একটি সংগঠনের তৎপরতায় পাহাড়ি-বাঙালি আতঙ্কে
বান্দরবান জেলা শহরের বালাঘাটায় ‘বাঙালি যুব ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের তৎপরতায় এলাকার বাঙালি ও আদিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাদের উসকানিমূলক তৎপরতায় যেকোনো সময় পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
আদিবাসী ও বাঙালিরা বলছেন, হঠাৎ সৃষ্ট এই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, তল্লাশির নামে আদিবাসীদের বাড়িতে অনুপ্রবেশ, নারীদের হেনস্থা এবং তরুণদের মারধর করছেন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের এ তৎপরতা চললেও পুলিশ ও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেছেন।
তবে গত সোমবার পুলিশ-কর্মকর্তারা নীরব থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ওই সংগঠনের প্রায় সবাই বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সংগঠনের সভাপতি নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজন পলাতক। তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বালাঘাটার পাহাড়ি ও বাঙালিরা বলছেন, গত নভেম্বরের শেষের দিকে নাজিম উদ্দিন সভাপতি ও মোহামঞ্চদ আক্তার সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে বাঙালি যুব ঐক্য পরিষদের তৎপরতা শুরু করেন। এর পর থেকে তাঁরা আতঙ্কে আছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ১ জানুয়ারি জ্যোতি তঞ্চঙ্গ্যা ও শান্তিজীবন তঞ্চঙ্গ্যা নামের দুই তরুণকে প্রকাশ্যে বালাঘাটা বাজারে টানাহেঁচড়া ও মারধর করেছে নাজিম-আক্তারের লোকজন। উটিং মারমা অভিযোগ করেন, তাঁকে তুচ্ছ কারণে ওই সংগঠনের লোকজন মারধর করে। বালাঘাটা বাজার-সংলগ্ন এলাকায় নিলংধন তঞ্চঙ্গ্যা ও মংশৈনু মারমা বলেছেন, মদ বিক্রির অভিযোগে নাজিমের বাহিনী প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে গভীর রাতে তল্লাশি চালায় এবং নারীদের হেনস্থা করে। বালাঘাটাপাড়ার নিরন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ও শামসুল ইসলাম সানুসহ অনেকে বলেছেন, নাজিম-আক্তারসহ বাঙালি ঐক্য পরিষদের ২৫-৩০ জন সদস্যের অধিকাংশই মাদকসেবন, চুরি, ডাকাতি, জাল টাকার ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সানুপ্রু মারমা ও ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, ‘এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে নাজিম-আক্তার বাহিনী বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে।’ দুই আদিবাসী তরুণকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন বাঙালি যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি নাজিম উদ্দিন। বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন বলে দাবি করেন। তাঁরা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কাজে ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নন বলেও দাবি করেন তিনি।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বালাঘাটায় একটি অপরাধী চক্র রয়েছে। নাজিমকে যেখানেই পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে।’
তবে গত সোমবার পুলিশ-কর্মকর্তারা নীরব থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ওই সংগঠনের প্রায় সবাই বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সংগঠনের সভাপতি নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজন পলাতক। তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বালাঘাটার পাহাড়ি ও বাঙালিরা বলছেন, গত নভেম্বরের শেষের দিকে নাজিম উদ্দিন সভাপতি ও মোহামঞ্চদ আক্তার সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে বাঙালি যুব ঐক্য পরিষদের তৎপরতা শুরু করেন। এর পর থেকে তাঁরা আতঙ্কে আছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ১ জানুয়ারি জ্যোতি তঞ্চঙ্গ্যা ও শান্তিজীবন তঞ্চঙ্গ্যা নামের দুই তরুণকে প্রকাশ্যে বালাঘাটা বাজারে টানাহেঁচড়া ও মারধর করেছে নাজিম-আক্তারের লোকজন। উটিং মারমা অভিযোগ করেন, তাঁকে তুচ্ছ কারণে ওই সংগঠনের লোকজন মারধর করে। বালাঘাটা বাজার-সংলগ্ন এলাকায় নিলংধন তঞ্চঙ্গ্যা ও মংশৈনু মারমা বলেছেন, মদ বিক্রির অভিযোগে নাজিমের বাহিনী প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে গভীর রাতে তল্লাশি চালায় এবং নারীদের হেনস্থা করে। বালাঘাটাপাড়ার নিরন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ও শামসুল ইসলাম সানুসহ অনেকে বলেছেন, নাজিম-আক্তারসহ বাঙালি ঐক্য পরিষদের ২৫-৩০ জন সদস্যের অধিকাংশই মাদকসেবন, চুরি, ডাকাতি, জাল টাকার ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সানুপ্রু মারমা ও ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, ‘এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে নাজিম-আক্তার বাহিনী বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে।’ দুই আদিবাসী তরুণকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন বাঙালি যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি নাজিম উদ্দিন। বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন বলে দাবি করেন। তাঁরা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কাজে ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নন বলেও দাবি করেন তিনি।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বালাঘাটায় একটি অপরাধী চক্র রয়েছে। নাজিমকে যেখানেই পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে।’
No comments