ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জের ॥ ইবি ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের দফতর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
বেশ কিছুদিন থেকে ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আসছিল বলে জানা যায়। বিশেষ করে গত বছরের ১৯ নবেম্বর ও গত ১২ জানুয়ারি শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিতর্কিত হয়ে পড়ে। এ কারণেই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসেও বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি নেতৃবৃন্দ। প্রায় সাড়ে চার মাস পরে ১৯ মে জাহাঙ্গীর হোসেনকে সভাপতি ও শামসুজ্জামান তুহিনকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সংসদ। এ সময় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার জন্য এক মাসের সময় বেঁধে দেয়া হয়। ২০১১ সালের ১৮ মে মাসে কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। কিন্তু তখনও কেন্দ্রঘোষিত মাত্র পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি নিয়ে চলছিল ইবি ছাত্রলীগ। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে ইবি কমিটি বিলুপ্তির দাবি জোরালো হয়। কমিটির ঘোষণার প্রায় দেড় বছর পরে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে ইবি মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। কমিটি ঘোষণার পরই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দাবি ওঠে কমিটি বাতিলের। কমিটি নিয়ে গ্রুপিংয়ের কারণে কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে স্থবিরতা চলে আসে। এসব কারণে বিভিন্ন সময়ে কমিটি বিলুপ্তির জোর দাবি ওঠে।অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭-৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রথমেই ক্যাম্পাস অচল করে দেয় ছাত্রলীগ। পরবর্তীতে সেই আন্দোলন শিক্ষকের মধ্যে চলে যায়। শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্যাম্পাস প্রায় পাঁচ মাস ধরে অচল রয়েছে। গত বছরের ১৯ নবেম্বর শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালালে স্বয়ং শিক্ষকদের মধ্য থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির দাবি ওঠে।
কমিটি বিলুপ্তি সম্পর্কে ইবি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক শেখ রাসেল বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ও ইবি ছাত্রলীগের কর্মকা- ছাত্রলীগের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণœ করার কারণে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
No comments