শীত কুয়াশায় হুমকিতে বোরো আলু- আলুতে মহামারী লেট ব্রাইট, বোরোর চারা কোল্ড ইঞ্জুরিতে পড়তে পারে
কাওসার রহমান প্রচ- কুয়াশায় দেশের আলু ও বোরো ফসল হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে কুয়াশা ও মেঘলা আবহাওয়ার কারণে আলুতে লেট ব্রাইট রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধোঁয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা টানা চার-পাঁচ দিন অব্যাহত থাকলে আলুতে লেট ব্রাইট রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়বে। বোরোর বীজতলা মারাত্মক 'কোল্ড ইনজুরিতে' আক্রানত্ম হবে। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগ গ্রামাঞ্চলে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে। তারা কিভাবে কুয়াশা কাটানো যায় সে ব্যাপারে চাষীদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
এবার দেশে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার মাত্রাও বেড়ে গেছে। হঠাৎ হঠাৎ ঝলমলে রোদ উঠলেও প্রায় প্রতিদিনই সকাল ১০টা অবদি কুয়াশা থাকছে। কোন কোন সময় দিনভর কুয়াশা ও মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। সোমবার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হচ্ছে। এতে বায়ুম-লের নিম্নসত্মরেরর জলীয় বাষ্পের ওপরে ধূলিকণা ও বালুকণা জমতে থাকার কারণে এই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে। রাতে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে এই ধূলিকণা ও বালুকণার পরিমাণও বাড়ছে। এ কারণে মাঝরাত থেকে দুপুর পর্যনত্ম অধিক মাত্রায় কুয়াশা পড়ছে। এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ আব্দুল মান্নান বলেছেন, এই কুয়াশা ভাব আরও দুই তিনি দিন অব্যাহত থাকবে। মাঝেমধ্যে রোদ উঠলেও, বৃষ্টি না হওয়া পর্যনত্ম এ কুয়াশা কাটবে না।
এদিকে এই কুয়াশার কারণে দেশের আলু ও বোরো ফসল তির সম্মুখীন হচ্ছে। বোরোর বীজতলা ও রোপণ করা চারা গাছ প্রচ- ঠা-ায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রানত্ম হচ্ছে। এতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান কুয়াশা ও মেঘলা আবহাওয়া চার-পাঁচ দিন অব্যাহত থাকলে আলু ফসলে 'লেট ব্রাইট' রোগ মাহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে আলু উৎপাদন তিগ্রসত্ম হবে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ইব্রাহিম খলিল বলেন, শীত গম ফসলের জন্য ভাল। এতে গমের উৎপাদন ভাল হবে। তবে কুয়াশা আলু ও বোরো ফসলের জন্য তিকর। এই কুয়াশা মেঘলা আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে আলু ও বোরো ফসলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। বোরোর চারা তিগ্রসত্ম হবে। উৎপাদন ব্যাহত হবে। অপরদিকে আলু ফসলে লেট ব্রাইট রোগের মড়ক দেখা দেবে।
এ প্রসঙ্গে অপর সাবেক মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, আলু একটি স্পর্শকাতর ফসল। সব সময়ই কিছ ুনা কিছু রোগ থাকে। এই অবস্থায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে লেট ব্রাইট রোগের মড়ক ছড়িয়ে পড়বে। এতে গাছের পাতা বাদামী হয়ে পোড়া পোড়া হয়ে যাবে। এই রোগ প্রতিরোধের জন্য ডাইসিন এম-৪৫ ছিটিয়ে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বীজ) আনোয়ার ফারম্নক বলেন, রোদ উঠলেই এই কুয়াশা কেটে যাবে। আলুতে এখনও লেট ব্রাইট রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। আর রোগ দেখা দিলেও এবার আলুর উৎপাদন তেমন তিগ্রসত্ম হবে না। কারণ আলুর বয়স ইতোমধ্যে ৫০ দিন পেরিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ৭০ দিন হয়ে গেছে। আলুর যে বয়স হয়েছে তাতে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আগেই তুলে ফেলা যাবে। এতে ফলনের বেশি তি হবে না। এবার আলুর ফলন ভাল হবে বলে তিনি জানান।
দাম বেশি থাকায় এবার দেশে ব্যাপকভাবে আলু আবাদ হয়েছে। এ বছর চার লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আলু উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ লাখ ১২ হাজার টন। ইতোমধ্যে আলু আবাদের ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আলু উৎপাদনও ৭০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বগুড়া থেকে রিপোর্টার মাহমুদুল আলম নয়ন জানান, বগুড়া এবার ৫৪ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে সাত-আট শতাংশ জমির আলু তোলা হয়েছে। এতে আশাপ্রদ ফলন পাওয়া গেছে। গত বছর যেখানে হেক্টরপ্রতি ফলন হয়েছিল ১১ টন এবার সেখানে ফলন পাওয়া যাচ্ছে ১৩ টন করে। এখনও মাঠের আলু পরিপক্ব হয়নি। পরিপক্ব হলে ফলন আরও বেশি পাওয়া যাবে। এবার কৃষি বিভাগ আগাম পদপে নেয়ায় আলুতে এখনও লেট ব্রাইট রোগ তেমন দেখা দেয়নি। মাত্র চার শ' হেক্টর জমির আলুতে লেট ব্রাইট রোগ দেখা দিয়েছে। এ সকল জমির আলু গাছের পাতা হলুদ রং ধারণ করেছে। তবে কুয়াশা অব্যাহত থাকলে এ রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছে চাষীরা।
