সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধিতে কারসাজি-অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে
ভোজ্য তেল আমদানি, মূল্য নির্ধারণ ও সরবরাহ নিয়ে অব্যাহতভাবে চলছে নৈরাজ্য। অভিযোগ রয়েছে, এ ভোজ্য তেল আমদানি ও বাজারজাতকরণের ব্যবসায় রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট যখন যে সরকার আসে সেই সরকারের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
এ কথাও সর্বজনবিদিত, ভোজ্য তেলের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শত শত কোটি টাকা বানিয়েছে শুধু মূল্য নির্ধারণে অনিয়ম করে। অথচ নেই কোনো মনিটরিং, নেই পরিবেশক প্রথার কার্যকারিতা। ট্যারিফ কমিশন, আমদানি-রপ্তানি অধিদপ্তর, এনবিআর এবং খোদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়- সবাই যেন চোখ বুজে আছে। আমদানীকৃত ভোজ্য তেলের মধ্যে প্রধান হলো সয়াবিন তেল। এই সয়াবিনের মূল্য নিয়েই কালের কণ্ঠে এক প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের মূল্য প্রতিনিয়তই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তখন আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমলেও ভোক্তারা তার সুফল পাচ্ছে না। জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ থেকে ১৬ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক দিনের ব্যবধানে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোজ্য তেলের দাম কত হতে পারে তা বিশ্লেষণ করে প্রতি মাসেই বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন গঠিত মনিটরিং সেল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেয়। সেই প্রতিবেদন প্রতি মাসেই চলে যায় হিমাগারে।
বাংলাদেশে ভোজ্য তেল আমদানি হয়ে থাকে প্রধানত মালয়েশিয়া থেকে। আমরা লক্ষ করছি, দুই বছর ধরে ভোজ্য তেল আমদানি, মূল্য নির্ধারণ- এসব নিয়ে সর্বাধিক নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তখন ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েছিলেন তেলের মূল্য পাঁচ টাকা কেজিপ্রতি কমাবেন। কিন্তু পরদিনই বাজারে উল্টো চিত্র দেখা দেয়। কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে যায়। সেই একই ধারা অব্যাহত থাকলে চলবে কী করে? সুতরাং দেশবাসীর পক্ষে আমরা যেটা আশা করি তা হলো সরকারের প্রধান কাজ হবে বিদ্যমান সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, সরকারের মনিটরিং সেলকে স্বচ্ছ, শক্ত করে তোলা এবং সর্বোপরি কোনো ব্যবসায়ীকে রাজনৈতিক কারণে বিশেষ বিবেচনা না করা। এই তিনটি বিষয় অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করলে সাত দিনের মধ্যে তেলের দাম বাজারে যথোপযুক্ত মূল্যে নেমে আসবে। ভোজ্য তেল মানুষের অপরিহার্য আহারের অংশ। এই তেল নিয়ে অসৎ ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা কোনোক্রমেই চালাতে দেওয়া উচিত হবে না। এই অসৎ ব্যবসায়ীদের যারা সরকারের অধীনে থেকে সহায়তা দিচ্ছে, তাদের দিকেও কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে।
বাংলাদেশে ভোজ্য তেল আমদানি হয়ে থাকে প্রধানত মালয়েশিয়া থেকে। আমরা লক্ষ করছি, দুই বছর ধরে ভোজ্য তেল আমদানি, মূল্য নির্ধারণ- এসব নিয়ে সর্বাধিক নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তখন ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েছিলেন তেলের মূল্য পাঁচ টাকা কেজিপ্রতি কমাবেন। কিন্তু পরদিনই বাজারে উল্টো চিত্র দেখা দেয়। কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে যায়। সেই একই ধারা অব্যাহত থাকলে চলবে কী করে? সুতরাং দেশবাসীর পক্ষে আমরা যেটা আশা করি তা হলো সরকারের প্রধান কাজ হবে বিদ্যমান সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, সরকারের মনিটরিং সেলকে স্বচ্ছ, শক্ত করে তোলা এবং সর্বোপরি কোনো ব্যবসায়ীকে রাজনৈতিক কারণে বিশেষ বিবেচনা না করা। এই তিনটি বিষয় অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করলে সাত দিনের মধ্যে তেলের দাম বাজারে যথোপযুক্ত মূল্যে নেমে আসবে। ভোজ্য তেল মানুষের অপরিহার্য আহারের অংশ। এই তেল নিয়ে অসৎ ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা কোনোক্রমেই চালাতে দেওয়া উচিত হবে না। এই অসৎ ব্যবসায়ীদের যারা সরকারের অধীনে থেকে সহায়তা দিচ্ছে, তাদের দিকেও কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে।
No comments