নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা- ট্রাইব্যুনালকে স্থায়ী করার দাবি
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আইন করে স্থায়ী রূপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
প্রতিষ্ঠার ২১তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গতকাল শনিবার এ দাবি জানান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির। বিকেলে ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সূচনা বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯৯২ সালের এই দিনে দেশের বরেণ্য ১০১ জন ব্যক্তি একটি ঘোষণায় সই করে নির্মূল কমিটি গঠন করেছিলেন। গত ২১ বছরে ওই ১০১ জনের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, তিন বছর আগে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকে জামায়াত- শিবির চক্র বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যেমন সংবিধান সংশোধন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-কে সুরক্ষা দিয়েছিলেন, তেমনি আইন করে এই ট্রাইব্যুনালকে সুরক্ষা ও স্থায়ী রূপ দিতে হবে। এতে সরকারের পরিবর্তন হলেও বিচার অব্যাহত থাকবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে যেমন নির্ধারিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে কি না, তেমনি এ বছরের শেষে বা ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্ধারিত হবে এ বিচার চলবে কি না। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে এ প্রশ্নের জবাব দেবে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া চলছে, অন্যদিকে বিরোধী শক্তি তা বানচালের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তাঁরা (আসামিপক্ষের আইনজীবীরা) বিভিন্নভাবে সময়ক্ষেপণ করছেন। তাঁদের কাছে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের মাঝেমধ্যে অসহায় মনে হয়। স্কাইপের ঘটনা প্রমাণ করে ট্রাইব্যুনাল কতটা নিরাপত্তাহীন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি আসামিপক্ষের লবিস্ট নিয়োগ বন্ধ করতে পারতাম, তাদের টাকা পাচারের বিষয়টি তুলে ধরতে পারতাম, তবে হয়তো বিচারের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র ঠেকানো যেত।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আইন করে ট্রাইব্যুনালকে স্থায়ী রূপ দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই বিচার-প্রক্রিয়ার শুরু থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) নীরবতা পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি বিএনপির কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে বিচারের বিরোধিতা করেছেন। অবশেষে তিনি ঘোমটা ফেলে দিলেন। হয় তিনি জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে রাজনীতি ছাড়বেন, না-হয় তিনি রাজনীতি ছাড়বেন।’
যুদ্ধাপরাধীদের ‘বিষাক্ত কাঁটা’র সঙ্গে তুলনা করে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন বলেন, ‘যত দিন আমাদের শরীরে এ কাঁটা থাকবে, তত দিন এর বিষের যন্ত্রণা থাকবে। দ্রুত এ কাঁটা তুলে ফেলতে হবে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ও সাংবাদিক কামাল লোহানী। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করবেন, এটাই স্বাভাবিক।’ কামাল লোহানী দাবি করেন, খালেদা জিয়াকেও যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করা হোক এবং তাঁর বিচার করা হোক।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ। সঞ্চালনা করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।
সূচনা বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯৯২ সালের এই দিনে দেশের বরেণ্য ১০১ জন ব্যক্তি একটি ঘোষণায় সই করে নির্মূল কমিটি গঠন করেছিলেন। গত ২১ বছরে ওই ১০১ জনের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, তিন বছর আগে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকে জামায়াত- শিবির চক্র বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যেমন সংবিধান সংশোধন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-কে সুরক্ষা দিয়েছিলেন, তেমনি আইন করে এই ট্রাইব্যুনালকে সুরক্ষা ও স্থায়ী রূপ দিতে হবে। এতে সরকারের পরিবর্তন হলেও বিচার অব্যাহত থাকবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে যেমন নির্ধারিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে কি না, তেমনি এ বছরের শেষে বা ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্ধারিত হবে এ বিচার চলবে কি না। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে এ প্রশ্নের জবাব দেবে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেন, একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া চলছে, অন্যদিকে বিরোধী শক্তি তা বানচালের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তাঁরা (আসামিপক্ষের আইনজীবীরা) বিভিন্নভাবে সময়ক্ষেপণ করছেন। তাঁদের কাছে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের মাঝেমধ্যে অসহায় মনে হয়। স্কাইপের ঘটনা প্রমাণ করে ট্রাইব্যুনাল কতটা নিরাপত্তাহীন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি আসামিপক্ষের লবিস্ট নিয়োগ বন্ধ করতে পারতাম, তাদের টাকা পাচারের বিষয়টি তুলে ধরতে পারতাম, তবে হয়তো বিচারের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র ঠেকানো যেত।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, আইন করে ট্রাইব্যুনালকে স্থায়ী রূপ দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই বিচার-প্রক্রিয়ার শুরু থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) নীরবতা পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি বিএনপির কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে বিচারের বিরোধিতা করেছেন। অবশেষে তিনি ঘোমটা ফেলে দিলেন। হয় তিনি জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে রাজনীতি ছাড়বেন, না-হয় তিনি রাজনীতি ছাড়বেন।’
যুদ্ধাপরাধীদের ‘বিষাক্ত কাঁটা’র সঙ্গে তুলনা করে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন বলেন, ‘যত দিন আমাদের শরীরে এ কাঁটা থাকবে, তত দিন এর বিষের যন্ত্রণা থাকবে। দ্রুত এ কাঁটা তুলে ফেলতে হবে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ও সাংবাদিক কামাল লোহানী। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করবেন, এটাই স্বাভাবিক।’ কামাল লোহানী দাবি করেন, খালেদা জিয়াকেও যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করা হোক এবং তাঁর বিচার করা হোক।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ। সঞ্চালনা করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল।
No comments