জিম্মিদের নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না
আলজেরিয়ায় জঙ্গিদের হাতে শ্রমিক অপহরণের পর চার দিন পেরিয়ে গেলেও অচলাবস্থার নিরসন হয়নি। অজ্ঞাতসংখ্যক জিম্মির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে আছে।
বিদেশি সরকারগুলো তাদের নিখোঁজ নাগরিকদের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যেকোনো ধরনের অভিযানে অপহৃতদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বিদেশি জিম্মির সংখ্যা ১০ থেকে কয়েক ডজন পর্যন্ত অনুমান করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত জঙ্গিরা মালিতে ফরাসি সামরিক অভিযান বন্ধ এবং ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বন্দি কয়েকজনের মুক্তির দাবিতে অটল ছিল।
সর্বশেষ তথ্যে আলজেরীয় নিরাপত্তা বাহিনী সাত জিম্মি ও ১১ জঙ্গির মৃত্যুর কথা জানায়। তারা চারপাশ থেকে জঙ্গিদের ঘিরে ফেলার দাবিও করে। তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করা হয়, জিম্মিরা জঙ্গিদের হাতে মারা গেছে।
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা গত বুধবার আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গ্যাসক্ষেত্র ইন আমেনাসে হামলা চালায় এবং শ্রমিকদের জিম্মি করে। আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট দল সিগনেটরিজ ইন ব্লাড এ অপহরণের দায় স্বীকার করে। জঙ্গিদের হাতে অপহৃত শ্রমিকের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে গত বৃহস্পতিবার আলজেরীয় সেনাদের অভিযানে ৬৫০ জন শ্রমিক মুক্ত হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এপিএস জানায়, সেনা অভিযানে ৫৭৩ জন আলজেরীয় ও প্রায় ১০০ জন বিদেশি শ্রমিক মুক্তি পায়। জঙ্গিদের হাতে ১৩২ জন বিদেশি অপহৃত হয়েছিল বলেও জানায় সংস্থাটি। স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাবি করেন, বৃহস্পতিবারের অভিযানে ১২ জিম্মি ও ১৮ জঙ্গি মারা যায়। নিহত জিম্মিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক আছে। আলজেরীয় রাষ্ট্রীয় তেল কম্পানি সোনাট্রাচ, ব্রিটিশ তেল কম্পানি বিপি ও নরওয়ের তেল কম্পানি স্ট্যাটোয়েল মিলিতভাবে গ্যাস ক্ষেত্রটি পরিচালনা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আলজেরীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা জানায়, ১৩ থেকে ১৫ জন জঙ্গির একটি দল অন্তত ১০ শ্রমিককে জিম্মি করে রেখেছে। সিগনেটরিজ ইন ব্লাডের এক সদস্য মৌরিতানিয়ার এএনআই বার্তা সংস্থাকে টেলিফোনে জানান, সাত বিদেশিকে এখনো আটকে রেখেছেন তারা। এর মধ্যে বেলজিয়ামের তিনজন, যুক্তরাষ্ট্রের দুজন, এক জাপানি ও এক ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছে। তাঁদের শীর্ষ নেতা মোখতার বেলমোখতার যুক্তরাষ্ট্রে আটক মিসরীয় চরমপন্থী নেতা ওমর আবদুল রহমান ও মার্কিন বাহিনীর হাতে অপহৃত পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির বিনিময়ে মার্কিন দুই জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কোনো আলোচনা হয়নি। এএনআই আরো জানায়, প্রায় ৪০ জন জঙ্গি ইন আমেনাসে অভিযানে অংশ নিয়েছে এবং নাইজারের এক জঙ্গি তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আল মুলাথামিন নামের একটি জঙ্গি সংগঠন গত শুক্রবার আলজেরিয়ায় আরো হামলার হুমকি দিয়েছে।
আলজেরিয় বার্তা সংস্থা এপিএসের হিসাবে গতকালও অন্তত ৩০ বিদেশি শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিবিসি গতকালও ১০ ব্রিটিশ নাগরিকের জিম্মি থাকার তথ্য জানিয়েছে। ১০ জাপানি ও আট নরওয়েজিয়ানও নিখোঁজ আছেন। মুক্ত শ্রমিকরা জানান, জঙ্গিরা তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং তাদের গলায় মালার মতো করে বিস্ফোরক ঝুলিয়ে রেখেছে। জঙ্গিরা গতকালও গ্যাস ক্ষেত্রের কয়েকটি অংশ দখল করে রেখেছিল এবং সকালের দিকে আলজেরীয় সেনাদের সঙ্গে তাদের গুলিবিনিময় হয়েছে। জঙ্গিদের নির্মূল করা বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেন স্থানীয় এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। আলজেরিয়ার সরকার জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় না যাওয়ার ব্যাপারে অটল আছে।
