কলকাঠি নাড়ছেন বেলমোখতার!
ইন আমেনাসে জঙ্গি হামলার পর চরমপন্থী নেতা মোখতার বেলমোখতার আবারও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর আলোচনায় চলে এসেছেন। আলজেরীয় এই যুদ্ধবাজ নেতা আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
গত অক্টোবরে আদর্শগত দ্বন্দ্বের কারণে মালি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন তিনি। তবে অনুসারীদের মাধ্যমে শত শত শ্রমিক জিম্মি করানোর মাধ্যমে বেলমোখতার প্রমাণ করেছেন, এখনো হিসাবে ধরার মতো একটি দল আছে তাঁর।
অনুসারীদের কাছে বেলমোখতার 'প্রিন্স' নামে পরিচিত। ২০০৩ সালে ৩২ ইউরোপীয় পর্যটককে অপহরণ করা এবং কোটি কোটি ডলারের মুক্তিপণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে ফ্রান্সের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে তিনি পরিচিতি 'দ্য আনটাচেবল' বা ধরাছোঁয়ার বাইরের লোক হিসেবে। সিগারেট চোরাচালানে একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে 'মিস্টার মার্লবরো' নামেও বেলমোখতারের পরিচিতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আলজেরিয়ায় ইন আমেনাস গ্যাসক্ষেত্রে সর্বশেষ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে তিনি চরমপন্থী নেতা হিসেবে আবারও নিজের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দিতে চাইছেন।
আলজেরিয়ার দক্ষিণে মরুশহর গার্দাইয়ায় জন্ম বেলমোখতারের (৪০)। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানে 'বিশ্ব জিহাদি মতাদর্শের জনক' হিসেবে পরিচিত ফিলিস্তিনি নেতা আবদুল্লাহ ইউসুফ আজমকে হত্যা করা হয়। আজমের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে বেলমোখতার জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত হন। ১৯ বছর বয়সে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে আফগানিস্তানে যান। কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতার সঙ্গে ওই সময় সখ্য গড়ে ওঠে তাঁর। ১৯৯৩ সালে গৃহযুদ্ধ চলার সময় আলজেরিয়ায় ফিরে যান বেলমোখতার। ইসলামপন্থী একটি দলের জয়ের আভাস পেয়ে আলজেরিয়ার সরকার ১৯৯২ সালের নির্বাচন বাতিল করে দেওয়ার পর এ যুদ্ধ শুরু হয়। সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করায় আলজেরিয়ার বেশ কয়েকটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে এবং কয়েকবার তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে একবার বেলমোখতারের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে এরই মধ্যে চোরাচালানের মাধ্যমে অঢেল পয়সার মালিক হন তিনি।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার প্রায় ১০ বছর পরে বেলমোখতার উত্তর আফ্রিকার জঙ্গিদের সঙ্গে মিলে ওসামা বিন লাদেনের আদর্শে আল-কায়েদা ইন ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম) গঠন করেন। এর পর থেকেই আল-কায়েদার কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাহারা অঞ্চলের জঙ্গিদের প্রচুর অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে থাকেন তিনি। ২০০৭-এ একিউআইএমের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ তৈরি হয়। পরে মালির উত্তরাঞ্চলে তুয়ারেগ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করেন তিনি। গত মার্চে বিদ্রোহীরা মালির উত্তরাঞ্চলের দখল নেওয়ার পর শরিয়া আইন চালু ও আতঙ্ক তৈরির ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। তবে 'পথভ্রষ্ট' হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে মালির জঙ্গিরা তাঁকে কমান্ডারের পদ থেকে বরখাস্ত করে।
এর পরই সমর্থকদের নিয়ে বেলমোখতার নতুন দল গঠন করেন। সিগনেটরিজ ইন ব্লাড নামের এই দলের সঙ্গে মুভমেন্ট ফর ওপেননেস ও জিহাদ ইন ওয়েস্ট আফ্রিকা নামের জঙ্গি দলের জোট গঠন করেন। অপহরণ ও চোরাচালানের বাইরে অন্যান্য অপরাধের ব্যাপারেও বেলমোখতারের 'হাতযশ' আছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ২০০৮ সালে বেলমোখতারের বাহিনীর হাতে অপহৃত কানাডীয় কূটনীতিক রবার্ট আল ফ্লাওয়ার বলেন, 'খুবই আত্মবিশ্বাসী বেলমোখতার সব সময়ই কর্তৃত্ব প্রকাশ করতে চান। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সন্ত্রাসের জগতে টিকে আছেন।'
