আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে সারা দেশ
সারা দেশে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কৃষি পূর্বাভাস শাখা বলেছে, এই অবস্থা বোরোর বীজতলা ও মাঠে থাকা আলুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে কৃষকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাসে বলেছে, আজও দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। অনেক এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। আগামী দুই-তিন দিন টানা এই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে এ ধরনের আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর আগে গত মাসে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কৃষি পূর্বাভাস শাখার আবহাওয়াবিদ শামীম হাসান ভূঁইয়া বলেন, কৃষকদের সাবধানতা হিসেবে বোরোর চারাকে শীতজনিত ক্ষতি (কোল্ড ইনজুরি) থেকে রক্ষা করতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। যেখানে ভূগর্ভস্থ পানির জোগান রয়েছে, সেখানে ওই পানি বিকেলে বীজতলায় দিয়ে তা আবার সন্ধ্যায় সরিয়ে ফেলতে হবে। এতে তীব্র শীতেও বীজতলার তেমন ক্ষতি হবে না। আলুগাছের শীতজনিত কাণ্ডপচা রোগ সামলাতে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ঢাকার বাইরে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ঈশ্বরদী (পাবনা): কনকনে শীত, ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পরপরই পথ-ঘাট, হাট-বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ খান বলেন, ঠান্ডার কারণে তিন দিন ধরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম: দুই দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। গতকাল সারা দিন বৃষ্টির মতো গুঁড়ি গুঁড়ি কুয়াশা পড়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে তিন শিশু এবং রাজারহাটের সদর ইউনিয়নের বোতলারপাড় গ্রামের দিনমজুর শাহাবুদ্দিন মণ্ডল (৭০) মারা যান।
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): শীতজনিত রোগে উপজেলার আউলটিয়া গ্রামের এয়াকুব আলী (৭৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
দিনাজপুর: প্রচণ্ড শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। খেত থেকে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি তোলা যাচ্ছে না। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দামও বেড়েছে।
বগুড়া: স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের কারণে জেলার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার যমুনাপারের দুর্গম চরের অভাবী মানুষেরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।
নীলফামারী: শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হননি।
পঞ্চগড়: ঘন কুয়াশার কারণে দিনেও মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করে।
রাজশাহী: গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগে ৩৪ জন শিশু ভর্তি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাসে বলেছে, আজও দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। অনেক এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। আগামী দুই-তিন দিন টানা এই শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে এ ধরনের আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর আগে গত মাসে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কৃষি পূর্বাভাস শাখার আবহাওয়াবিদ শামীম হাসান ভূঁইয়া বলেন, কৃষকদের সাবধানতা হিসেবে বোরোর চারাকে শীতজনিত ক্ষতি (কোল্ড ইনজুরি) থেকে রক্ষা করতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। যেখানে ভূগর্ভস্থ পানির জোগান রয়েছে, সেখানে ওই পানি বিকেলে বীজতলায় দিয়ে তা আবার সন্ধ্যায় সরিয়ে ফেলতে হবে। এতে তীব্র শীতেও বীজতলার তেমন ক্ষতি হবে না। আলুগাছের শীতজনিত কাণ্ডপচা রোগ সামলাতে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ঢাকার বাইরে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ঈশ্বরদী (পাবনা): কনকনে শীত, ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পরপরই পথ-ঘাট, হাট-বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ খান বলেন, ঠান্ডার কারণে তিন দিন ধরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম: দুই দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। গতকাল সারা দিন বৃষ্টির মতো গুঁড়ি গুঁড়ি কুয়াশা পড়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে তিন শিশু এবং রাজারহাটের সদর ইউনিয়নের বোতলারপাড় গ্রামের দিনমজুর শাহাবুদ্দিন মণ্ডল (৭০) মারা যান।
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): শীতজনিত রোগে উপজেলার আউলটিয়া গ্রামের এয়াকুব আলী (৭৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
দিনাজপুর: প্রচণ্ড শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। খেত থেকে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি তোলা যাচ্ছে না। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দামও বেড়েছে।
বগুড়া: স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীতের কারণে জেলার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার যমুনাপারের দুর্গম চরের অভাবী মানুষেরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।
নীলফামারী: শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হননি।
পঞ্চগড়: ঘন কুয়াশার কারণে দিনেও মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করে।
রাজশাহী: গতকাল জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মানুষের জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগে ৩৪ জন শিশু ভর্তি হয়েছে।
No comments