ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এ কেমন নমুনা!- দরপত্র ছিনতাই
মহাজোট সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচির প্রতি মানুষ এই আশায় সমর্থন জানিয়েছিল যে তাতে অন্তত সরকারি কাজে স্বচ্ছতা আসবে, জবাবদিহি বাড়বে এবং পুকুরচুরির মাত্রাও কমবে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, মেয়াদের চার বছর পর এসে ক্ষমতাসীন দলের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা শেষ বেলায় ‘যা পাও হাতিয়ে নাও’-এর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এ কেমন নমুনা!
গতকাল প্রথম আলোয় মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ভবনের ওপর সিআইডি কার্যালয় নির্মাণের দরপত্র ছিনতাই এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা পৌরসভার সাড়ে ৭২ লাখ টাকার কাজের দরপত্রের লটারির বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার খবর ছাপা হয়েছে। দুটি ঘটনারই হোতা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মাগুরার ঘটনার সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মীর সুমন এবং পাথরঘাটার ঘটনার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জড়িত। তাঁরা নিজ নিজ সমর্থকদের দিয়ে দরপত্র ছিনতাই এবং দরপত্রের বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার মতো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটিয়েছেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হলে তার দায়দায়িত্বও সেই দল এড়াতে পারে না। এর প্রতিকার কী? অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাই কেবল এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পারে।
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা এর আগে বলেছিলেন, সরকারি দরপত্র ই-মেইলের মাধ্যমে আহ্বান ও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে টেন্ডারবাজি বন্ধ করা যায়। কিন্তু চার বছর পরও যে এ ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি নেই, বিভিন্ন স্থানে টেন্ডারবাজি-দখলবাজির ঘটনা তার প্রমাণ। সরকার মুখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বললেও কাজে-কর্মে এখনো অ্যানালগ আমলে পড়ে আছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের যত্রতত্র দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা আমাদের আইনি শাসনের অভাবের কথাই মনে করিয়ে দেয়। ঠিকাদার হিসেবে তাঁরা যদি এতই যোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যেতে ভয় পাচ্ছেন কেন? যাঁরা দরপত্র ছিনতাই করে কাজ বাগিয়ে নেন, কাজ পাওয়ার পর যে তাঁরা পুকুর চুরি করবেন না, তারই বা নিশ্চয়তা কী?
এ ব্যাপারে আমাদের সাফ কথা হলো, রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে কাজের ঠিকাদারি দেওয়া যাবে না। এ ধরনের ব্যক্তিদের সব ধরনের সরকারি কাজের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনিকভাবেও তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যদি সরকার সেটি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ প্রতিষ্ঠিত হবে।
মাগুরা ও পাথরঘাটায় দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে প্রকাশ্যে দিবালোকে, বহু মানুষের সামনে। তাই মামলার সাক্ষ্যসাবুদের অভাব হবে না। কিংবা এখানে ‘অপরাধীদের চেনা যায়নি’ বা ‘খুঁজে পাওয়া যায়নি’ বলে সাফাই গাওয়ার সুযোগ নেই।
আমরা অবিলম্বে দরপত্র ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
গতকাল প্রথম আলোয় মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ভবনের ওপর সিআইডি কার্যালয় নির্মাণের দরপত্র ছিনতাই এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা পৌরসভার সাড়ে ৭২ লাখ টাকার কাজের দরপত্রের লটারির বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার খবর ছাপা হয়েছে। দুটি ঘটনারই হোতা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মাগুরার ঘটনার সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মীর সুমন এবং পাথরঘাটার ঘটনার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জড়িত। তাঁরা নিজ নিজ সমর্থকদের দিয়ে দরপত্র ছিনতাই এবং দরপত্রের বাক্স পুকুরে ফেলে দেওয়ার মতো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটিয়েছেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হলে তার দায়দায়িত্বও সেই দল এড়াতে পারে না। এর প্রতিকার কী? অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাই কেবল এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পারে।
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা এর আগে বলেছিলেন, সরকারি দরপত্র ই-মেইলের মাধ্যমে আহ্বান ও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে টেন্ডারবাজি বন্ধ করা যায়। কিন্তু চার বছর পরও যে এ ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি নেই, বিভিন্ন স্থানে টেন্ডারবাজি-দখলবাজির ঘটনা তার প্রমাণ। সরকার মুখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বললেও কাজে-কর্মে এখনো অ্যানালগ আমলে পড়ে আছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের যত্রতত্র দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা আমাদের আইনি শাসনের অভাবের কথাই মনে করিয়ে দেয়। ঠিকাদার হিসেবে তাঁরা যদি এতই যোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যেতে ভয় পাচ্ছেন কেন? যাঁরা দরপত্র ছিনতাই করে কাজ বাগিয়ে নেন, কাজ পাওয়ার পর যে তাঁরা পুকুর চুরি করবেন না, তারই বা নিশ্চয়তা কী?
এ ব্যাপারে আমাদের সাফ কথা হলো, রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে কাজের ঠিকাদারি দেওয়া যাবে না। এ ধরনের ব্যক্তিদের সব ধরনের সরকারি কাজের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনিকভাবেও তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যদি সরকার সেটি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ প্রতিষ্ঠিত হবে।
মাগুরা ও পাথরঘাটায় দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে প্রকাশ্যে দিবালোকে, বহু মানুষের সামনে। তাই মামলার সাক্ষ্যসাবুদের অভাব হবে না। কিংবা এখানে ‘অপরাধীদের চেনা যায়নি’ বা ‘খুঁজে পাওয়া যায়নি’ বলে সাফাই গাওয়ার সুযোগ নেই।
আমরা অবিলম্বে দরপত্র ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
No comments