অন্যান্য অঞ্চলে বোরো আবাদ শেষ পর্যায়ে চলে আসলেও দেশের উত্তরাঞ্চলে সবেমাত্র বোরো আবাদ শুরম্ন হয়েছে। সারাদেশে এবার ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাল আকারে বোরো উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ টন। এর মধ্যে ১০ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাত আবাদের টার্গেট ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বোরো আবাদ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। তবে প্রধান বোরো প্রধান এলাকা দেশের উত্তরাঞ্চলে সবেমাত্র বোরোর চারা লাগানো শুরম্ন হয়েছে। বগুড়ায় এবার এক লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর চারা রোপণ করা হয়েছে। যে সকল জমিতে আগাম বোরো আবাদ করা হয়েছে সেই সকল জমির চারা প্রচ- ঠা-ায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রানত্ম হয়েছে। এ রোগে আক্রানত্ম হয়েছে বোরোর বীজতলাও। কৃষি বিভাগ দেশের গ্রামাঞ্চলে এই প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য পরামর্শ দিয়ে মাইকিং ও লিফলেট বিলি করছে। কুয়াশা থেকে বীজতলা রার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবাদকৃত জমির পানি সকালে সরিয়ে আবার নতুন পানি দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কারণ রাতে তামপত্রা কমে যাওয়ার কারণ জমিতে জমে থাকা পানিও প্রচ- ঠা-া হয়ে যাচ্ছে। এই ঠা-া পানিতে লাগানো ধান চারা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রানত্ম হচ্ছে। এতে বোরোর ফলন কমে যাওয়ার আশ্ঙ্কা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি বিশেষজ্ঞ শহিদুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা কমে গেলে বোরোর চারা তিগ্রসত্ম হতে পারে। তাই রাতের ঠা-া পানি সকালে সরিয়ে দিয়ে সেখানে নতুন পানি দিতে হবে। এতে চারার কোল্ড ইনজুরি কেটে যাবে। এছাড়া ঠা-া ও কুয়াশায় সরিষা ও আমের মুকুলের তি হয়। ইতোমধ্যে সরিষা উঠে গেছে। আর আমের মুকুল এখনও বের হয়নি। ফলে আলু ও বোরোর জন্য এই কুয়াশা তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এবার দেশে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার মাত্রাও বেড়ে গেছে। হঠাৎ হঠাৎ ঝলমলে রোদ উঠলেও প্রায় প্রতিদিনই সকাল ১০টা অবদি কুয়াশা থাকছে। কোন কোন সময় দিনভর কুয়াশা ও মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করছে। সোমবার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হচ্ছে। এতে বায়ুম-লের নিম্নসত্মরেরর জলীয় বাষ্পের ওপরে ধূলিকণা ও বালুকণা জমতে থাকার কারণে এই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে। রাতে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে এই ধূলিকণা ও বালুকণার পরিমাণও বাড়ছে। এ কারণে মাঝরাত থেকে দুপুর পর্যনত্ম অধিক মাত্রায় কুয়াশা পড়ছে। এ প্রসঙ্গে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ আব্দুল মান্নান বলেছেন, এই কুয়াশা ভাব আরও দুই তিনি দিন অব্যাহত থাকবে। মাঝেমধ্যে রোদ উঠলেও, বৃষ্টি না হওয়া পর্যনত্ম এ কুয়াশা কাটবে না।
এদিকে এই কুয়াশার কারণে দেশের আলু ও বোরো ফসল তির সম্মুখীন হচ্ছে। বোরোর বীজতলা ও রোপণ করা চারা গাছ প্রচ- ঠা-ায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রানত্ম হচ্ছে। এতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান কুয়াশা ও মেঘলা আবহাওয়া চার-পাঁচ দিন অব্যাহত থাকলে আলু ফসলে 'লেট ব্রাইট' রোগ মাহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়বে। ফলে আলু উৎপাদন তিগ্রসত্ম হবে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ইব্রাহিম খলিল বলেন, শীত গম ফসলের জন্য ভাল। এতে গমের উৎপাদন ভাল হবে। তবে কুয়াশা আলু ও বোরো ফসলের জন্য তিকর। এই কুয়াশা মেঘলা আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে আলু ও বোরো ফসলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। বোরোর চারা তিগ্রসত্ম হবে। উৎপাদন ব্যাহত হবে। অপরদিকে আলু ফসলে লেট ব্রাইট রোগের মড়ক দেখা দেবে।
