ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়- আবাসিক পাঠ by সৈয়দা তানজিনা হোসেন
এমনিতেই খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা বেশ কষ্টকর, তার ওপর নিজের কাপড় নিজেকেই ধুতে হয়। এক দিন হলে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু তাই বলে তিন মাস! ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাউদা বেগম এমনটাই বলছিলেন।
আবাসিক ক্যাম্পাসে থাকা প্রথম দিকে একটু কষ্টকর ছিল কিন্তু দিন যত এগিয়ে গেছে, ততই শেখার বৈচিত্র্যতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। ব্যবহারিক জীবনে পুঁথিগত বিদ্যাকে কাজে লাগানোর জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কিছু সময় ঢাকার বাইরে সাভারের বিরুলিয়ার ব্র্যাক টার্কে অবস্থান করতে হয়।
বিবিএ বিভাগের সামিহা আজিম, ইশরাক শফিক, তওরিন জামান, নাঈমা জিনাত, রাকিবুল হাসানসহ গোটা ত্রিশেক শিক্ষার্থী সম্প্রতি শেষ করেছে তাদের এই তিন মাসের ‘নির্বাসন-জীবন’। ঢাকা থেকে দূরে প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেদের নির্বাসন-জীবন নিয়েই সবাই ছিল উচ্ছ্বসিত। একদিকে ছিল পড়াশোনার জন্য ব্যস্ততা, অন্যদিকে ছিল ধোপা, নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করার বৈচিত্র্য। শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে বিভিন্ন ধরনের কাজ শেখাটাই যেন এই বনবাসের মূল লক্ষ্য ছিল। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে সাম্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এখানে আয়োজন করে সোশ্যাল লার্নিং ল্যাব। এর মাধ্যমে যেখানে এক দিনের জন্য ক্যাম্পাসের সব কর্মীর দায়িত্ব অর্পণ করা হয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে, যাতে করে তারা বুঝতে পারে কোনো কাজই ছোট-বড় নয়, সব মানুষই সমান। হাস্যোজ্জ্বল মুখে নিজের অভিজ্ঞতার কথা এমনটাই জানালেন শিক্ষার্থী নাঈমা জিনাত। রাতের বেলায় সবাই মেতে উঠতেন পেঁয়াজ-মরিচ আর সরষে তেলে মাখানো ঝালমুড়িতে। কাড়াকাড়ি পড়ে যেত সবার মধ্যে। এই আবাসিক শিক্ষাজীবনে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত বিষয়াবলির বাইরে ছাত্রছাত্রীদের আবহমান বাংলার গ্রাম্যজীবন, শিক্ষাব্যবস্থা, জীবিকা অর্জনের সংগ্রাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এ জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয় ব্র্যাক পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পে।
শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান জানান, ‘এখানে শিক্ষার্থীরা নিজেকে নতুন করে চেনার সুযোগ পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া, বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে সেবার মনোভাব গড়ে তোলা, গান-আবৃত্তি-চিত্রকর্ম-দেয়াল পত্রিকায় লেখার মতো শৈল্পিক কাজে নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলায় মনোনিবেশ করতে পারছে।’ এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা বিতর্ক ও বানান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দৃঢ় মনোবল তৈরি করা, হাইড্রোফোনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ছাড়াও রয়েছে চাইনিজ ভাষা শেখার সুযোগ পায় এই আবাসিক পড়াশোনা জীবনে।
বিবিএ বিভাগের সামিহা আজিম, ইশরাক শফিক, তওরিন জামান, নাঈমা জিনাত, রাকিবুল হাসানসহ গোটা ত্রিশেক শিক্ষার্থী সম্প্রতি শেষ করেছে তাদের এই তিন মাসের ‘নির্বাসন-জীবন’। ঢাকা থেকে দূরে প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেদের নির্বাসন-জীবন নিয়েই সবাই ছিল উচ্ছ্বসিত। একদিকে ছিল পড়াশোনার জন্য ব্যস্ততা, অন্যদিকে ছিল ধোপা, নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করার বৈচিত্র্য। শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে বিভিন্ন ধরনের কাজ শেখাটাই যেন এই বনবাসের মূল লক্ষ্য ছিল। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে সাম্যতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এখানে আয়োজন করে সোশ্যাল লার্নিং ল্যাব। এর মাধ্যমে যেখানে এক দিনের জন্য ক্যাম্পাসের সব কর্মীর দায়িত্ব অর্পণ করা হয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে, যাতে করে তারা বুঝতে পারে কোনো কাজই ছোট-বড় নয়, সব মানুষই সমান। হাস্যোজ্জ্বল মুখে নিজের অভিজ্ঞতার কথা এমনটাই জানালেন শিক্ষার্থী নাঈমা জিনাত। রাতের বেলায় সবাই মেতে উঠতেন পেঁয়াজ-মরিচ আর সরষে তেলে মাখানো ঝালমুড়িতে। কাড়াকাড়ি পড়ে যেত সবার মধ্যে। এই আবাসিক শিক্ষাজীবনে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত বিষয়াবলির বাইরে ছাত্রছাত্রীদের আবহমান বাংলার গ্রাম্যজীবন, শিক্ষাব্যবস্থা, জীবিকা অর্জনের সংগ্রাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এ জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয় ব্র্যাক পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পে।
শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান জানান, ‘এখানে শিক্ষার্থীরা নিজেকে নতুন করে চেনার সুযোগ পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া, বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে সেবার মনোভাব গড়ে তোলা, গান-আবৃত্তি-চিত্রকর্ম-দেয়াল পত্রিকায় লেখার মতো শৈল্পিক কাজে নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলায় মনোনিবেশ করতে পারছে।’ এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা বিতর্ক ও বানান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দৃঢ় মনোবল তৈরি করা, হাইড্রোফোনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ছাড়াও রয়েছে চাইনিজ ভাষা শেখার সুযোগ পায় এই আবাসিক পড়াশোনা জীবনে।
No comments