গত শুক্রবার আলজেরীয় প্রধানমন্ত্রী আবদেলমালেক সেল্লালের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। এরপর জাপানি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হিলারি বলেন, 'এটি অত্যন্ত জটিল ও ভয়াবহ পরিস্থিতি। তবে নিরীহ শ্রমিকদের প্রাণ বাঁচানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।' এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে তাঁর সরকারকে ইন আমেনাসে নিখোঁজ ১০ জাপানির ব্যাপারে সম্ভাব্য সবকিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়েছে। সব দেশের প্রতি আলজেরীয় সরকারকে সাহায্যের আহবানও জানিয়েছে তারা।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
সর্বশেষ তথ্যে আলজেরীয় নিরাপত্তা বাহিনী সাত জিম্মি ও ১১ জঙ্গির মৃত্যুর কথা জানায়। তারা চারপাশ থেকে জঙ্গিদের ঘিরে ফেলার দাবিও করে। তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করা হয়, জিম্মিরা জঙ্গিদের হাতে মারা গেছে।
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা গত বুধবার আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গ্যাসক্ষেত্র ইন আমেনাসে হামলা চালায় এবং শ্রমিকদের জিম্মি করে। আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট দল সিগনেটরিজ ইন ব্লাড এ অপহরণের দায় স্বীকার করে। জঙ্গিদের হাতে অপহৃত শ্রমিকের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে গত বৃহস্পতিবার আলজেরীয় সেনাদের অভিযানে ৬৫০ জন শ্রমিক মুক্ত হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এপিএস জানায়, সেনা অভিযানে ৫৭৩ জন আলজেরীয় ও প্রায় ১০০ জন বিদেশি শ্রমিক মুক্তি পায়। জঙ্গিদের হাতে ১৩২ জন বিদেশি অপহৃত হয়েছিল বলেও জানায় সংস্থাটি। স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাবি করেন, বৃহস্পতিবারের অভিযানে ১২ জিম্মি ও ১৮ জঙ্গি মারা যায়। নিহত জিম্মিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক আছে। আলজেরীয় রাষ্ট্রীয় তেল কম্পানি সোনাট্রাচ, ব্রিটিশ তেল কম্পানি বিপি ও নরওয়ের তেল কম্পানি স্ট্যাটোয়েল মিলিতভাবে গ্যাস ক্ষেত্রটি পরিচালনা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আলজেরীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা জানায়, ১৩ থেকে ১৫ জন জঙ্গির একটি দল অন্তত ১০ শ্রমিককে জিম্মি করে রেখেছে। সিগনেটরিজ ইন ব্লাডের এক সদস্য মৌরিতানিয়ার এএনআই বার্তা সংস্থাকে টেলিফোনে জানান, সাত বিদেশিকে এখনো আটকে রেখেছেন তারা। এর মধ্যে বেলজিয়ামের তিনজন, যুক্তরাষ্ট্রের দুজন, এক জাপানি ও এক ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছে। তাঁদের শীর্ষ নেতা মোখতার বেলমোখতার যুক্তরাষ্ট্রে আটক মিসরীয় চরমপন্থী নেতা ওমর আবদুল রহমান ও মার্কিন বাহিনীর হাতে অপহৃত পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির বিনিময়ে মার্কিন দুই জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কোনো আলোচনা হয়নি। এএনআই আরো জানায়, প্রায় ৪০ জন জঙ্গি ইন আমেনাসে অভিযানে অংশ নিয়েছে এবং নাইজারের এক জঙ্গি তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আল মুলাথামিন নামের একটি জঙ্গি সংগঠন গত শুক্রবার আলজেরিয়ায় আরো হামলার হুমকি দিয়েছে।
আলজেরিয় বার্তা সংস্থা এপিএসের হিসাবে গতকালও অন্তত ৩০ বিদেশি শ্রমিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিবিসি গতকালও ১০ ব্রিটিশ নাগরিকের জিম্মি থাকার তথ্য জানিয়েছে। ১০ জাপানি ও আট নরওয়েজিয়ানও নিখোঁজ আছেন। মুক্ত শ্রমিকরা জানান, জঙ্গিরা তাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং তাদের গলায় মালার মতো করে বিস্ফোরক ঝুলিয়ে রেখেছে। জঙ্গিরা গতকালও গ্যাস ক্ষেত্রের কয়েকটি অংশ দখল করে রেখেছিল এবং সকালের দিকে আলজেরীয় সেনাদের সঙ্গে তাদের গুলিবিনিময় হয়েছে। জঙ্গিদের নির্মূল করা বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেন স্থানীয় এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। আলজেরিয়ার সরকার জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় না যাওয়ার ব্যাপারে অটল আছে।
গত শুক্রবার আলজেরীয় প্রধানমন্ত্রী আবদেলমালেক সেল্লালের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। এরপর জাপানি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হিলারি বলেন, 'এটি অত্যন্ত জটিল ও ভয়াবহ পরিস্থিতি। তবে নিরীহ শ্রমিকদের প্রাণ বাঁচানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।' এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে তাঁর সরকারকে ইন আমেনাসে নিখোঁজ ১০ জাপানির ব্যাপারে সম্ভাব্য সবকিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়েছে। সব দেশের প্রতি আলজেরীয় সরকারকে সাহায্যের আহবানও জানিয়েছে তারা।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments