যবেৰণ : বিবাহ বিচ্ছেদ হোক বা মৃতু্য হোক যে কোন কারণে জীবন সঙ্গী জীবন থেকে হারিয়ে গেলে মন ও শরীরের ওপর এমন প্রভাব পড়ে। ডেইট আরও বলেন, জীবনের যে সময় এই ঘটনা ঘটছে সে সময় মনের ও শরীরের ওপর প্রচ- চাপ ফেলে। মানুষ স্বাস্থ্যের অবহেলা করে, খুব চাপগ্রসত্ম হয়, এভাবেই স্বাস্থ্যের বড় ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, এরা ডাক্তারের কাছে যেতে চান না।
শরীর চর্চা করতে চান না, রাতে ঘুমও তেমন হয় না। জাগরণে যায় বিভাবরী। এসব উপাত্ত এবং ফল বেশ উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে আমেরিকাতে, কারণ সেখানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সূত্র অনুযায়ী প্রায় অর্ধেকের বেশি বিবাহ বিচ্ছেদের পথে যায় বলে ধারণা।
এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য স্বাস্থ্যের যে দুর্বিপাক হয়, পুনর্বিবাহ কবলেও সে দুঃখমোচন তেমন হয় না।
ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো শারীরিক পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন ধরে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়ে প্রকাশ পায়, আর অতীত অভিজ্ঞতার প্রভাব এর ওপর বেশ পড়ে আর সে জন্যই সে লোক পুনর্বিবাহ করলেও অতীতের বিবাহবিচ্ছেদ, বৈধব্য বা বিপত্নীক হবার অভিজ্ঞতা স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেই।
গবেষকরা এজন্য স্বাস্থ্যের খাতিরে বিচ্ছিন্ন সঙ্গীদের একত্রে থাকার সুপারিশ করেননি, তবে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে অন্যের সাহায্য নেয়া উচিত, নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা উচিত এমন পরামর্শ দিয়েছেন।
অস্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্ক হেউড বলেন, প্রচ- দ্বন্দ্ব ও কলহে ভরা এবং নিন্দা, গালগোল ও পরস্পর কটু ভাষণে পরিপূর্ণ দাম্পত্য জীবনে বরং বিচ্ছেদই স্বসত্মির কারণ হয়ে ওঠে। এ রকম যুগলকে একত্রে এক ছাদের নিচে বসবাসের পরামর্শ দেন না তিনি।
তবে ঘটনা যাই হোক এ জন্য এমন পরিস্থিতি বন্ধু স্বজনের অবলম্বন কামনা করা এবং নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা গুরম্নত্বপূর্ণ।
No comments