ধ্রুপদি সাহিত্য পাঠ- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়
চারণ কবি এবং ধ্রুপদি (ক্লাসিক্যাল) সাহিত্যিকদের রচনা পড়লে পাঠকের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। এতে তাঁদের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়, ব্যক্তিগত স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগ ঘটে এবং মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
পাঠকদের মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ (স্ক্যান) করে গবেষকেরা এ তথ্য পেয়েছেন। যুক্তরাজ্যের কয়েকজন বিজ্ঞানী, মনস্তত্ত্ববিদ ও লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ওই গবেষণা পরিচালনা করেন। তাঁরা স্বেচ্ছাসেবী পাঠকদের পড়তে দেন উইলিয়াম শেক্সপিয়ার, উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ, টিএস এলিয়ট প্রমুখ বিখ্যাত সাহিত্যিকের মূল রচনা এবং রূপান্তরিত সহজ ও আধুনিক অনুবাদ। এরপর ওই স্বেচ্ছাসেবীদের মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, কালজয়ী মূল রচনা পড়ার সময় তাঁদের মস্তিষ্কে তড়িৎক্রিয়া ছিল তুলনামূলক বেশি।নির্দিষ্ট সাহিত্যকর্মের প্রতিটি শব্দ (বিশেষত অপ্রচলিত শব্দ, চমকপ্রদ বাক্যাংশ বা বাক্যের জটিল গঠন) পড়ার সময় স্বেচ্ছাসেবীদের মস্তিষ্কের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, পাঠকদের মস্তিষ্কে উদ্দীপনা তৈরি হচ্ছে। এতে করে তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে এবং আরও পড়ার অনুপ্রেরণা জাগে। কবিতা পড়লে মস্তিষ্কের ডান দিকের অংশের তৎপরতা বাড়ে বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন। মস্তিষ্কের ওই অংশটি ‘আত্মজৈবনিক স্মৃতির’ সঙ্গে সম্পৃক্ত। কবিতা মানুষের স্মৃতিকে জাগিয়ে তোলে। লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌম্বক অনুরণনকেন্দ্রে পরিচালিত গবেষণার প্রথম পর্বে ৩৩ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেন। টেলিগ্রাফ
No comments