এ প্রসঙ্গে অপর সাবেক মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, আলু একটি স্পর্শকাতর ফসল। সব সময়ই কিছ ুনা কিছু রোগ থাকে। এই অবস্থায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে লেট ব্রাইট রোগের মড়ক ছড়িয়ে পড়বে। এতে গাছের পাতা বাদামী হয়ে পোড়া পোড়া হয়ে যাবে। এই রোগ প্রতিরোধের জন্য ডাইসিন এম-৪৫ ছিটিয়ে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বীজ) আনোয়ার ফারম্নক বলেন, রোদ উঠলেই এই কুয়াশা কেটে যাবে। আলুতে এখনও লেট ব্রাইট রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। আর রোগ দেখা দিলেও এবার আলুর উৎপাদন তেমন তিগ্রসত্ম হবে না। কারণ আলুর বয়স ইতোমধ্যে ৫০ দিন পেরিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ৭০ দিন হয়ে গেছে। আলুর যে বয়স হয়েছে তাতে রোগ ছড়িয়ে পড়ার আগেই তুলে ফেলা যাবে। এতে ফলনের বেশি তি হবে না। এবার আলুর ফলন ভাল হবে বলে তিনি জানান।
দাম বেশি থাকায় এবার দেশে ব্যাপকভাবে আলু আবাদ হয়েছে। এ বছর চার লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আলু উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ লাখ ১২ হাজার টন। ইতোমধ্যে আলু আবাদের ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আলু উৎপাদনও ৭০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বগুড়া থেকে রিপোর্টার মাহমুদুল আলম নয়ন জানান, বগুড়া এবার ৫৪ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে সাত-আট শতাংশ জমির আলু তোলা হয়েছে। এতে আশাপ্রদ ফলন পাওয়া গেছে। গত বছর যেখানে হেক্টরপ্রতি ফলন হয়েছিল ১১ টন এবার সেখানে ফলন পাওয়া যাচ্ছে ১৩ টন করে। এখনও মাঠের আলু পরিপক্ব হয়নি। পরিপক্ব হলে ফলন আরও বেশি পাওয়া যাবে। এবার কৃষি বিভাগ আগাম পদপে নেয়ায় আলুতে এখনও লেট ব্রাইট রোগ তেমন দেখা দেয়নি। মাত্র চার শ' হেক্টর জমির আলুতে লেট ব্রাইট রোগ দেখা দিয়েছে। এ সকল জমির আলু গাছের পাতা হলুদ রং ধারণ করেছে। তবে কুয়াশা অব্যাহত থাকলে এ রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছে চাষীরা।
অন্যান্য অঞ্চলে বোরো আবাদ শেষ পর্যায়ে চলে আসলেও দেশের উত্তরাঞ্চলে সবেমাত্র বোরো আবাদ শুরম্ন হয়েছে। সারাদেশে এবার ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাল আকারে বোরো উৎপাদনের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক কোটি ৯০ লাখ টন। এর মধ্যে ১০ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাত আবাদের টার্গেট ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বোরো আবাদ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। তবে প্রধান বোরো প্রধান এলাকা দেশের উত্তরাঞ্চলে সবেমাত্র বোরোর চারা লাগানো শুরম্ন হয়েছে। বগুড়ায় এবার এক লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর চারা রোপণ করা হয়েছে। যে সকল জমিতে আগাম বোরো আবাদ করা হয়েছে সেই সকল জমির চারা প্রচ- ঠা-ায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রানত্ম হয়েছে। এ রোগে আক্রানত্ম হয়েছে বোরোর বীজতলাও। কৃষি বিভাগ দেশের গ্রামাঞ্চলে এই প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য পরামর্শ দিয়ে মাইকিং ও লিফলেট বিলি করছে। কুয়াশা থেকে বীজতলা রার জন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবাদকৃত জমির পানি সকালে সরিয়ে আবার নতুন পানি দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কারণ রাতে তামপত্রা কমে যাওয়ার কারণ জমিতে জমে থাকা পানিও প্রচ- ঠা-া হয়ে যাচ্ছে। এই ঠা-া পানিতে লাগানো ধান চারা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রানত্ম হচ্ছে। এতে বোরোর ফলন কমে যাওয়ার আশ্ঙ্কা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি বিশেষজ্ঞ শহিদুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা কমে গেলে বোরোর চারা তিগ্রসত্ম হতে পারে। তাই রাতের ঠা-া পানি সকালে সরিয়ে দিয়ে সেখানে নতুন পানি দিতে হবে। এতে চারার কোল্ড ইনজুরি কেটে যাবে। এছাড়া ঠা-া ও কুয়াশায় সরিষা ও আমের মুকুলের তি হয়। ইতোমধ্যে সরিষা উঠে গেছে। আর আমের মুকুল এখনও বের হয়নি। ফলে আলু ও বোরোর জন্য এই কুয়াশা তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
No comments