শীতে হাড় ও জোড়ার ব্যথা বাড়লে...
উষ্ণতা হাড় এবং সন্ধিতে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে, সন্ধির প্রদাহ কমায় এবং ব্যথাবর্ধক রাসায়নিক বয়ে নিয়ে আসা শ্বেত রক্তকণিকাকে সরিয়ে দেয়। তীব্র শীতে ও ঠান্ডায় এর বিপরীত ঘটনাগুলো ঘটে বলেই ব্যথা-বেদনা বেড়ে যায়।
কাবু করে ফেলে বাত ব্যথার রোগীদের। শীতকাল তাই বয়স্ক ও বাতের রোগীদের জন্য কষ্টকর। ব্যথানাশক বড়ি বেশি খাওয়া কি নিরাপদ?দীর্ঘদিন ধরে ব্যথানাশক বা পেইনকিলার জাতীয় ওষুধ খেলে তা কিডনির ক্ষতি করতে পারে। লিভারে সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিক আলসার রয়েছে এমন ব্যক্তির জন্যও এমন ওষুধ খারাপ।
হাড় ও সন্ধির জন্য উপকারী খাবার
মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা সন্ধিতে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।
ভিটামিন ‘সি’যুক্ত খাবার যেমন, লেবু বা লেবুজাতীয় ফল কার্টিলেজ বা তরুণাস্থি তৈরিতে সাহায্য করে। ভিটামিন ‘কে’ শরীরে ক্যালসিয়ামকে কাজে লাগায়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভিটামিন ‘ডি’, যা পর্যাপ্ত না থাকলে ক্যালসিয়াম শোষিত হয় না এবং হাড় নরম হয়ে যায়।
সতর্কতা জরুরি
কিডনিতে পাথর আছে বা ক্যালসিয়াম-সংক্রান্ত গোলমাল আছে এমন রোগীদের ক্রমাগত ক্যালসিয়াম না খাওয়াই ভালো। গ্লুকোস্যামাইন জাতীয় ওষুধে কারও অ্যালার্জি হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে এসব ওষুধ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।
ওষুধ না খেয়ে ব্যথা কমানো সম্ভব?
হাঁটু, কোমর ও সন্ধি ব্যথা কমানোর জন্য জীবনযাপন প্রণালিতে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। ওজন কমান, ধূমপান বন্ধ করুন এবং সঠিক ও স্বাস্থ্যকর দেহভঙ্গি রপ্ত করুন। কম্পিউটার ও লেখাপড়ার কাজে অবশ্যই সঠিক উচ্চতার টেবিল ও আরামদায়ক চেয়ার ব্যবহার করতে হবে। বাথরুমে উঁচু কমোড ব্যবহার করুন, বিছানা যথেষ্ট শক্ত রাখুন। নিচু হয়ে কোনো ভারী জিনিস তুলবেন না। প্রয়োজনে প্রথমেই ব্যথানাশক না খেয়ে গরম সেঁক বা ব্যথা নিরাময়কারী মলম ব্যবহার করে দেখুন। আপনার চিকিৎসকের কাছে পেশি সঞ্চালনকারী ব্যায়ামগুলো শিখে নিন। নিয়মিত জগিং বা সাঁতারও হাড় সন্ধির জন্য ভালো।
No comments