অধ্যক্ষ ও ছাত্রলীগ নেতাদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ- তেজগাঁও কলেজে আবারও ছাত্রলীগের ভাঙচুর
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে গতকাল শনিবারও ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগের নামধারী কিছু নেতা-কর্মী। এতে কলেজের মাস্টার্সের কার্যালয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই দিনে পুলিশ কলেজের সামনের ফুটপাতের দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, বিবিএ কোর্সে নিজেদের জন্য ‘কোটার’ দাবি জানিয়ে আসছে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী। গতকাল কলেজের সামনে ফুটপাতের দোকানপাট উচ্ছেদ করার সময় তারা আপত্তি জানায়। এসব দোকানপাট থেকে তারা চাঁদা নিত বলে দাবি করেন তিনি। ঢাকার বাইরে অবস্থানরত অধ্যক্ষ অভিযোগ করেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালীর নেতৃত্বে গতকালের ভাঙচুর হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই মামলা করা হবে। উল্লেখ্য, আবদুর রশীদ নিজেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।তবে মিঠুন ঢালী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কলেজের অধ্যক্ষ নিজেই তাঁর নিয়োগ করা কর্মচারীদের দিয়ে নাটক সাজিয়ে এর দায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর চাপাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, ঘটনার সময় কলেজের বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে কলেজে যাই।’ এ ঘটনা কিছু শিক্ষকদের দলাদলির কারণে হয়েছে বলেও জানান তিনি। পাল্টা অভিযোগ করে মিঠুন ঢালী বলেন, ‘অধ্যক্ষের ভাই বিবিএর শিক্ষক এবং তাঁদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। আমরা অধ্যক্ষের পক্ষ না নেওয়ায় এ অভিযোগ সাজানো হয়েছে।’
তবে অধ্যক্ষ বলছেন, দুই ভাইয়ের কথা বলে আসলে সে (মিঠুন ঢালী) বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ তোলেন। তিনি আরও বলেন, ফুটপাতের দোকান থেকে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী চাঁদা পেত। গতকাল অর্ধেকের মতো এলাকা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে বাকি ফুটপাত উচ্ছেদ করা হবে।
তবে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর বলেন, রাস্তাঘাট দখল করে জনসাধারণ বিশেষ করে নারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ফুটপাতের দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। কলেজে কী হয়েছে সেটা তাদের জানা নেই। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষও তাদের কিছু জানায়নি।
ভর্তির দাবিতে গত বৃহস্পতিবারও ছাত্রলীগ নামধারী কিছু নেতা-কর্মী কলেজে ভাঙচুর করেছিল। শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীদের নেতারা ভর্তি-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে নিজেদের জন্য কোটা দাবি করছে।
No comments