মৌরিতানিয়ার ইসলামপন্থী আন্দোলনবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সালেহ ইসেলমৌ ওউলদ মুস্তাফা বলেন, 'বেলমোখতার মালির ইসলামপন্থীদের বাঁচাতে অযৌক্তিক দাবি তুলেছেন। নেতার ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।' সূত্র : এএফপি, হাফিংটন পোস্ট।
অনুসারীদের কাছে বেলমোখতার 'প্রিন্স' নামে পরিচিত। ২০০৩ সালে ৩২ ইউরোপীয় পর্যটককে অপহরণ করা এবং কোটি কোটি ডলারের মুক্তিপণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে ফ্রান্সের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে তিনি পরিচিতি 'দ্য আনটাচেবল' বা ধরাছোঁয়ার বাইরের লোক হিসেবে। সিগারেট চোরাচালানে একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে 'মিস্টার মার্লবরো' নামেও বেলমোখতারের পরিচিতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আলজেরিয়ায় ইন আমেনাস গ্যাসক্ষেত্রে সর্বশেষ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে তিনি চরমপন্থী নেতা হিসেবে আবারও নিজের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দিতে চাইছেন।
আলজেরিয়ার দক্ষিণে মরুশহর গার্দাইয়ায় জন্ম বেলমোখতারের (৪০)। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানে 'বিশ্ব জিহাদি মতাদর্শের জনক' হিসেবে পরিচিত ফিলিস্তিনি নেতা আবদুল্লাহ ইউসুফ আজমকে হত্যা করা হয়। আজমের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে বেলমোখতার জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত হন। ১৯ বছর বয়সে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে আফগানিস্তানে যান। কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি নেতার সঙ্গে ওই সময় সখ্য গড়ে ওঠে তাঁর। ১৯৯৩ সালে গৃহযুদ্ধ চলার সময় আলজেরিয়ায় ফিরে যান বেলমোখতার। ইসলামপন্থী একটি দলের জয়ের আভাস পেয়ে আলজেরিয়ার সরকার ১৯৯২ সালের নির্বাচন বাতিল করে দেওয়ার পর এ যুদ্ধ শুরু হয়। সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করায় আলজেরিয়ার বেশ কয়েকটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে এবং কয়েকবার তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে একবার বেলমোখতারের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে এরই মধ্যে চোরাচালানের মাধ্যমে অঢেল পয়সার মালিক হন তিনি।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার প্রায় ১০ বছর পরে বেলমোখতার উত্তর আফ্রিকার জঙ্গিদের সঙ্গে মিলে ওসামা বিন লাদেনের আদর্শে আল-কায়েদা ইন ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম) গঠন করেন। এর পর থেকেই আল-কায়েদার কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাহারা অঞ্চলের জঙ্গিদের প্রচুর অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে থাকেন তিনি। ২০০৭-এ একিউআইএমের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ তৈরি হয়। পরে মালির উত্তরাঞ্চলে তুয়ারেগ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করেন তিনি। গত মার্চে বিদ্রোহীরা মালির উত্তরাঞ্চলের দখল নেওয়ার পর শরিয়া আইন চালু ও আতঙ্ক তৈরির ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। তবে 'পথভ্রষ্ট' হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে মালির জঙ্গিরা তাঁকে কমান্ডারের পদ থেকে বরখাস্ত করে।
এর পরই সমর্থকদের নিয়ে বেলমোখতার নতুন দল গঠন করেন। সিগনেটরিজ ইন ব্লাড নামের এই দলের সঙ্গে মুভমেন্ট ফর ওপেননেস ও জিহাদ ইন ওয়েস্ট আফ্রিকা নামের জঙ্গি দলের জোট গঠন করেন। অপহরণ ও চোরাচালানের বাইরে অন্যান্য অপরাধের ব্যাপারেও বেলমোখতারের 'হাতযশ' আছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ২০০৮ সালে বেলমোখতারের বাহিনীর হাতে অপহৃত কানাডীয় কূটনীতিক রবার্ট আল ফ্লাওয়ার বলেন, 'খুবই আত্মবিশ্বাসী বেলমোখতার সব সময়ই কর্তৃত্ব প্রকাশ করতে চান। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি সন্ত্রাসের জগতে টিকে আছেন।'
মৌরিতানিয়ার ইসলামপন্থী আন্দোলনবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সালেহ ইসেলমৌ ওউলদ মুস্তাফা বলেন, 'বেলমোখতার মালির ইসলামপন্থীদের বাঁচাতে অযৌক্তিক দাবি তুলেছেন। নেতার ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।' সূত্র : এএফপি, হাফিংটন পোস্ট।
No comments