হেগলকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ব্রেনানকে সিআইএ প্রধান পদে মনোনয়ন
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে চাক হেগলকে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিআইএর প্রধান হিসেবে জন ব্রেনানের (৫৭) নাম ঘোষণা করেছেন। তবে এ মনোনয়ন খুব সহজেই সিনেটে অনুমোদন নাও পেতে পারে।
হেগল রিপাবলিকান দলের সাবেক সিনেটর হলেও তাঁর মনোনয়নে সমর্থন দেওয়া নিয়ে দলের ভেতরই দ্বিমত রয়েছে। রিপাবলিকানদের অভিযোগ, ইসরায়েল প্রসঙ্গে হেগলের মনোভাব খুব কঠোর হলেও ইরানের ব্যাপারে বেশ নমনীয় তিনি। আর ব্রেনান সংকটে পড়বেন সিআইএর কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতিকে সমর্থনের কারণে।
প্রসঙ্গত, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই তাঁদের নিয়োগ দিতে পারবেন ওবামা।
হোয়াইট হাউসের ইস্টরুমে গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে হেগল (৬৬) ও ব্রেনানের নাম ঘোষণা করেন ওবামা। এ সময় হেগল ও ব্রেনানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওবামা বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটার প্রশংসার পর হেগল প্রসঙ্গে বলেন, 'হেগলের নেতৃত্বই আমাদের সামরিক বাহিনীর প্রাপ্য।' ভিয়েতনাম যুদ্ধফেরত হেগল তাঁর বীরত্বের কারণে দুটি মেডেল পেয়েছেন। ওবামা বলেন, 'নিতান্ত অপরিহার্য না হলে তরুণ আমেরিকান যোদ্ধাদের ধুলা ও কাদায় লড়াই এবং রক্তপাতের জন্য পাঠাবেন না হেগল।' তিনি হেগল ও ব্রেনানকে দ্রুত চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার জন্য সিনেটের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, প্যানেটা পরবর্তী মেয়াদে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখানোয় হেগলকে বেছে নিলেন ওবামা।
তবে হেগলের অনুমোদনের সায় নেই রিপাবলিকানদের। ইরাকযুদ্ধে জড়ানোর ব্যাপারে প্রকাশ্যে তৎকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের বিরোধিতা করেন তিনি। এর ওপর ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে সখ্য দলের সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরো তিক্ত করে তোলে। তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি লবির কঠোর সমালোচক তিনি। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেও তাঁর মত নেই।
ফলে ফলাও করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে রিপাবলিকান শিবির। পত্রিকায় পূর্ণ পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-টুইটারেও চলছে হেগলবিরোধী প্রচার। জনমতকে প্রভাবিত করতে একটি ওয়েবসাইটও খোলা হয়েছে। রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার কারণেই হেগলের মনোনয়ন নিয়ে তিনি 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
এক সাক্ষাৎকারে নেব্রাস্কার সাবেক সিনেটর হেগল অবশ্য ইসরায়েল বিরোধিতার কথা নাকচ করে দিয়েছেন, 'আমি কোনোভাবেই ইসরায়েলবিরোধী নই। ইসরায়েলের স্বার্থে আঘাত লাগতে পারে- এমন কোনো ইস্যুতে কখনোই ভোট দেইনি আমি।'
ব্রেনানকে অবশ্য মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হেগলের মতো সংকটে পড়তে হবে না। যদিও সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের কঠোর পদ্ধতিগুলোতে সমর্থনের জন্য তাঁর সমালোচনা রয়েছে। এ সমালোচনার কারণেই ২০০৮ সালে এ পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ব্রেনান। বিয়েবহির্ভূত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে সাবেক সিআইএ প্রধান ডেভিড পেট্রায়াস পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়ে যায়। অবশ্য প্রবল আলোচনা-সমালোচনা হলেও ডেমোক্রেটিক পার্টি নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ওবামার পছন্দই চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে যাবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
প্রসঙ্গত, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই তাঁদের নিয়োগ দিতে পারবেন ওবামা।
হোয়াইট হাউসের ইস্টরুমে গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে হেগল (৬৬) ও ব্রেনানের নাম ঘোষণা করেন ওবামা। এ সময় হেগল ও ব্রেনানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওবামা বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটার প্রশংসার পর হেগল প্রসঙ্গে বলেন, 'হেগলের নেতৃত্বই আমাদের সামরিক বাহিনীর প্রাপ্য।' ভিয়েতনাম যুদ্ধফেরত হেগল তাঁর বীরত্বের কারণে দুটি মেডেল পেয়েছেন। ওবামা বলেন, 'নিতান্ত অপরিহার্য না হলে তরুণ আমেরিকান যোদ্ধাদের ধুলা ও কাদায় লড়াই এবং রক্তপাতের জন্য পাঠাবেন না হেগল।' তিনি হেগল ও ব্রেনানকে দ্রুত চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার জন্য সিনেটের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, প্যানেটা পরবর্তী মেয়াদে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখানোয় হেগলকে বেছে নিলেন ওবামা।
তবে হেগলের অনুমোদনের সায় নেই রিপাবলিকানদের। ইরাকযুদ্ধে জড়ানোর ব্যাপারে প্রকাশ্যে তৎকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশের বিরোধিতা করেন তিনি। এর ওপর ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে সখ্য দলের সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরো তিক্ত করে তোলে। তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি লবির কঠোর সমালোচক তিনি। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেও তাঁর মত নেই।
ফলে ফলাও করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে রিপাবলিকান শিবির। পত্রিকায় পূর্ণ পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-টুইটারেও চলছে হেগলবিরোধী প্রচার। জনমতকে প্রভাবিত করতে একটি ওয়েবসাইটও খোলা হয়েছে। রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার কারণেই হেগলের মনোনয়ন নিয়ে তিনি 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
এক সাক্ষাৎকারে নেব্রাস্কার সাবেক সিনেটর হেগল অবশ্য ইসরায়েল বিরোধিতার কথা নাকচ করে দিয়েছেন, 'আমি কোনোভাবেই ইসরায়েলবিরোধী নই। ইসরায়েলের স্বার্থে আঘাত লাগতে পারে- এমন কোনো ইস্যুতে কখনোই ভোট দেইনি আমি।'
ব্রেনানকে অবশ্য মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হেগলের মতো সংকটে পড়তে হবে না। যদিও সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের কঠোর পদ্ধতিগুলোতে সমর্থনের জন্য তাঁর সমালোচনা রয়েছে। এ সমালোচনার কারণেই ২০০৮ সালে এ পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ব্রেনান। বিয়েবহির্ভূত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে সাবেক সিআইএ প্রধান ডেভিড পেট্রায়াস পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়ে যায়। অবশ্য প্রবল আলোচনা-সমালোচনা হলেও ডেমোক্রেটিক পার্টি নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ওবামার পছন্দই চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে যাবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
No comments