মঙ্গলযাত্রায় 'অমঙ্গল' ডেকে আনবে ঘুম!
নভোচারীদের ঘুমের সমস্যা ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযানকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। এ ব্যাপারে পরিচালিত কৃত্রিম এক অভিযানে দেখা গেছে, দিন-রাতের চক্র হারিয়ে ফেলায় নভোচারীদের কেউ কেউ অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে পড়েন।
কেউ বা কিছুটা হতাশায়ও ভোগেন। বেশির ভাগ নভোচারী ক্রমে দিনের অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটাতে শুরু করেন। বিপরীতে কম সময় কর্মক্ষম থাকেন তাঁরা।
একটি নভোযানে মঙ্গল পাড়ি দেওয়ার অভিযানের কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে সেখানে ছয় নভোচারীকে রাখা হয়। পরীক্ষামূলক এ অভিযানের অভিজ্ঞতা বলছে, এতে অংশ নেওয়া সব নভোচারী সত্যিকারের মঙ্গল অভিযানের জন্য উপযুক্ত হবেন না। ২০১০ সালে মারস-৫০০ প্রকল্পের অধীনে এ ছদ্ম অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। প্রকল্পটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) ও রাশিয়ান ইনস্টিটিউট ফর বায়োমেডিক্যাল প্রবলেমস।
কৃত্রিম এ অভিযানে নভোচারীদের প্রতিদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয় তাঁদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা। ভবিষ্যতে এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাওয়ার জন্য সত্যিকারের অভিযানে অংশ নেওয়া নভোচারীরা পরিবর্তিত পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে পারবেন কি না_তা খতিয়ে দেখাই ছিল এর উদ্দেশ্য। যুক্তরাষ্ট্রের পেলসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যথিয়াস বাসনার বলেন, নভোচারীদের ঘুমের যে চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে দিন-রাতের প্রাকৃতিক চক্রের বাইরেও নভোচারীরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবেন_মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রে এটি পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ।
২০১০ সালের জুন মাসে জানালাবিহীন একটি কৃত্রিম নভোযানে তিনজন রুশ, ইউরোপের দুজন ও একজন চীনা নভোচারীকে রাখা হয়। সেখানে তাঁদের থাকার মেয়াদ ঠিক করা হয় ৫২০ দিন। তাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ইন্টারনেট। তবে নভোযানটির সঙ্গে পৃথিবীর তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময়ের ফারাক ছিল। কারণ, তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে মঙ্গলে তথ্য পৌঁছাতে বা সেখান থেকে পৃথিবীতে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগে।
পরীক্ষায় দেখা যায়, ছয়জনের মধ্যে একজন নভোচারী প্রাকৃতিক দিন-রাতের চক্র সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে অন্য নভোচারীদের সঙ্গে তাঁর সব কিছুতে দূরত্ব তৈরি হয়। অধিকাংশ নভোচারী ক্রমে দিনের অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটাতে শুরু করেন। বিপরীতে কম সময় কর্মক্ষম থাকেন তাঁরা। তবে একজন সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করেন। তাঁর ঘুম আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এ সমস্য তাঁর ক্ষেত্রে বাড়তেই থাকে। অন্য একজনের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা দেয়। নভোযানের ভেতরের হালকা ফ্লুরোসেন্ট আলোও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
স্পেস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কেভিন ফং বলেন, ঘুমের সমস্যা সত্যিকারের মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা তৈরি করবে বলেই মনে হয়। তাঁর মতে, এ সমস্যা অভিযানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
একটি নভোযানে মঙ্গল পাড়ি দেওয়ার অভিযানের কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে সেখানে ছয় নভোচারীকে রাখা হয়। পরীক্ষামূলক এ অভিযানের অভিজ্ঞতা বলছে, এতে অংশ নেওয়া সব নভোচারী সত্যিকারের মঙ্গল অভিযানের জন্য উপযুক্ত হবেন না। ২০১০ সালে মারস-৫০০ প্রকল্পের অধীনে এ ছদ্ম অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। প্রকল্পটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) ও রাশিয়ান ইনস্টিটিউট ফর বায়োমেডিক্যাল প্রবলেমস।
কৃত্রিম এ অভিযানে নভোচারীদের প্রতিদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয় তাঁদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা। ভবিষ্যতে এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাওয়ার জন্য সত্যিকারের অভিযানে অংশ নেওয়া নভোচারীরা পরিবর্তিত পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে পারবেন কি না_তা খতিয়ে দেখাই ছিল এর উদ্দেশ্য। যুক্তরাষ্ট্রের পেলসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যথিয়াস বাসনার বলেন, নভোচারীদের ঘুমের যে চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে দিন-রাতের প্রাকৃতিক চক্রের বাইরেও নভোচারীরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবেন_মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রে এটি পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ।
২০১০ সালের জুন মাসে জানালাবিহীন একটি কৃত্রিম নভোযানে তিনজন রুশ, ইউরোপের দুজন ও একজন চীনা নভোচারীকে রাখা হয়। সেখানে তাঁদের থাকার মেয়াদ ঠিক করা হয় ৫২০ দিন। তাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ইন্টারনেট। তবে নভোযানটির সঙ্গে পৃথিবীর তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময়ের ফারাক ছিল। কারণ, তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে পৃথিবী থেকে মঙ্গলে তথ্য পৌঁছাতে বা সেখান থেকে পৃথিবীতে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগে।
পরীক্ষায় দেখা যায়, ছয়জনের মধ্যে একজন নভোচারী প্রাকৃতিক দিন-রাতের চক্র সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে অন্য নভোচারীদের সঙ্গে তাঁর সব কিছুতে দূরত্ব তৈরি হয়। অধিকাংশ নভোচারী ক্রমে দিনের অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটাতে শুরু করেন। বিপরীতে কম সময় কর্মক্ষম থাকেন তাঁরা। তবে একজন সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করেন। তাঁর ঘুম আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এ সমস্য তাঁর ক্ষেত্রে বাড়তেই থাকে। অন্য একজনের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা দেয়। নভোযানের ভেতরের হালকা ফ্লুরোসেন্ট আলোও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
স্পেস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কেভিন ফং বলেন, ঘুমের সমস্যা সত্যিকারের মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা তৈরি করবে বলেই মনে হয়। তাঁর মতে, এ সমস্যা অভিযানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
No comments